ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড: মুহাম্মদ ইউনুস ইন্ডিয়ার জায়গামত আঘাত করেছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাজনৈতিক দলের ঐক্য ভারত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরে বাধ্য: ড. ইউনূস মুন্নী সাহা সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে বেতনের বাইরে জমা হয় ১৩৪ কোটি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে আ. লীগের দৃষ্টিতে দেখা বন্ধ করতে হবে : ভারতকে নাহিদ ইসলাম “ছাত্রদের ভূমিকা ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা” অশান্তির জন্য মহম্মদ ইউনূসকেই দায়ী করলেন শেখ হাসিনা৷ ফেরত চাওয়া হবে শেখ হাসিনাকে, মানতে বাধ্য ভারত: ড. ইউনূস আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার: শ্বেতপত্রে উন্মোচিত সাংবাদিক মুন্নী সাহা গ্রেপ্তার অচিরেই কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা: উপদেষ্টা আসিফ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত কেন তথ্যযুদ্ধে নেমেছে? ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল কোটি টাকার বাস ৯০ লাখে বানাবে বিআরটিসি ভয়েস অব আমেরিকার জরিপ: সংখ্যালঘুরা ‘আগের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা পাচ্ছে’ বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধের খবর ভুয়া ধানমন্ডি লেকে হবে ‘বিদ্রোহী চত্বর’ সারজি এবং হাসনাতের গাড়ি চাপা দেয়া ট্রাক ও ট্রাকের ড্রাইভার আটক রাষ্ট্রের যেসব বিষয়ে বড়সড় পরিবর্তনের কথা ভাবছে সংস্কার কমিশনগুলো

পরিবার নিয়ে কানাডায় যাওয়ার উপায়!

কাজী হালিমা আফরীন
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কানাডায় পরিরার নিয়ে আসার অনেক মাধ্যম রয়েছে। বেশিরভাগ মাধ্যমে requirements অনুযায়ী আবেদন করলে স্থায়ী বসবাস করার সুযোগ মেলে।

#1 ইমিগ্রান্ট : এই ভিসায় স্পাউস, ২২ বছরের নিচে বাচ্চাদের সঙ্গে আনা যাবে। আসার পর পাবেন কানাডার সকল সুবিধা। PR নিয়ে আসার তিন বছর পর সিটিজেনশিপ পরীক্ষায় পাশ করলেই সিটিজেন হওয়া যায়। তখন ভোট দিতে পারবেন। বাড়ি কিনতে পারবেন। লিগ্যালি সবকিছু করা যাবে। বাকিদের সিটিজেন হতে বেশি সময় লেগে যায়। কারণ প্রথমে তারা PR হবেন, তারপর তো সিটিজেন।

#2 স্টুডেন্ট ভিসা: স্পাউস ও বাচ্চাদের আনা যাবে। আসার ১৮ মাস পরে বাচ্চারা চাইল্ড বেনিফিটস পাবে। সঙ্গে সঙ্গে পাবলিক স্কুলে পড়তে পারবে। ডেকেয়ারে ফ্রি থাকতে পারবে। তবে আয় বেশি হলে ফি দিতে হয়। স্টুডেন্টদের হেল্থ বেনিফিটস আলাদা থাকে। স্টুডেন্টরা নিজের অর্থে বাড়ি কিনতে পারে। আমার একজন কলিগ কিনেছিল।আরো অনেক কিছু। তবে একটা কথা। স্পাউসরা আগে ওপেন ওয়ার্ক পারমিট পেতেন, এখন পাবেন না। শুধুমাত্র মাস্টার্স, ডক্টরেট এদের স্পাউসরা পাবেন।

#3. ওয়ার্ক পারমিট: আপনি দেশ থেকে জব অফার নিয়ে ওয়ার্ক পারমিটে আসলে সঙ্গে পরিবার নিয়ে আসতে পারবেন। স্পাউস ও dependent বাচ্চারা আসতে পারবে। বাচ্চারা ফ্রি স্কুলে পড়বে। চাইল্ড বেনিফিটস পায় আয়ের ওপর ভিত্তি করে। এখানে একটা সুবিধা আছে। স্পাউসরা পাবেন ওপেন ওয়ার্ক পারমিট। যা এখন ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমা স্টুডেন্টদের স্পাউসরা পাচ্ছেন না। ওপেন ওয়ার্ক পারমিট মানে কানাডায় যেকোনো কোম্পানিতে কাজ করা যাবে।

#4 কেয়ার গিভার ভিসা: এই ভিসায় স্পাউস ও বাচ্চাদের নিয়ে আসতে পারবেন। স্পাউস ওপেন ওয়ার্ক পারমিট পাবেন। বাচ্চারা স্কুলে পড়তে পারবে ফ্রি। এই ভিসার ওপর সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। মানে কেউ যদি আবেদন করেন, তাহলে হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটা যেহেতু কেয়ারের ব্যাপার সেইজন্য। দুই বছর পর স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন তখন নাগরিক হয়ে যাবেন। তবে এই ভিসায় আপনাকে জব অফার ম্যানেজ করতে হবে। তারপর ওয়ার্ক পারমিট। এই ভিসার সুবিধা হলো লেখাপড়া ও IELTS এত বেশি হাই লাগে না। কাজের অভিজ্ঞতা এক বছরের মতো হলেই হয়। বিভিন্ন কানাডিয়ান ওয়েবসাইট কেয়ারগিভার হায়ারের বিজ্ঞাপন থাকে।

