ঢাকা ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
  • / 172
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
“পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম” (polycystic ovarian syndrome)
বাচ্চা না হবার জন্য যেসব মেয়েরা ডাক্তারের কাছে যায়, তাদের একটা বড় অংশ “পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম” রোগে ভুগে থাকেন। এসব রোগী যখন খুব চিন্তিত মুখে ডাক্তারকে অনেক সমস্যার কথা বলেন যেমন: মাসিক অনিয়মিত, হরমনের সমস্যা, গায়ে লোম বেশি, ওভারিতে সিস্ট। কিছু কিছু ক্ষেএ ছাড়া, বেশিরভাগ রোগী সামান্য চিকিৎসায়ই গর্ভধারণ করতে সক্ষম হয়।
 
এইসব রোগীদের মূল সমস্যা হচ্ছে প্রচুর ডিম্বাণু থাকা সত্ত্বেও তাদের বাচ্চা হয় না, ডিম্বানু অপরিপক্ক ও ওভুলেশন না হওয়ার কারণে । সুতরাং এদের চিকিৎসা হচ্ছে ওভুলেশন করানো। ওভুলেশন করানোর জন্য বহু ধরনের ড্রাগ (Medicine) আমাদের দেশে পাওয়া যায়।
 
প্রথমত রোগী ও তার স্বামীর ধৈর্য থাকতে হবে। কারণ এদের চিকিৎসা করতে হয় ধাপে ধাপে। প্রতিটি ধাপে দরকার হয় মনিটরিং। আর সে মনিটরিং-এর জন্য আবশ্যক একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম। যা থাকতে হবে গাইনোকলোজিস্টের হাতের কাছেই। কারো কারো শুধুমাত্র একটা ড্রাগেই কাজ হয়, কারো দুইটা, কারো তিনটা, কারো লাগে ইঞ্জেকশন।
 
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ল্যাপারস্কোপির দরকার হয়। খুব কম ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় উন্নত চিকিৎসার যেমন- আই.ইউ.আই (IUI) ও আই. ভি.এফ (IVF) বা টেস্টটিউব (Test Tube) বেবী। এছাড়া ওভুলেশন করার পাশাপাশি এদের আরো কিছু চিকিৎসার দরকার হয়, যেমনঃ ওজন কমানো (ডায়েট ও এক্সারসাইজ), হরমনের সমস্যা, হাই-ব্লাড প্রেসার (উচ্চ রক্ত চাপ) বা ডায়েবেটিস থাকলে তার চিকিৎসা এবং সর্বোপরি সবসময় ফলো আপ-এ থাকা। কারণ পরবর্তীতে এদের হাই-ব্লাড প্রেসার (উচ্চ রক্ত চাপ), ডায়েবেটিস, হার্টের রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে।
 
এসব রোগীর চিকিৎসার সময় আর একটা ভুল অনেক ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, সেটা হচ্ছে স্বামীর Semen Test করতে ভুলে যাওয়া। এসব মেয়েদের চিকিৎসার সময় অবশ্যই স্বামীর Semen Test (specially semen volume, quantity of sperm & healthy sperm) করে দেখতে হবে তার কোন সমস্যা আছে কিনা।
 
“পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম” রোগীদের চিকিৎসা খুবই আশাব্যঞ্জক। কিন্তু সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা গেলে রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। স্ত্রী ও স্বামীর ইচ্ছা, পর্যাপ্ত জ্ঞান ও ব্যবহারিক শিক্ষা না থাকলে তা সম্ভব হয় না। পরিশেষে বলা যায়, অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ গাইনোকোলোজিস্ট দেখান, চিন্তামুক্ত ও সুস্থ জীবন-যাপন করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম

আপডেট সময় : ০২:০৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
“পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম” (polycystic ovarian syndrome)
বাচ্চা না হবার জন্য যেসব মেয়েরা ডাক্তারের কাছে যায়, তাদের একটা বড় অংশ “পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম” রোগে ভুগে থাকেন। এসব রোগী যখন খুব চিন্তিত মুখে ডাক্তারকে অনেক সমস্যার কথা বলেন যেমন: মাসিক অনিয়মিত, হরমনের সমস্যা, গায়ে লোম বেশি, ওভারিতে সিস্ট। কিছু কিছু ক্ষেএ ছাড়া, বেশিরভাগ রোগী সামান্য চিকিৎসায়ই গর্ভধারণ করতে সক্ষম হয়।
 
এইসব রোগীদের মূল সমস্যা হচ্ছে প্রচুর ডিম্বাণু থাকা সত্ত্বেও তাদের বাচ্চা হয় না, ডিম্বানু অপরিপক্ক ও ওভুলেশন না হওয়ার কারণে । সুতরাং এদের চিকিৎসা হচ্ছে ওভুলেশন করানো। ওভুলেশন করানোর জন্য বহু ধরনের ড্রাগ (Medicine) আমাদের দেশে পাওয়া যায়।
 
প্রথমত রোগী ও তার স্বামীর ধৈর্য থাকতে হবে। কারণ এদের চিকিৎসা করতে হয় ধাপে ধাপে। প্রতিটি ধাপে দরকার হয় মনিটরিং। আর সে মনিটরিং-এর জন্য আবশ্যক একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম। যা থাকতে হবে গাইনোকলোজিস্টের হাতের কাছেই। কারো কারো শুধুমাত্র একটা ড্রাগেই কাজ হয়, কারো দুইটা, কারো তিনটা, কারো লাগে ইঞ্জেকশন।
 
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ল্যাপারস্কোপির দরকার হয়। খুব কম ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় উন্নত চিকিৎসার যেমন- আই.ইউ.আই (IUI) ও আই. ভি.এফ (IVF) বা টেস্টটিউব (Test Tube) বেবী। এছাড়া ওভুলেশন করার পাশাপাশি এদের আরো কিছু চিকিৎসার দরকার হয়, যেমনঃ ওজন কমানো (ডায়েট ও এক্সারসাইজ), হরমনের সমস্যা, হাই-ব্লাড প্রেসার (উচ্চ রক্ত চাপ) বা ডায়েবেটিস থাকলে তার চিকিৎসা এবং সর্বোপরি সবসময় ফলো আপ-এ থাকা। কারণ পরবর্তীতে এদের হাই-ব্লাড প্রেসার (উচ্চ রক্ত চাপ), ডায়েবেটিস, হার্টের রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে।
 
এসব রোগীর চিকিৎসার সময় আর একটা ভুল অনেক ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, সেটা হচ্ছে স্বামীর Semen Test করতে ভুলে যাওয়া। এসব মেয়েদের চিকিৎসার সময় অবশ্যই স্বামীর Semen Test (specially semen volume, quantity of sperm & healthy sperm) করে দেখতে হবে তার কোন সমস্যা আছে কিনা।
 
“পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম” রোগীদের চিকিৎসা খুবই আশাব্যঞ্জক। কিন্তু সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা গেলে রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। স্ত্রী ও স্বামীর ইচ্ছা, পর্যাপ্ত জ্ঞান ও ব্যবহারিক শিক্ষা না থাকলে তা সম্ভব হয় না। পরিশেষে বলা যায়, অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ গাইনোকোলোজিস্ট দেখান, চিন্তামুক্ত ও সুস্থ জীবন-যাপন করুন।