ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

বঙ্গভবনের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত প্রধান উপদেষ্টা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 102
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রীতি অনুযায়ী বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। এতে সরকার প্রধান, প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনী প্রধান, যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা আমন্ত্রণ পান। অনুষ্ঠানে সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন অনুপস্থিত ছিলেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়া এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন তিনি। প্রতিবছর বঙ্গভবনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হলেও এবার তার ব্যতিক্রম ছিল। বিটিভি’র একজন কর্মকর্তা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান রেকর্ড করা হয়েছে। সরাসরি সম্প্রচারের নির্দেশনা ছিল না।
প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানার দেয়া এবারের সংবর্ধনায় বাংলাদেশ সফররত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা যোগ দেন।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের পরিবার, মুক্তিযুদ্ধের সহায়তাকারী ভারতীয় যোদ্ধা এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন সফররত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তাকে নিয়ে ভিভিআইপি এনক্লোজারে একটি কেক কাটেন। পরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি ও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

বঙ্গভবনে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের: ওদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংগঠনটির দপ্তর সেলের সম্পাদক জাহিদ আহসানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘মহান বিজয় দিবসে ফ্যাসিবাদী শাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কর্তৃক বঙ্গভবনে দিবস উদ্‌যাপনের আমন্ত্রণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রত্যাখ্যান করছে।
নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে যুক্ত কোনো নেতাকর্মী আজ বঙ্গভবনে মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপনের অনুষ্ঠানে যাবে না বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, মহান বিজয় দিবসের মতো জাতীয় গৌরবের দিন ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে পালন করা গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
বঙ্গভবনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান কর্নেল অলি’র:
বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে অংশ নেননি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বীরবিক্রম। এলডিপি’র পক্ষ থেকে এক বার্তায় বলা হয়, প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর হওয়ায় তার হাতেও ছাত্র-জনতার তাজা রক্ত লেগে আছে। এ কারণে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বীরবিক্রম বঙ্গভবনের অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান করেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বঙ্গভবনের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৭:১৮:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

 

বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রীতি অনুযায়ী বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। এতে সরকার প্রধান, প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনী প্রধান, যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা আমন্ত্রণ পান। অনুষ্ঠানে সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন অনুপস্থিত ছিলেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়া এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন তিনি। প্রতিবছর বঙ্গভবনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হলেও এবার তার ব্যতিক্রম ছিল। বিটিভি’র একজন কর্মকর্তা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান রেকর্ড করা হয়েছে। সরাসরি সম্প্রচারের নির্দেশনা ছিল না।
প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানার দেয়া এবারের সংবর্ধনায় বাংলাদেশ সফররত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা যোগ দেন।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের পরিবার, মুক্তিযুদ্ধের সহায়তাকারী ভারতীয় যোদ্ধা এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন সফররত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তাকে নিয়ে ভিভিআইপি এনক্লোজারে একটি কেক কাটেন। পরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি ও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

বঙ্গভবনে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের: ওদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংগঠনটির দপ্তর সেলের সম্পাদক জাহিদ আহসানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘মহান বিজয় দিবসে ফ্যাসিবাদী শাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কর্তৃক বঙ্গভবনে দিবস উদ্‌যাপনের আমন্ত্রণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রত্যাখ্যান করছে।
নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে যুক্ত কোনো নেতাকর্মী আজ বঙ্গভবনে মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপনের অনুষ্ঠানে যাবে না বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, মহান বিজয় দিবসের মতো জাতীয় গৌরবের দিন ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে পালন করা গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
বঙ্গভবনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান কর্নেল অলি’র:
বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে অংশ নেননি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বীরবিক্রম। এলডিপি’র পক্ষ থেকে এক বার্তায় বলা হয়, প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর হওয়ায় তার হাতেও ছাত্র-জনতার তাজা রক্ত লেগে আছে। এ কারণে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বীরবিক্রম বঙ্গভবনের অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান করেন।