#5 Asylum seeker: অনেকে ভিজিট ভিসায় এসে asylum seek করেন। পরিবারসহ। কেউ কেউ PR পেয়েছেন বা পাচ্ছেন শুনেছি। Asylum seeket দের বাচ্চারা স্কুলে ফ্রি পড়তে পারে স্থায়ী বসবাসের আগেই। তবে এই ভিসায় জীবনধারণ অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। অনেকেই ইংরেজিতে দক্ষ না হওয়ায় প্রফেশনাল কাজ জুটাতে পারেন না।

আপনার যদি সকল কোয়ালিটি থাকে তাহলে ইমিগ্রেশনের জন্য আবেদন করা শ্রেয়। যদিও আগাতে কম নিবে তাই প্রতিযোগিতাও হবে বেশি। তবে ভাগ্যে থাকলে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আল্লাহ সবই করেন।

আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।

কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পরিবার নিয়ে কানাডায় যাওয়ার উপায়!

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

 

কানাডায় পরিরার নিয়ে আসার অনেক মাধ্যম রয়েছে। বেশিরভাগ মাধ্যমে requirements অনুযায়ী আবেদন করলে স্থায়ী বসবাস করার সুযোগ মেলে।

#1 ইমিগ্রান্ট : এই ভিসায় স্পাউস, ২২ বছরের নিচে বাচ্চাদের সঙ্গে আনা যাবে। আসার পর পাবেন কানাডার সকল সুবিধা। PR নিয়ে আসার তিন বছর পর সিটিজেনশিপ পরীক্ষায় পাশ করলেই সিটিজেন হওয়া যায়। তখন ভোট দিতে পারবেন। বাড়ি কিনতে পারবেন। লিগ্যালি সবকিছু করা যাবে। বাকিদের সিটিজেন হতে বেশি সময় লেগে যায়। কারণ প্রথমে তারা PR হবেন, তারপর তো সিটিজেন।

#2 স্টুডেন্ট ভিসা: স্পাউস ও বাচ্চাদের আনা যাবে। আসার ১৮ মাস পরে বাচ্চারা চাইল্ড বেনিফিটস পাবে। সঙ্গে সঙ্গে পাবলিক স্কুলে পড়তে পারবে। ডেকেয়ারে ফ্রি থাকতে পারবে। তবে আয় বেশি হলে ফি দিতে হয়। স্টুডেন্টদের হেল্থ বেনিফিটস আলাদা থাকে। স্টুডেন্টরা নিজের অর্থে বাড়ি কিনতে পারে। আমার একজন কলিগ কিনেছিল।আরো অনেক কিছু। তবে একটা কথা। স্পাউসরা আগে ওপেন ওয়ার্ক পারমিট পেতেন, এখন পাবেন না। শুধুমাত্র মাস্টার্স, ডক্টরেট এদের স্পাউসরা পাবেন।

#3. ওয়ার্ক পারমিট: আপনি দেশ থেকে জব অফার নিয়ে ওয়ার্ক পারমিটে আসলে সঙ্গে পরিবার নিয়ে আসতে পারবেন। স্পাউস ও dependent বাচ্চারা আসতে পারবে। বাচ্চারা ফ্রি স্কুলে পড়বে। চাইল্ড বেনিফিটস পায় আয়ের ওপর ভিত্তি করে। এখানে একটা সুবিধা আছে। স্পাউসরা পাবেন ওপেন ওয়ার্ক পারমিট। যা এখন ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমা স্টুডেন্টদের স্পাউসরা পাচ্ছেন না। ওপেন ওয়ার্ক পারমিট মানে কানাডায় যেকোনো কোম্পানিতে কাজ করা যাবে।

#4 কেয়ার গিভার ভিসা: এই ভিসায় স্পাউস ও বাচ্চাদের নিয়ে আসতে পারবেন। স্পাউস ওপেন ওয়ার্ক পারমিট পাবেন। বাচ্চারা স্কুলে পড়তে পারবে ফ্রি। এই ভিসার ওপর সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। মানে কেউ যদি আবেদন করেন, তাহলে হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটা যেহেতু কেয়ারের ব্যাপার সেইজন্য। দুই বছর পর স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন তখন নাগরিক হয়ে যাবেন। তবে এই ভিসায় আপনাকে জব অফার ম্যানেজ করতে হবে। তারপর ওয়ার্ক পারমিট। এই ভিসার সুবিধা হলো লেখাপড়া ও IELTS এত বেশি হাই লাগে না। কাজের অভিজ্ঞতা এক বছরের মতো হলেই হয়। বিভিন্ন কানাডিয়ান ওয়েবসাইট কেয়ারগিভার হায়ারের বিজ্ঞাপন থাকে।

#5 Asylum seeker: অনেকে ভিজিট ভিসায় এসে asylum seek করেন। পরিবারসহ। কেউ কেউ PR পেয়েছেন বা পাচ্ছেন শুনেছি। Asylum seeket দের বাচ্চারা স্কুলে ফ্রি পড়তে পারে স্থায়ী বসবাসের আগেই। তবে এই ভিসায় জীবনধারণ অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। অনেকেই ইংরেজিতে দক্ষ না হওয়ায় প্রফেশনাল কাজ জুটাতে পারেন না।

আপনার যদি সকল কোয়ালিটি থাকে তাহলে ইমিগ্রেশনের জন্য আবেদন করা শ্রেয়। যদিও আগাতে কম নিবে তাই প্রতিযোগিতাও হবে বেশি। তবে ভাগ্যে থাকলে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আল্লাহ সবই করেন।

আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।

কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা।