বাংলাদেশে ‘উগ্র বামদের’ ভোট দিতে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়

- আপডেট সময় : ০৯:৫৬:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 13
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএআইডির ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া নিয়ে ফের মুখ খুললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল যেন তারা ‘উগ্র বাম কমিউনিস্টদের’ ভোট দিতে পারে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ট্রাম্প।
এর আগে গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে গভর্নরদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘২৯ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে, যার নাম কেউই শোনেনি।
২৯ মিলিয়ন ডলার! তারা চেক পেয়েছে। কল্পনা করতে পারেন?’
তিনি আরো বলেন, ‘তোমার একটা ছোট প্রতিষ্ঠান আছে, এখান থেকে ১০ হাজার ডলার, ওখান থেকে ১০ হাজার ডলার করে পায়, আর তারপর হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের সরকার থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়ে যায়! ওই প্রতিষ্ঠানে মাত্র দুজন লোক কাজ করে। দুজন! আমি মনে করি, তারা খুব খুশি। তারা এখন অনেক ধনী হয়ে গেছে।
শিগগিরই তারা একটা নামকরা বিজনেস ম্যাগাজিনের কভারে চলে আসবে মহাপ্রতারক হিসেবে!’
বাংলাদেশ ছাড়াও ট্রাম্প ভারতের নির্বাচনে ইউএসএআইডির ১৮ মিলিয়ন ডলারের তহবিলেরও সমালোচনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতে নির্বাচনের জন্য ১৮ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়। কেন? আমাদের নিজস্ব নির্বাচনে সহায়তা করা উচিত, তাদের নয়।’
ফের ভারতকে ধুয়ে দিলেন ট্রাম্প
ভারতে মোদি সরকারের পক্ষে ভোটের হার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অনুদান প্রসঙ্গে গতকাল রবিবার আবারও দেশটিকে নিশানা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পাশাপাশি নয়াদিল্লিকে ধুয়ে দিতেও পিছপা হননি তিনি। এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অনেক সুযোগ-সুবিধা নেয় ভারত। সংগত কারণে এখন ভারতের উচিত যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করা। এমনকি ট্রাম্প মনে করিয়ে দেন একটি নীতিগত প্রশ্ন, ‘কেন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে অর্থ সহায়তা দেবে, যখন দেশটি (ভারত) এরই মধ্যে আমেরিকান পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ শুল্ক থেকে উপকৃত হচ্ছে?’
শনিবার রাজধানী ওয়াশিংটনে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ভারত) আমাদের কাছ থেকে খুব ভালো সুযোগ-সুবিধা নেয়।
তারা বিশ্বের সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশগুলোর একটি। আমরা কিছু (উৎপাদন) করার চেষ্টা করি এবং বিক্রি করি। তাদের (ভারতের) ২০০ শতাংশ শুল্ক আছে।’