ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচন সংস্কার কমিশন গঠন আমি স্যামসাং ব্যবহার করি, স্ক্রিনশট গেছে আইফোনের : জনপ্রশাসন সচিব উন্নয়নের ভ্রান্ত ধারণা: ঋণে ডুবে থাকা দেশ টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম আমার টাকা-পয়সার প্রতি লোভ নেই, ৫ কোটি হলেই চলবে এক দিনেই হাওয়া ৮ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন অবশেষে দেখা মিলল আসাদুজ্জামান কামালের ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ কারাগারে কেমন আছেন ‘ভিআইপি’ বন্দীরা একটি ফোনকল যেভাবে বদলে দিয়েছে ড. ইউনূসের জীবনের গতিপথ ড. ইউনুসের Three Zeros থিয়োরি বর্তমান উপদেষ্টাদের সঙ্গে নতুন চার-পাঁচজন মুখ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকটি জাতীয় দিবস বাতিল করতে পারে সরকার সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ গায়েব: উপদেষ্টা “প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস: বাংলার গর্ব, বৈশ্বিক সম্প্রীতির প্রতীক” খেলোয়াড় সাকিবের নিরাপত্তা আছে, ফ্যাসিস্ট সাকিবের ক্ষেত্রে অবান্তর: ক্রীড়া উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সম্মেলন থেকে কী অর্জন করলেন? জাতিসংঘে তিন-শুন্যের ধারণা দিলেন ড. ইউনুস যন্ত্রণার নাম ব্যাটারি রিকশা তরুণ সমাজের অফুরান শক্তি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে— ড. ইউনূস

পুরুষ কেন নারীর চেয়ে আরও বেশি নিঃসঙ্গ

ডা. অপূর্ব চৌধুরী
  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২ ১৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জগতে পুরুষরা অনেক একা, অনেক পুরুষই একা । বাহিরে বেশিরভাগ পুরুষ সেটা বলে না । বেশিরভাগ পুরুষদের একাকীত্ব বোঝা যায় না । তাদের পরিবার থাকে, সঙ্গিনী থাকে, সন্তান থাকে, অর্থ-প্রতিপত্তি থাকলে চারপাশে বন্ধুরও অভাব থাকে না ।
পুরুষরা কাঁদে কম, কিন্তু কষ্ট পায় অনেক বেশি । গভীর কষ্টের কোন জল থাকে না ।
নারী কেঁদে তার কষ্টকে কমিয়ে দেয়, কমিয়ে দিতে পারে, এবং সত্যি সত্যি নারীদের কষ্ট কমে যায় তাতে । মস্তিষ্ক এবং শরীরের হরমোন বায়োলজি তাতে হেল্প করে ।
বলছি না নারীদের কষ্ট কম । কিন্তু যাদের কষ্টের ভাগ এবং কষ্ট প্রকাশের জায়গা কম, সেখানে তার ভোগান্তিটাই অনেক বেশি । পুরুষকে সেখানে অনেক গভীর কষ্টের মধ্যে থাকতে হয় । এক পুরুষকে তার কষ্টের বোঝা কাঁধে নিয়ে ঘরের অনেকগুলো মানুষের কষ্টগুলো দূর করতে হয়, অনেকের কষ্ট দূর করতে একা লড়তে হয় । বেশিরভাগ পুরুষের সে কষ্টগুলোর দিকে সমাজের নজর যেমন থাকে না, তার চেয়ে বড় সত্য বেশিরভাগ নারীদেরই সে দিকে নজর যায় না ।
অনেক নারীর ধারণা – পুরুষ যখন পুরুষ হয়ে জন্মেছেন, আমাদেরকে কাঁধে নিয়েই আপনাদের ঘুরতে হবে ।
বর্তমান নারীরা অনেক কিছুতেই পুরুষের সমকক্ষ দাবি করে, সেটা কোন অন্যায় নয়, সেটা তাদের জন্মগত ন্যায্য প্রাপ্য । কিন্তু বেশিরভাগ নারী পুরুষের এই দুঃখতে অংশিদার হতে চায় না । বেশিরভাগ নারী মনে করে তার দুঃখকে আরেকটি পুরুষ বুঝবে, কিন্তু বেশিরভাগ নারীরা পুরুষের দুঃখটা বুঝতে চায় না । যেখানে বোঝেই না, সেখানে আর অংশীদার কই থেকে হবে ।
অনেক পুরুষই আসলে খুব নিঃসঙ্গ । এই নিঃসঙ্গতা সঙ্গীর অভাব নয়, তাদের চারপাশে মানুষের অভাব নেই, তাদের উপর হাজার দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়ার লোকের অভাব নেই, পুরুষের এই নিঃসঙ্গতা তাকে বুঝতে পারা, তার কষ্টগুলোকে বুঝতে পারা মানুষের অভাব ।
অন্যদিকে বাস্তবিক বেশিরভাগ নারীরা নিঃসঙ্গ নয় । কারণটাও বলছি ।
অনেক নারীর নিঃসঙ্গতা তার কল্পনা বিলাসিতা । কিন্তু অনেক পুরুষের নিঃসঙ্গতা তার বাস্তবতা ।
পুরুষ তার কষ্টকে সহজে কারো সাথে শেয়ার করে না, এমনকি নারী-পুরুষ, কারও সাথেই শেয়ার করে না । নারী তার কষ্টকে একজন নারী এবং একজন পুরুষ, দু-এর কাছেই শেয়ার করে । নারী শেয়ার না করে থাকতে পারে না । যেহেতু নারী দুই এর কাছেই শেয়ার করার অবকাশ পায়, সেহেতু নারী আসলে নিঃসঙ্গ নয় ।
নারী নিঃসঙ্গ তার স্বভাবের কারণে । নারীর নিঃসঙ্গতা তার দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ।
একজন নারীকে ঘিরে অনেক পুরুষ থাকে, অনেক পুরুষ নাচে । কিন্তু একটি পুরুষকে ঘিরে অনেকগুলো নারীরা নাচে না, অনেক নারীও থাকেনা । কিন্তু নারী সহজে তাকে ঘিরে থাকা পুরুষগুলোতে সন্তুষ্ট থাকে না । তার চাই তার মতো করে একটি পুরুষ, পুরুষটির মত পুরুষ নয় । এইজন্য নারী সব সময় ভাবে সে নিঃসঙ্গ, একটু সামান্য নিঃসঙ্গতায় সে কাতর হয়ে পড়ে, অথচ একটি পুরুষ জন্মের পর থেকেই বুঝতে পারে সে কতটা একাকী, উল্টো তাকে ভান করে চলতে হয় সে দলবদ্ধ সাথী ।
অনেকের মাঝে থেকেও যে একা, সে অনেক বড় একা ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পুরুষ কেন নারীর চেয়ে আরও বেশি নিঃসঙ্গ

আপডেট সময় : ০৬:১৮:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২

জগতে পুরুষরা অনেক একা, অনেক পুরুষই একা । বাহিরে বেশিরভাগ পুরুষ সেটা বলে না । বেশিরভাগ পুরুষদের একাকীত্ব বোঝা যায় না । তাদের পরিবার থাকে, সঙ্গিনী থাকে, সন্তান থাকে, অর্থ-প্রতিপত্তি থাকলে চারপাশে বন্ধুরও অভাব থাকে না ।
পুরুষরা কাঁদে কম, কিন্তু কষ্ট পায় অনেক বেশি । গভীর কষ্টের কোন জল থাকে না ।
