ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল

বড়দিনে ‘মেরি ক্রিসমাস’ কেন বলা হয়?

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 44
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আজ বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে। বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি অতি পবিত্র দিন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই দিনটি ছুটির দিন হওয়ায় অন্য ধর্মের মানুষের কাছেও এটি একটি উৎসবের দিন হয়ে উঠেছে। বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে গেলে সব সময়েই ‘মেরি ক্রিসমাস’ বলা হয়।

যদি কেউ ভুল করে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ বলেও বসেন, তাহলেও পাশ থেকে কেউ ভুল ধরিয়ে দিয়ে বলেন ‘হ্যাপি নয়, মেরি হবে।’ এমনটাই চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। কিন্তু কেন ক্রিসমাসের শুভেচ্ছায় ‘হ্যাপি’ না বলে ‘মেরি’ বলা হয় সেটাও একটি প্রশ্ন। এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে বলে রাখা দরকার, ক্রিসমাসের শুভেচ্ছায় পুরোপুরি বাদ পড়েনি ‘হ্যাপি’। এখনও ইংল্যান্ডে ব্যাপক ভাবেই ক্রিসমাসের আগে ‘হ্যাপি’ই বসানো হয়।

ব্রিটেনের সদ্য প্রয়াত রানি নিজেও বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ই বলতেন। রানির মতে, ‘মেরি’টা যথেষ্ট পরিমাণে ভদ্র শব্দ নয়। ইংল্যান্ডের কিছু স্বঘোষিত সম্ভ্রান্ত পরিবার এখনও ‘মেরি’ শব্দটা ব্যবহার না করে ‘হ্যাপি’ ব্যবহার করে। তাদের মতেও, এটা একেবারে অসভ্য এবং অভদ্র ভাষা। তাই ‘হ্যাপি’ শব্দটাই ভদ্রলোকের ব্যবহার উপযোগী। দেশটির অনেক চার্চে এখনও চলছে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ বলার রীতি।

মজার বিষয় হলো, এই ‘মেরি ক্রিসমাস’ এর পেছনেও রয়েছে ইংল্যান্ডের চার্চের ভূমিকা। সাধারণ মানুষের মধ্যে খ্রিস্টধর্মকে জনপ্রিয় করার জন্যই নাকি, পাদ্রিদের উদ্যোগে এক সময়ে ‘হ্যাপি’র বদলে ক্রিসমাসের আগে ‘মেরি’ বসানো হয়। তাই ‘মেরি ক্রিসমাস’ একেবারে সাধারণ মানুষের ভাষা। আর ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ রক্ষণশীলদের শুভেচ্ছাবার্তা হিসাবেই থেকে গেছে ইংল্যান্ডে।

তবে উনিশ শতকের শুরু থেকেই ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের নানা জায়গায় ‘মেরি ক্রিসমাস’ই শুভেচ্ছাবার্তা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। পরে আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়ে এই রীতি। ক্রিসমাস-কার্ডে ব্যাপকভাবে লেখা হতে থাকে ‘মেরি ক্রিসমাস’। সেটাই এখন  সাড়া পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয়ে গেছে তবুও হাতেগোনা কিছু মানুষ টিকিয়ে রেখেছে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ বার্তাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বড়দিনে ‘মেরি ক্রিসমাস’ কেন বলা হয়?

আপডেট সময় : ০৯:৩৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

 

আজ বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে। বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি অতি পবিত্র দিন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই দিনটি ছুটির দিন হওয়ায় অন্য ধর্মের মানুষের কাছেও এটি একটি উৎসবের দিন হয়ে উঠেছে। বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে গেলে সব সময়েই ‘মেরি ক্রিসমাস’ বলা হয়।

যদি কেউ ভুল করে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ বলেও বসেন, তাহলেও পাশ থেকে কেউ ভুল ধরিয়ে দিয়ে বলেন ‘হ্যাপি নয়, মেরি হবে।’ এমনটাই চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। কিন্তু কেন ক্রিসমাসের শুভেচ্ছায় ‘হ্যাপি’ না বলে ‘মেরি’ বলা হয় সেটাও একটি প্রশ্ন। এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে বলে রাখা দরকার, ক্রিসমাসের শুভেচ্ছায় পুরোপুরি বাদ পড়েনি ‘হ্যাপি’। এখনও ইংল্যান্ডে ব্যাপক ভাবেই ক্রিসমাসের আগে ‘হ্যাপি’ই বসানো হয়।

ব্রিটেনের সদ্য প্রয়াত রানি নিজেও বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ই বলতেন। রানির মতে, ‘মেরি’টা যথেষ্ট পরিমাণে ভদ্র শব্দ নয়। ইংল্যান্ডের কিছু স্বঘোষিত সম্ভ্রান্ত পরিবার এখনও ‘মেরি’ শব্দটা ব্যবহার না করে ‘হ্যাপি’ ব্যবহার করে। তাদের মতেও, এটা একেবারে অসভ্য এবং অভদ্র ভাষা। তাই ‘হ্যাপি’ শব্দটাই ভদ্রলোকের ব্যবহার উপযোগী। দেশটির অনেক চার্চে এখনও চলছে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ বলার রীতি।

মজার বিষয় হলো, এই ‘মেরি ক্রিসমাস’ এর পেছনেও রয়েছে ইংল্যান্ডের চার্চের ভূমিকা। সাধারণ মানুষের মধ্যে খ্রিস্টধর্মকে জনপ্রিয় করার জন্যই নাকি, পাদ্রিদের উদ্যোগে এক সময়ে ‘হ্যাপি’র বদলে ক্রিসমাসের আগে ‘মেরি’ বসানো হয়। তাই ‘মেরি ক্রিসমাস’ একেবারে সাধারণ মানুষের ভাষা। আর ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ রক্ষণশীলদের শুভেচ্ছাবার্তা হিসাবেই থেকে গেছে ইংল্যান্ডে।

তবে উনিশ শতকের শুরু থেকেই ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের নানা জায়গায় ‘মেরি ক্রিসমাস’ই শুভেচ্ছাবার্তা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। পরে আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়ে এই রীতি। ক্রিসমাস-কার্ডে ব্যাপকভাবে লেখা হতে থাকে ‘মেরি ক্রিসমাস’। সেটাই এখন  সাড়া পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয়ে গেছে তবুও হাতেগোনা কিছু মানুষ টিকিয়ে রেখেছে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ বার্তাকে।