ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড: মুহাম্মদ ইউনুস ইন্ডিয়ার জায়গামত আঘাত করেছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাজনৈতিক দলের ঐক্য ভারত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরে বাধ্য: ড. ইউনূস মুন্নী সাহা সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে বেতনের বাইরে জমা হয় ১৩৪ কোটি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে আ. লীগের দৃষ্টিতে দেখা বন্ধ করতে হবে : ভারতকে নাহিদ ইসলাম “ছাত্রদের ভূমিকা ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা” অশান্তির জন্য মহম্মদ ইউনূসকেই দায়ী করলেন শেখ হাসিনা৷ ফেরত চাওয়া হবে শেখ হাসিনাকে, মানতে বাধ্য ভারত: ড. ইউনূস আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার: শ্বেতপত্রে উন্মোচিত সাংবাদিক মুন্নী সাহা গ্রেপ্তার অচিরেই কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা: উপদেষ্টা আসিফ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত কেন তথ্যযুদ্ধে নেমেছে? ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল কোটি টাকার বাস ৯০ লাখে বানাবে বিআরটিসি ভয়েস অব আমেরিকার জরিপ: সংখ্যালঘুরা ‘আগের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা পাচ্ছে’ বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধের খবর ভুয়া ধানমন্ডি লেকে হবে ‘বিদ্রোহী চত্বর’ সারজি এবং হাসনাতের গাড়ি চাপা দেয়া ট্রাক ও ট্রাকের ড্রাইভার আটক রাষ্ট্রের যেসব বিষয়ে বড়সড় পরিবর্তনের কথা ভাবছে সংস্কার কমিশনগুলো

পাকিস্তান-বাংলাদেশ জাহাজ চলাচল : ইতিহাসে টার্নিং পয়েন্ট?

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৩:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী করাচি থেকে গত সপ্তাহে একটি পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে। ১৯৭১ সালের পর এটিই প্রথম কোনও পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজের বাংলাদেশে নোঙর করার ঘটনা।

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক যোগাযোগকে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বড় পদক্ষেপ” হিসাবে বর্ণনা করেছে। আর এই ঘটনাটি দুই দেশের মধ্যে “ঐতিহাসিকভাবে দুর্বল সম্পর্কের” ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে।

তবে চলতি বছরের আগস্টে গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকেই এই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

হাসিনা, পাকিস্তান ও ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঢাকার কিছু সরকারের অধীনে তিক্ত হয়েছে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার অধীনে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন (১৯৯৬-২০০১, ২০০৯-২০২৪) তিনি ১৯৭১ সালে “যুদ্ধাপরাধের দায়ে” “সহযোগী” বা রাজাকারদের নির্মমভাবে বিচার করেছিলেন।

তিনি “যুদ্ধাপরাধীদের” বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন এবং ২০১৩ সালে এই ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করে। হাসিনার শাসনামলে ফাঁসি কার্যকর হওয়া অনেক বিরোধী নেতার মধ্যে তিনিই ছিলেন প্রথম।

আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডকে পাকিস্তানের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “এতে কোনও সন্দেহ নেই যে— ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের প্রতি তার আনুগত্য এবং সংহতির কারণে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে”।

একইসঙ্গে হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলেন। হাসিনা নিজেই নেহেরু-গান্ধী পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখতেন এবং ১৯৭৫ সালে তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তাকে নয়াদিল্লিতে আশ্রয়ও দেওয়া হয়েছিল।

পাকিস্তানের জন্য নতুন সূচনা

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দাবি, গত আগস্টে ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনে হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সময় আশপাশে ঘটা তিনটি ঘটনা এখন যা ঘটছে সেই প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য।

প্রথমত, হাসিনা দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তার দল ও পরিবারের অবদান থেকে রাজনৈতিক সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু ছাত্রদের বিক্ষোভ যেমন সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছে— বিক্ষোভ ও প্রতিবাদকারীদের রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করার কৌশল কোনও কাজই করেনি।

দ্বিতীয়ত, নয়াদিল্লির সঙ্গে হাসিনার “অতি ঘনিষ্ঠ” সম্পর্কের জন্য বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভও ছিল। অনেকে মনে করতেন, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারত খুব বেশি করে জড়িয়ে পড়ছে এবং হাসিনার প্রতি প্রকাশিত ক্ষোভকে “ভারত-বিরোধী” মনোভাব হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, গত আগস্ট মাসে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজধানীতে চালু থাকা ভারতীয় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (আইজিসিসি) ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

তৃতীয়ত, সংখ্যালঘু নিয়ে বাংলাদেশে সর্বদাই একটি আখ্যান বা বর্ণনা বিরাজমান আছে। আর সেটি ১৯৭১ সালের ঘটনাকে মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিজয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নয় বরং মুসলিম জাতির ট্র্যাজেডি এবং দেশভাগের প্রতিশ্রুতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। ঢাকায় হাসিনা-পরবর্তী সরকার ব্যবস্থায় ইসলামপন্থি জামায়াতে ইসলামীর শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে।

আর এই সব বিষয়ই বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হাত প্রসারিত করার জন্য পাকিস্তানের পক্ষে আদর্শ পরিস্থিতি গড়ে তুলেছে। শেখ হাসিনার ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার পরের মাসগুলোতে একাধিক পাকিস্তানি সম্পাদকীয় ও মতামত-প্রবন্ধগুলোতে এই বিষয়টি উল্লেখও করা হয়েছে।

অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানি কূটনীতিক বুরহানুল ইসলাম নিউজ পোর্টাল প্যারাডিজম শিফটে লিখেছেন, “স্পষ্টতই এখন সময় এসেছে বাঙালি এবং বাংলাদেশের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার… ১৯৭১ সালের তিক্ত অনুভূতিগুলোকে সরিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ উভয়েরই তাদের সম্পর্ক পুনর্গঠন করা উচিত।”

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারও এখন পর্যন্ত ইসলামাবাদের বিভিন্ন প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সাথে বৈঠক করেন।

ওই বৈঠকে উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করার এবং উভয় দেশের সম্পর্কের “নতুন পৃষ্ঠা” চালু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাকিস্তান-বাংলাদেশ জাহাজ চলাচল : ইতিহাসে টার্নিং পয়েন্ট?

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী করাচি থেকে গত সপ্তাহে একটি পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে। ১৯৭১ সালের পর এটিই প্রথম কোনও পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজের বাংলাদেশে নোঙর করার ঘটনা।

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক যোগাযোগকে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বড় পদক্ষেপ” হিসাবে বর্ণনা করেছে। আর এই ঘটনাটি দুই দেশের মধ্যে “ঐতিহাসিকভাবে দুর্বল সম্পর্কের” ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে।

তবে চলতি বছরের আগস্টে গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকেই এই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

হাসিনা, পাকিস্তান ও ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঢাকার কিছু সরকারের অধীনে তিক্ত হয়েছে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার অধীনে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন (১৯৯৬-২০০১, ২০০৯-২০২৪) তিনি ১৯৭১ সালে “যুদ্ধাপরাধের দায়ে” “সহযোগী” বা রাজাকারদের নির্মমভাবে বিচার করেছিলেন।

তিনি “যুদ্ধাপরাধীদের” বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন এবং ২০১৩ সালে এই ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করে। হাসিনার শাসনামলে ফাঁসি কার্যকর হওয়া অনেক বিরোধী নেতার মধ্যে তিনিই ছিলেন প্রথম।

আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডকে পাকিস্তানের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “এতে কোনও সন্দেহ নেই যে— ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের প্রতি তার আনুগত্য এবং সংহতির কারণে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে”।

একইসঙ্গে হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলেন। হাসিনা নিজেই নেহেরু-গান্ধী পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখতেন এবং ১৯৭৫ সালে তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তাকে নয়াদিল্লিতে আশ্রয়ও দেওয়া হয়েছিল।

পাকিস্তানের জন্য নতুন সূচনা

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দাবি, গত আগস্টে ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনে হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সময় আশপাশে ঘটা তিনটি ঘটনা এখন যা ঘটছে সেই প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য।

প্রথমত, হাসিনা দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তার দল ও পরিবারের অবদান থেকে রাজনৈতিক সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু ছাত্রদের বিক্ষোভ যেমন সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছে— বিক্ষোভ ও প্রতিবাদকারীদের রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করার কৌশল কোনও কাজই করেনি।

দ্বিতীয়ত, নয়াদিল্লির সঙ্গে হাসিনার “অতি ঘনিষ্ঠ” সম্পর্কের জন্য বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভও ছিল। অনেকে মনে করতেন, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারত খুব বেশি করে জড়িয়ে পড়ছে এবং হাসিনার প্রতি প্রকাশিত ক্ষোভকে “ভারত-বিরোধী” মনোভাব হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, গত আগস্ট মাসে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজধানীতে চালু থাকা ভারতীয় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (আইজিসিসি) ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

তৃতীয়ত, সংখ্যালঘু নিয়ে বাংলাদেশে সর্বদাই একটি আখ্যান বা বর্ণনা বিরাজমান আছে। আর সেটি ১৯৭১ সালের ঘটনাকে মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিজয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নয় বরং মুসলিম জাতির ট্র্যাজেডি এবং দেশভাগের প্রতিশ্রুতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। ঢাকায় হাসিনা-পরবর্তী সরকার ব্যবস্থায় ইসলামপন্থি জামায়াতে ইসলামীর শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে।

আর এই সব বিষয়ই বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হাত প্রসারিত করার জন্য পাকিস্তানের পক্ষে আদর্শ পরিস্থিতি গড়ে তুলেছে। শেখ হাসিনার ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার পরের মাসগুলোতে একাধিক পাকিস্তানি সম্পাদকীয় ও মতামত-প্রবন্ধগুলোতে এই বিষয়টি উল্লেখও করা হয়েছে।

অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানি কূটনীতিক বুরহানুল ইসলাম নিউজ পোর্টাল প্যারাডিজম শিফটে লিখেছেন, “স্পষ্টতই এখন সময় এসেছে বাঙালি এবং বাংলাদেশের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার… ১৯৭১ সালের তিক্ত অনুভূতিগুলোকে সরিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ উভয়েরই তাদের সম্পর্ক পুনর্গঠন করা উচিত।”

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারও এখন পর্যন্ত ইসলামাবাদের বিভিন্ন প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সাথে বৈঠক করেন।

ওই বৈঠকে উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করার এবং উভয় দেশের সম্পর্কের “নতুন পৃষ্ঠা” চালু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।