নারী কেঁদে তার কষ্টকে কমিয়ে দেয়, কমিয়ে দিতে পারে, এবং সত্যি সত্যি নারীদের কষ্ট কমে যায় তাতে । মস্তিষ্ক এবং শরীরের হরমোন বায়োলজি তাতে হেল্প করে ।
বলছি না নারীদের কষ্ট কম । কিন্তু যাদের কষ্টের ভাগ এবং কষ্ট প্রকাশের জায়গা কম, সেখানে তার ভোগান্তিটাই অনেক বেশি । পুরুষকে সেখানে অনেক গভীর কষ্টের মধ্যে থাকতে হয় । এক পুরুষকে তার কষ্টের বোঝা কাঁধে নিয়ে ঘরের অনেকগুলো মানুষের কষ্টগুলো দূর করতে হয়, অনেকের কষ্ট দূর করতে একা লড়তে হয় । বেশিরভাগ পুরুষের সে কষ্টগুলোর দিকে সমাজের নজর যেমন থাকে না, তার চেয়ে বড় সত্য বেশিরভাগ নারীদেরই সে দিকে নজর যায় না ।
অনেক নারীর ধারণা – পুরুষ যখন পুরুষ হয়ে জন্মেছেন, আমাদেরকে কাঁধে নিয়েই আপনাদের ঘুরতে হবে ।
বর্তমান নারীরা অনেক কিছুতেই পুরুষের সমকক্ষ দাবি করে, সেটা কোন অন্যায় নয়, সেটা তাদের জন্মগত ন্যায্য প্রাপ্য । কিন্তু বেশিরভাগ নারী পুরুষের এই দুঃখতে অংশিদার হতে চায় না । বেশিরভাগ নারী মনে করে তার দুঃখকে আরেকটি পুরুষ বুঝবে, কিন্তু বেশিরভাগ নারীরা পুরুষের দুঃখটা বুঝতে চায় না । যেখানে বোঝেই না, সেখানে আর অংশীদার কই থেকে হবে ।
অনেক পুরুষই আসলে খুব নিঃসঙ্গ । এই নিঃসঙ্গতা সঙ্গীর অভাব নয়, তাদের চারপাশে মানুষের অভাব নেই, তাদের উপর হাজার দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়ার লোকের অভাব নেই, পুরুষের এই নিঃসঙ্গতা তাকে বুঝতে পারা, তার কষ্টগুলোকে বুঝতে পারা মানুষের অভাব ।
অন্যদিকে বাস্তবিক বেশিরভাগ নারীরা নিঃসঙ্গ নয় । কারণটাও বলছি ।
অনেক নারীর নিঃসঙ্গতা তার কল্পনা বিলাসিতা । কিন্তু অনেক পুরুষের নিঃসঙ্গতা তার বাস্তবতা ।
পুরুষ তার কষ্টকে সহজে কারো সাথে শেয়ার করে না, এমনকি নারী-পুরুষ, কারও সাথেই শেয়ার করে না । নারী তার কষ্টকে একজন নারী এবং একজন পুরুষ, দু-এর কাছেই শেয়ার করে । নারী শেয়ার না করে থাকতে পারে না । যেহেতু নারী দুই এর কাছেই শেয়ার করার অবকাশ পায়, সেহেতু নারী আসলে নিঃসঙ্গ নয় ।
নারী নিঃসঙ্গ তার স্বভাবের কারণে । নারীর নিঃসঙ্গতা তার দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ।
একজন নারীকে ঘিরে অনেক পুরুষ থাকে, অনেক পুরুষ নাচে । কিন্তু একটি পুরুষকে ঘিরে অনেকগুলো নারীরা নাচে না, অনেক নারীও থাকেনা । কিন্তু নারী সহজে তাকে ঘিরে থাকা পুরুষগুলোতে সন্তুষ্ট থাকে না । তার চাই তার মতো করে একটি পুরুষ, পুরুষটির মত পুরুষ নয় । এইজন্য নারী সব সময় ভাবে সে নিঃসঙ্গ, একটু সামান্য নিঃসঙ্গতায় সে কাতর হয়ে পড়ে, অথচ একটি পুরুষ জন্মের পর থেকেই বুঝতে পারে সে কতটা একাকী, উল্টো তাকে ভান করে চলতে হয় সে দলবদ্ধ সাথী ।
অনেকের মাঝে থেকেও যে একা, সে অনেক বড় একা ।