ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল

পরিবার, স্বপ্ন এবং এক ঝলক উদ্যোগের গল্প

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 129
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

*প্রথম কথা: পরিবারের অবিচল সমর্থন*

জীবনের যেকোনো সফল যাত্রার প্রথম শর্ত হলো পরিবারের পাশে থাকা। আলহামদুলিল্লাহ, আমি সেই সৌভাগ্যবতী যিনি শুরু থেকেই পরিবারের অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি। আমার মা-বাবা, স্বামী, ভাই এবং ভাবি শুধু অনুপ্রেরণাই দেননি, আমার ছোট্ট সন্তানের দেখভালের দায়িত্বও নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তাদের এই অবদান ছাড়া আজ আমি যেখানেই থাকি না কেন, এতটুকুও এগোতে পারতাম না।

*শৈশব থেকে সেলাই মেশিনে: ফ্যাশনের প্রতি ভালোবাসা*
শৈশব থেকেই নতুন ডিজাইনের জামা-কাপড়ের প্রতি আমার আলাদা আকর্ষণ ছিল। আম্মুকে দেখতাম কীভাবে সুতো আর কাপড় জুড়ে আমার জন্য বানিয়ে দিতেন রঙিন পোশাক। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের মনের ডিজাইনকে রূপ দিতে শিখলাম। কিশোরী বয়সেই নিজের জামা নিজেই সেলাই করা শুরু করি। শখের বসে কাজিনদের জন্যও বানাতাম নানা স্টাইলের পোশাক। এভাবেই একসময় শখ পেশায় রূপ নেওয়ার পথ তৈরি হলো।

অনলাইন জগতে পা রাখা: ফেমিস ফেসতা গ্রুপের অনুপ্রেরণা
২০১৪ সালে ফেসবুকের জনপ্রিয় নারী উদ্যোক্তাদের গ্রুপ “ফেমিস ফেসতা”-এ যুক্ত হই। ৭৬,০০০ সদস্যের সেই গ্রুপে নারীদের সৃজনশীল কাজ দেখে আমি মুগ্ধ! কীভাবে অনলাইনে নারী উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা গুছিয়ে তুলছেন, সেটা দেখে নিজের মধ্যেও জাগলো সাহস। তখনই তৈরি করলাম “Armina’s Closet” নামে একটি ফেসবুক পেজ।

*Armin’s Closet: স্বপ্নের ডিজাইনের স্থান*
এই পেজে আমি তুলে ধরেছি মেয়েদের জন্য দেশীয় ও ভারতীয় স্টাইলের মিশেলে আমার নিজের ডিজাইন করা পোশাক। গ্রুপের সদস্য এবং ক্রেতাদের কাছ থেকে পেয়েছি অসম্ভব ভালো সাড়া। প্রতিটি ডিজাইনে আমি যত্ন করে ফুটিয়ে তুলি আমার অভিজ্ঞতা আর সৃজনশীলতা। গ্রাহকদের সন্তুষ্টিই আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা।

*ভবিষ্যতের পথচলা: সকলের পাশে পেলে এগিয়ে যাবো*
আজ আমার এই ছোট্ট প্রচেষ্টা শুধুই শুরু। আমি বিশ্বাস করি পরিবারের ভালোবাসা আর আপনাদের সমর্থন পেলে একদিন Armina’s Closet হয়ে উঠবে অনেক বড় একটি ব্র্যান্ড। প্রতিটি পোশাকে যেন লেগে থাকে বাংলাদেশের ঐতিহ্য আর আধুনিকতার ছোঁয়া—সেই স্বপ্ন নিয়ে আমি প্রতিদিন কাজ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পরিবার, স্বপ্ন এবং এক ঝলক উদ্যোগের গল্প

আপডেট সময় : ০৭:৩৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

*প্রথম কথা: পরিবারের অবিচল সমর্থন*

জীবনের যেকোনো সফল যাত্রার প্রথম শর্ত হলো পরিবারের পাশে থাকা। আলহামদুলিল্লাহ, আমি সেই সৌভাগ্যবতী যিনি শুরু থেকেই পরিবারের অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি। আমার মা-বাবা, স্বামী, ভাই এবং ভাবি শুধু অনুপ্রেরণাই দেননি, আমার ছোট্ট সন্তানের দেখভালের দায়িত্বও নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তাদের এই অবদান ছাড়া আজ আমি যেখানেই থাকি না কেন, এতটুকুও এগোতে পারতাম না।

*শৈশব থেকে সেলাই মেশিনে: ফ্যাশনের প্রতি ভালোবাসা*
শৈশব থেকেই নতুন ডিজাইনের জামা-কাপড়ের প্রতি আমার আলাদা আকর্ষণ ছিল। আম্মুকে দেখতাম কীভাবে সুতো আর কাপড় জুড়ে আমার জন্য বানিয়ে দিতেন রঙিন পোশাক। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের মনের ডিজাইনকে রূপ দিতে শিখলাম। কিশোরী বয়সেই নিজের জামা নিজেই সেলাই করা শুরু করি। শখের বসে কাজিনদের জন্যও বানাতাম নানা স্টাইলের পোশাক। এভাবেই একসময় শখ পেশায় রূপ নেওয়ার পথ তৈরি হলো।

অনলাইন জগতে পা রাখা: ফেমিস ফেসতা গ্রুপের অনুপ্রেরণা
২০১৪ সালে ফেসবুকের জনপ্রিয় নারী উদ্যোক্তাদের গ্রুপ “ফেমিস ফেসতা”-এ যুক্ত হই। ৭৬,০০০ সদস্যের সেই গ্রুপে নারীদের সৃজনশীল কাজ দেখে আমি মুগ্ধ! কীভাবে অনলাইনে নারী উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা গুছিয়ে তুলছেন, সেটা দেখে নিজের মধ্যেও জাগলো সাহস। তখনই তৈরি করলাম “Armina’s Closet” নামে একটি ফেসবুক পেজ।

*Armin’s Closet: স্বপ্নের ডিজাইনের স্থান*
এই পেজে আমি তুলে ধরেছি মেয়েদের জন্য দেশীয় ও ভারতীয় স্টাইলের মিশেলে আমার নিজের ডিজাইন করা পোশাক। গ্রুপের সদস্য এবং ক্রেতাদের কাছ থেকে পেয়েছি অসম্ভব ভালো সাড়া। প্রতিটি ডিজাইনে আমি যত্ন করে ফুটিয়ে তুলি আমার অভিজ্ঞতা আর সৃজনশীলতা। গ্রাহকদের সন্তুষ্টিই আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা।

*ভবিষ্যতের পথচলা: সকলের পাশে পেলে এগিয়ে যাবো*
আজ আমার এই ছোট্ট প্রচেষ্টা শুধুই শুরু। আমি বিশ্বাস করি পরিবারের ভালোবাসা আর আপনাদের সমর্থন পেলে একদিন Armina’s Closet হয়ে উঠবে অনেক বড় একটি ব্র্যান্ড। প্রতিটি পোশাকে যেন লেগে থাকে বাংলাদেশের ঐতিহ্য আর আধুনিকতার ছোঁয়া—সেই স্বপ্ন নিয়ে আমি প্রতিদিন কাজ করছি।