ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনা শেখ হাসিনার

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / 168
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস অব আমেরিকাকে (ভোয়া) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের একজন নেতা দাবি করেছেন, গদিচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বাংলাদেশের রাজপথে উত্তেজনা সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়েছেন।

গত শুক্রবার এই সাক্ষাৎকার গৃহীত হয়। ভোয়া এই আওয়ামী লীগ নেতার নাম ও পদবি উল্লেখ করেছে। তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী।

তাঁর ভাষায়, ‘আমরা রাজপথে মিছিল ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের যেসব নেতা গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন অথবা দেশেই পলাতক রয়েছেন, তাঁদের অন্যতম হচ্ছেন শফিউল আলম চৌধুরী।

গত বুধবার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে চলতি মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী আদালত (আইসিটি) শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ৪৫ নেতার নামে পরোয়ানা জারি করেছেন।

ভোয়াকে মোবাইল ফোনে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে শফিউল আলম চৌধুরী জানান, আওয়ামী লীগ এখন দলীয় নেতাকর্মীদের সংহত করার কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী কর্মসূচি পালনই এই তৎপরতার মূল লক্ষ্য। রাজপথে কতটা দ্রুততম সময়ে আওয়ামী লীগ মাঠে নামতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দলটির পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

ভোয়া লিখেছে, শফিউল আলম চৌধুরী যখন আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা মেলে ধরলেন, তখন কিন্তু বাংলাদেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফেলেছে। কারণ বাংলাদেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে একমত যে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ধ্বংস করে ফেলেছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপও সৃষ্টি করছে। কারণ রাজনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম যতটুকু হয়েছে, তাতে রাজনৈতিক দলগুলো সন্তুষ্ট নয়।

অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কয়েক দফা সংলাপে বসলেও আওয়ামী লীগকে তারা সংলাপে ডাকেনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান মনে করেন, আওয়ামী লীগকে সংলাপে ডাকলে এর প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক হবে না। তবে তিনি এটাও মনে করেন, আওয়ামী লীগকে কিছুটা হলেও রাজনৈতিক স্পেস দেওয়া দরকার, যাতে তারা অন্তত নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় না। কারণ আমরা মনে করি ডক্টর ইউনূসের সরকার অসাংবিধানিক। আমরা যদি দেশজুড়ে মাঠে নামতে পারি, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনা শেখ হাসিনার

আপডেট সময় : ১২:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

ভয়েস অব আমেরিকাকে (ভোয়া) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের একজন নেতা দাবি করেছেন, গদিচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বাংলাদেশের রাজপথে উত্তেজনা সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়েছেন।

গত শুক্রবার এই সাক্ষাৎকার গৃহীত হয়। ভোয়া এই আওয়ামী লীগ নেতার নাম ও পদবি উল্লেখ করেছে। তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী।

তাঁর ভাষায়, ‘আমরা রাজপথে মিছিল ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের যেসব নেতা গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন অথবা দেশেই পলাতক রয়েছেন, তাঁদের অন্যতম হচ্ছেন শফিউল আলম চৌধুরী।

গত বুধবার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে চলতি মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী আদালত (আইসিটি) শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ৪৫ নেতার নামে পরোয়ানা জারি করেছেন।

ভোয়াকে মোবাইল ফোনে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে শফিউল আলম চৌধুরী জানান, আওয়ামী লীগ এখন দলীয় নেতাকর্মীদের সংহত করার কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী কর্মসূচি পালনই এই তৎপরতার মূল লক্ষ্য। রাজপথে কতটা দ্রুততম সময়ে আওয়ামী লীগ মাঠে নামতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দলটির পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

ভোয়া লিখেছে, শফিউল আলম চৌধুরী যখন আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা মেলে ধরলেন, তখন কিন্তু বাংলাদেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফেলেছে। কারণ বাংলাদেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে একমত যে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ধ্বংস করে ফেলেছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপও সৃষ্টি করছে। কারণ রাজনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম যতটুকু হয়েছে, তাতে রাজনৈতিক দলগুলো সন্তুষ্ট নয়।

অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কয়েক দফা সংলাপে বসলেও আওয়ামী লীগকে তারা সংলাপে ডাকেনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান মনে করেন, আওয়ামী লীগকে সংলাপে ডাকলে এর প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক হবে না। তবে তিনি এটাও মনে করেন, আওয়ামী লীগকে কিছুটা হলেও রাজনৈতিক স্পেস দেওয়া দরকার, যাতে তারা অন্তত নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় না। কারণ আমরা মনে করি ডক্টর ইউনূসের সরকার অসাংবিধানিক। আমরা যদি দেশজুড়ে মাঠে নামতে পারি, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’