‘ফ্যাসিস্টবিরোধীতার পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রিত্ব করতে আসিনি’
- আপডেট সময় : ০৬:২৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
আমি কত বড় ফ্যাসিস্টবিরোধী—এটার পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রিত্ব করতে আসিনি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য নিয়োগ পাওয়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সোমবার (১১ নভেম্বর) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পর সচিবালয়ে প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
এমন কথা বলেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, আমাকে কাজ দিয়ে বিবেচনা করবেন।।
উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সেই সঙ্গে ফ্যাসিস্টের পক্ষে তাঁর অবস্থান নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
৫ আগস্টের সঙ্গে আপনার চেতনা ছিল না জানিয়ে সমন্বয়কেরা তার সমালোচনা করছেন, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ফারুকী বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। আমার অবস্থান কী, আমি কী করি, আমি কী করেছি, আমার গত ১৫ বছরের ফেসবুক ঘাঁটলে দেখা যাবে। শুধু দু-চারটি পোস্ট ঘাটবেন না, সব ঘাঁটেন। আমার সিনেমাগুলো দেখলেও বোঝা যাবে আমার অবস্থান কী।
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্টের পক্ষে আমার অবস্থান, এটা একটা অবিশ্বাস্য কথা। এটা নিয়ে উত্তর দেওয়ারও প্রয়োজন নেই। আমার লেখাগুলো পড়েন। এই চেতনা লইয়া আমরা কী করিব—২০১৪ সালে লিখেছি, যেদিন থেকে ফ্যাসিজমের সূচনা হয়েছিল শাহবাগে, পড়ে দেখেন। এ ছাড়া কিন্তু এবং যদির খোঁজে নামে একটা লেখা লিখেছিলাম ২০১৫ তে।
ফারুকী বলেন, ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান ছিল কি না, সেটার পুরস্কার হিসেবে তো আমি মন্ত্রিত্ব করতে আসিনি। আমি কাজটি করতে পারব কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। যারা আমাকে বিশ্বাস করেছে, আমি কাজটি করতে পারব। তখন আমি চিন্তা করলাম, আমি পারব কি না। আমি যখন ভাবলাম হ্যাঁ, হয়তো পারব, তখনই এসেছি।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে কী কী করা যায়, সবার সঙ্গে বসে তা ঠিক করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা। পরিকল্পনা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সামনে তা উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
ফারুকী বলেন, ‘সেটা অনুমোদন পাওয়ার পর আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব, আপনারাও জানবেন। আমরা রোডম্যাপ দিয়েছি, আমরা কী কী করতে চাই। আমরা চলে যাওয়ার দিন আপনারা বিচার করতে পারবেন, আমরা কয়টায় সফল হয়েছি, কয়টায় ব্যর্থ হয়েছি। যেগুলোতে ব্যর্থ হয়েছি, সেগুলোর জন্য আমরা ক্ষমা চেয়ে নেব।’