ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা!

পানামা ফারুক: তাহসানের শ্বশুরের বিতর্কিত ইতিহাস

মনোয়ার আলম নির্ঝর
  • আপডেট সময় : ০৫:২১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 125
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তাহসানের বউরে দেখে সবাই লাফাইয়া উঠছে। আমি লাফাইয়া উঠছি তার শশুরের নাম শুনে। তাহসানের শশুরের নাম হল ফারুক আহমেদ । যদিও বরিশালের সবাই তাকে চেনে পানামা ফারুক নামে। বাজার রোডের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী বেপারীর ছেলে এই ফারুক ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বরিশালে ‘ত্রাস’ হিসেবে আবির্ভূত হন। সংগঠনে কোনো পদ-পদবী না থাকলেও তিনি নিজেকে যুবলীগ নেতা হিসাবেই সর্বত্র পারিচয় দিতেন।

সে সময় বাজার রোডে ফারুকের বাবা ইয়াকুব আলী বেপারীর রড-সিমেন্ট-ঢেউটিনের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো। বড় মেয়ে পানামা’র নামে তিনি (ইয়াকুব আলী) প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছিলেন ‘পানামা ট্রেডার্স’। আর পৈত্রিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামানুসারে ফারুক আহমেদ নগরীতে পরিচিতি পান ‘পানামা ফারুক’ নামে।

৯৬’র নির্বাচন পরবর্তী আওয়ামীলীগ শাসনমালে নগরীর উত্তরাংশ বাজার রোড-আমানতগঞ্জ এলাকায় ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলো পানামা ফারুক।

নিজের নামে বাজার রোড এলাকায় ‘পানামা বাহিনী’ নামে একটি বাহিনী গড়ে তোলেন। আর ভাই মাহাবুবুর রহমান ছক্কু ছিলেন সেই বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। পানামা বাহিনীর সদস্যরা বাজার রোডে একটি টর্চার সেল তৈরী করেছিলো। ব্যবসায়ী ও বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক নেতাকর্মিদের টর্চার সেলে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালাতো তারা।

২০০১ সালে নির্বাচনের আগে কাউনিয়ায় পৃথক ঘটনায় খুন হয় রাহাত ও পুলিশ কামাল। ওই দুই হত্যাকাণ্ডে পানামা ফারুকসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই পানামা ফারুক ও ছক্কু বিদেশে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে ছক্কু ইটালীতে গিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করে।

সরকার পরিবর্তন হলে ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর পানামা ফারুক বরিশালের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে। ২০১০ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক বিবেচনায় কামাল হত্যা মামলাটি প্রত্যাহার করে। ২০১১ সালের ১৯ আগস্ট রাহাত হত্যা মামলার রায়েও আসামি পানামা ফারুক খালাস পায়।

২০১৩ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি আট নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মো. সেলিম হাওলাদারের কাছে পরাজিত হন। কিন্তু তার দখল চলতেই থাকে। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীক কোণদলের জেরে র‍্যাবের মাধ্যমে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যা করা হয় পানামা ফারুককে।

ফারুকের এক ছেলে ও এক মেয়ে। তভে তার বাবার আদিনিবাস শরীয়তপুরে। প্রায় ৫০ বছর আগে সেখান থেকে বরিশালে চলে আসে তার পিতা।

যদিও তাহসানের বউ এর এক প্রেমিককে নিয়ে বরিশাল শহরে বেশ আলোচনা হচ্ছে, সেটা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। এটা আবার বেশি পারসোনাল ইস্যু।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পানামা ফারুক: তাহসানের শ্বশুরের বিতর্কিত ইতিহাস

আপডেট সময় : ০৫:২১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

তাহসানের বউরে দেখে সবাই লাফাইয়া উঠছে। আমি লাফাইয়া উঠছি তার শশুরের নাম শুনে। তাহসানের শশুরের নাম হল ফারুক আহমেদ । যদিও বরিশালের সবাই তাকে চেনে পানামা ফারুক নামে। বাজার রোডের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী বেপারীর ছেলে এই ফারুক ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বরিশালে ‘ত্রাস’ হিসেবে আবির্ভূত হন। সংগঠনে কোনো পদ-পদবী না থাকলেও তিনি নিজেকে যুবলীগ নেতা হিসাবেই সর্বত্র পারিচয় দিতেন।

সে সময় বাজার রোডে ফারুকের বাবা ইয়াকুব আলী বেপারীর রড-সিমেন্ট-ঢেউটিনের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো। বড় মেয়ে পানামা’র নামে তিনি (ইয়াকুব আলী) প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছিলেন ‘পানামা ট্রেডার্স’। আর পৈত্রিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামানুসারে ফারুক আহমেদ নগরীতে পরিচিতি পান ‘পানামা ফারুক’ নামে।

৯৬’র নির্বাচন পরবর্তী আওয়ামীলীগ শাসনমালে নগরীর উত্তরাংশ বাজার রোড-আমানতগঞ্জ এলাকায় ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলো পানামা ফারুক।

নিজের নামে বাজার রোড এলাকায় ‘পানামা বাহিনী’ নামে একটি বাহিনী গড়ে তোলেন। আর ভাই মাহাবুবুর রহমান ছক্কু ছিলেন সেই বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। পানামা বাহিনীর সদস্যরা বাজার রোডে একটি টর্চার সেল তৈরী করেছিলো। ব্যবসায়ী ও বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক নেতাকর্মিদের টর্চার সেলে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালাতো তারা।

২০০১ সালে নির্বাচনের আগে কাউনিয়ায় পৃথক ঘটনায় খুন হয় রাহাত ও পুলিশ কামাল। ওই দুই হত্যাকাণ্ডে পানামা ফারুকসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই পানামা ফারুক ও ছক্কু বিদেশে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে ছক্কু ইটালীতে গিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করে।

সরকার পরিবর্তন হলে ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর পানামা ফারুক বরিশালের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে। ২০১০ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক বিবেচনায় কামাল হত্যা মামলাটি প্রত্যাহার করে। ২০১১ সালের ১৯ আগস্ট রাহাত হত্যা মামলার রায়েও আসামি পানামা ফারুক খালাস পায়।

২০১৩ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি আট নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মো. সেলিম হাওলাদারের কাছে পরাজিত হন। কিন্তু তার দখল চলতেই থাকে। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীক কোণদলের জেরে র‍্যাবের মাধ্যমে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যা করা হয় পানামা ফারুককে।

ফারুকের এক ছেলে ও এক মেয়ে। তভে তার বাবার আদিনিবাস শরীয়তপুরে। প্রায় ৫০ বছর আগে সেখান থেকে বরিশালে চলে আসে তার পিতা।

যদিও তাহসানের বউ এর এক প্রেমিককে নিয়ে বরিশাল শহরে বেশ আলোচনা হচ্ছে, সেটা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। এটা আবার বেশি পারসোনাল ইস্যু।