ঢাকা ১২:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা আজ ডিসির দায়িত্বে শেখ হাসিনা চাইলে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারেন হাসিনাকে যেভাবে ভারত থেকে ফেরত আনা সম্ভব জ্বালানির অভাব, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটলে তাৎক্ষণিক বিকল্প নেই বিপিডিবির ভারতের সঙ্গে চলমান কোনো প্রকল্প স্থগিত হয়নি:অর্থ উপদেষ্টা এত বিদ্যুৎকেন্দ্র, তবু কেন লোডশেডিং পোশাক কারখানার শ্রমিক অসন্তোষের নেপথ্যে কী ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ টাকা পাচারের স্বর্গ বাংলাদেশ রাজাকার খুঁজে বার করার ভার পেলেন তাঁদেরই আইনজীবী পুলিশ সংস্কারে শিগগিরই প্রাথমিক কমিটি গঠন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিচার সরাসরি সম্প্রচার করা হবে মেট্রোরেলের ছিদ্দিকের চুক্তি বাতিল, চলতি দায়িত্বে রউফ বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় ১৭ স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটরের নিয়োগ বাতিল রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনে জোর প্রধান উপদেষ্টার সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড! গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৬৩১, আহত ১৯২০০ শাহজালাল বিমানবন্দরে পরিবর্তনের হাওয়া ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি: অর্থ উপদেষ্টা নিম্ন আদালতের ১৬৮ বিচারককে একযোগে বদলি

ফার্মেসী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও ক্যারিয়ারের দায়িত্ব কে নিবে?

আনোয়ার মোরসালিন
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫০০৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফার্মেসী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও ক্যারিয়ারের দায়িত্ব কে নিবে?

‘১২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।

শর্ত না মানায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শর্ত পূরণ করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। অন্যথায় ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

মানবিক দিক বিবেচনা করে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন পাবে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষক সংকট কাটানো, পাঁচটি ল্যাবরেটরি স্থাপন, প্রয়োজনীয় রাসায়নকি সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি তৈরি ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে আগেও সতর্কতামূলক চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে তারা কর্ণপাত করেনি।‌

সংস্থাটির প্রতিনিধিরা ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে ল্যাব সংকট, যন্ত্রপাতি অকেজো, শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ সংকটসহ নানা কারণে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্রেডিটেশন নবায়ন স্থগিত করেছে।

১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চারটি সরকারি ও ৮টি বেসরকারি। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গোপালগঞ্জ এবং পাবনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, স্ট্যামফোর্ড, আশা ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, বরেন্দ্র ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি।

ফার্মেসী কাউন্সিল নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে বিভিন্ন সময় সতর্ক করা হয়েছে। তারপরেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফার্মেসী বিভাগে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়া করে পেশাগত জীবনে ভাল ক্যারিয়ারের আশায়।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় গুলো নিয়ম না মেনে শিক্ষার্থীদের যে বিপদে ফেলছে তার দায়িত্ব কে নিবে?

এই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর বিষয়ে মানুষের যে নেতিবাচক ধারণা তৈরী হল তা কে দেখবে?

শিক্ষার্থীদের সাথে কি অন্যায় হল না?

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত অতি দ্রুত ফার্মেসী কাউন্সিলের পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে শিক্ষার উপযোগী করে গড়ে তোলা, এবং শিক্ষার্থীদের জন্য লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করে ভাল ক্যারিয়ার গড়তে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা।

#anwarmorsalin

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফার্মেসী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও ক্যারিয়ারের দায়িত্ব কে নিবে?

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৩

ফার্মেসী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও ক্যারিয়ারের দায়িত্ব কে নিবে?

‘১২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।

শর্ত না মানায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শর্ত পূরণ করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। অন্যথায় ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

মানবিক দিক বিবেচনা করে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন পাবে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষক সংকট কাটানো, পাঁচটি ল্যাবরেটরি স্থাপন, প্রয়োজনীয় রাসায়নকি সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি তৈরি ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে আগেও সতর্কতামূলক চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে তারা কর্ণপাত করেনি।‌

সংস্থাটির প্রতিনিধিরা ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে ল্যাব সংকট, যন্ত্রপাতি অকেজো, শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ সংকটসহ নানা কারণে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্রেডিটেশন নবায়ন স্থগিত করেছে।

১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চারটি সরকারি ও ৮টি বেসরকারি। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গোপালগঞ্জ এবং পাবনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, স্ট্যামফোর্ড, আশা ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, বরেন্দ্র ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি।

ফার্মেসী কাউন্সিল নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে বিভিন্ন সময় সতর্ক করা হয়েছে। তারপরেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফার্মেসী বিভাগে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়া করে পেশাগত জীবনে ভাল ক্যারিয়ারের আশায়।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় গুলো নিয়ম না মেনে শিক্ষার্থীদের যে বিপদে ফেলছে তার দায়িত্ব কে নিবে?

এই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর বিষয়ে মানুষের যে নেতিবাচক ধারণা তৈরী হল তা কে দেখবে?

শিক্ষার্থীদের সাথে কি অন্যায় হল না?

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত অতি দ্রুত ফার্মেসী কাউন্সিলের পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে শিক্ষার উপযোগী করে গড়ে তোলা, এবং শিক্ষার্থীদের জন্য লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করে ভাল ক্যারিয়ার গড়তে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা।

#anwarmorsalin