ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের সুযোগ্য কন্যা মেহেনাজ মান্নান ইলিশ ধরায় খরচ ৮৩০ টাকা, ভোক্তার গুনতে হয় অন্তত ২ হাজার নির্বাচন কে সামনে রেখে উত্তাল ঢাকা-১ দোহার-নবাবগঞ্জ আসন আটপাড়ায় কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর কেন্দুয়ায় মানবপাচার মামলার আসামীরা রিমান্ডে মাস্টারমাইন্ডের নাম প্রকাশ করেছে ‎ ‎কেন্দুয়ায় মানবপাচারের মামলায় চীনা নাগরিকসহ দুই আসামীকে কারাগারে প্রেরণ কেন্দুয়া থেকে তিন নারীকে চীনে পাচারের চেষ্টা; চীনা নাগরিকসহ আটক দুইজন কেন্দুয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৫ ‎কেন্দুয়ায় প্রকল্পের অনিয়ম তদন্তের সময় হাতাহাতি: ইউএনও আহত কেন্দুয়ায় প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ জাল ধ্বংস ওসমান হাদী দাবিতে ঘনিষ্ঠ ভিডিও প্রচার, সামনে এলো আসল সত্য ব্লাড মুন দেখা যাবে রোববার, চাঁদ লাল হওয়ার কারণ কী? তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড়

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী আবিষ্কার

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / 195
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী আবিষ্কার

দক্ষিণ কোরিয়ার অধ্যাপক Cho Jae-Won একটি যুগান্তকারী টয়লেট তৈরি করেছেন যা মানুষের বর্জ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল মুদ্রায় পুরস্কৃত করে।

প্রতিটি ব্যক্তির দৈনিক ৫০০ গ্রাম মল ৫০লিটার মিথেন গ্যাসে রূপান্তরিত হয়, যা 0.৫ kWh শক্তি উৎপন্ন করে। এই উদ্ভাবনী টয়লেটের ব্যবহারকারীরা “শিট কয়েন” নামে উপযুক্ত একটি ডিজিটালমুদ্রায় পুরস্কৃত হন।

অধ্যাপক Cho Jae-Won এর এই উদ্ভাবনী টয়লেট সিস্টেমটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং শক্তি উৎপাদন উভয়কেই লক্ষ্য করে। এখানে কিছু মূল দিক তুলে ধরা হলঃ

১. বর্জ্য থেকে শক্তিতে রূপান্তর

প্রক্রিয়া: টয়লেটটি অ্যানারোবিক ডাইজেশন ব্যবহার করে, যেখানে অণুজীব অক্সিজেন ছাড়া জৈব বর্জ্যকে ভেঙে দেয়। এই প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন গ্যাস, বিশেষ করে মিথেন, renewable energy উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এই পদ্ধতি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হওয়ার পাশাপাশি শক্তি উৎপাদনেও সাহায্য করবে।

২. ডিজিটাল মুদ্রায় পুরস্কার

ব্যবহারকারীরা টয়লেট ব্যবহারের জন্য ডিজিটাল মুদ্রায় (বা টোকেনে) পুরস্কৃত হন, যা টেকসই অভ্যাসগুলিকে উৎসাহিত করবে। এটি সঠিক বর্জ্য নিষ্কাশনের প্রতি ব্যবহারকারীদের আগ্রহী করে তুলবে।

৩. পরিবেশগত প্রভাব
মানব বর্জ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করে ল্যান্ডফিলের উপর নির্ভরতা কমানো যায়, যা পরিবেশ দূষণ হ্রাস করবে। উৎপন্ন বায়োগ্যাস জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সহায়ক হবে।

৪. টেকসই সমাধান
এটি স্যানিটেশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। বিশেষ করে যেখানে প্রচলিত বা অপর্যাপ্ত বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে।

৫. শিক্ষামূলক উদ্যোগ

শিক্ষামূলক উদ্যোগ হিসেবে এ ধরনের সিস্টেমের বাস্তবায়ন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে কাজ করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী আবিষ্কার

আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী আবিষ্কার

দক্ষিণ কোরিয়ার অধ্যাপক Cho Jae-Won একটি যুগান্তকারী টয়লেট তৈরি করেছেন যা মানুষের বর্জ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল মুদ্রায় পুরস্কৃত করে।

প্রতিটি ব্যক্তির দৈনিক ৫০০ গ্রাম মল ৫০লিটার মিথেন গ্যাসে রূপান্তরিত হয়, যা 0.৫ kWh শক্তি উৎপন্ন করে। এই উদ্ভাবনী টয়লেটের ব্যবহারকারীরা “শিট কয়েন” নামে উপযুক্ত একটি ডিজিটালমুদ্রায় পুরস্কৃত হন।

অধ্যাপক Cho Jae-Won এর এই উদ্ভাবনী টয়লেট সিস্টেমটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং শক্তি উৎপাদন উভয়কেই লক্ষ্য করে। এখানে কিছু মূল দিক তুলে ধরা হলঃ

১. বর্জ্য থেকে শক্তিতে রূপান্তর

প্রক্রিয়া: টয়লেটটি অ্যানারোবিক ডাইজেশন ব্যবহার করে, যেখানে অণুজীব অক্সিজেন ছাড়া জৈব বর্জ্যকে ভেঙে দেয়। এই প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন গ্যাস, বিশেষ করে মিথেন, renewable energy উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এই পদ্ধতি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হওয়ার পাশাপাশি শক্তি উৎপাদনেও সাহায্য করবে।

২. ডিজিটাল মুদ্রায় পুরস্কার

ব্যবহারকারীরা টয়লেট ব্যবহারের জন্য ডিজিটাল মুদ্রায় (বা টোকেনে) পুরস্কৃত হন, যা টেকসই অভ্যাসগুলিকে উৎসাহিত করবে। এটি সঠিক বর্জ্য নিষ্কাশনের প্রতি ব্যবহারকারীদের আগ্রহী করে তুলবে।

৩. পরিবেশগত প্রভাব
মানব বর্জ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করে ল্যান্ডফিলের উপর নির্ভরতা কমানো যায়, যা পরিবেশ দূষণ হ্রাস করবে। উৎপন্ন বায়োগ্যাস জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সহায়ক হবে।

৪. টেকসই সমাধান
এটি স্যানিটেশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। বিশেষ করে যেখানে প্রচলিত বা অপর্যাপ্ত বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে।

৫. শিক্ষামূলক উদ্যোগ

শিক্ষামূলক উদ্যোগ হিসেবে এ ধরনের সিস্টেমের বাস্তবায়ন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে কাজ করতে পারে।