ঢাকা ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের সুযোগ্য কন্যা মেহেনাজ মান্নান ইলিশ ধরায় খরচ ৮৩০ টাকা, ভোক্তার গুনতে হয় অন্তত ২ হাজার নির্বাচন কে সামনে রেখে উত্তাল ঢাকা-১ দোহার-নবাবগঞ্জ আসন আটপাড়ায় কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর কেন্দুয়ায় মানবপাচার মামলার আসামীরা রিমান্ডে মাস্টারমাইন্ডের নাম প্রকাশ করেছে ‎ ‎কেন্দুয়ায় মানবপাচারের মামলায় চীনা নাগরিকসহ দুই আসামীকে কারাগারে প্রেরণ কেন্দুয়া থেকে তিন নারীকে চীনে পাচারের চেষ্টা; চীনা নাগরিকসহ আটক দুইজন কেন্দুয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৫ ‎কেন্দুয়ায় প্রকল্পের অনিয়ম তদন্তের সময় হাতাহাতি: ইউএনও আহত কেন্দুয়ায় প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ জাল ধ্বংস ওসমান হাদী দাবিতে ঘনিষ্ঠ ভিডিও প্রচার, সামনে এলো আসল সত্য ব্লাড মুন দেখা যাবে রোববার, চাঁদ লাল হওয়ার কারণ কী? তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড়

বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা!

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৮:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
  • / 92
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

Logo

 

চীনের সহযোগিতায় ড. ইউনূসের স্বপ্ন: বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা!

চীনের সহযোগিতায় ড. ইউনূসের স্বপ্ন: বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা!
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন অধ্যায়: নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই হাসপাতালের মাধ্যমে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য ভারত বা অন্য দেশে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সুবিধাসমৃদ্ধ এই চিকিৎসাকেন্দ্র গরিব-ধনী নির্বিশেষে সবার জন্য সাশ্রয়ী সেবা নিশ্চিত করবে। এটি স্বাস্থ্যখাতে ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা মডেলেরই সম্প্রসারণ, যেখানে মানুষের কল্যাণই প্রাধান্য পাবে।

ড. ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি: স্বাস্থ্যসেবায় সমতা গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিরোধী মডেল বিশ্বে পরিচিতি পাওয়া ড. ইউনূস এবার চীনের সঙ্গে অংশীদারিত্বে স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে চান। তার মতে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ জরুরি। বাংলাদেশে গ্রামীণ হাসপাতালের অভাব, শহরে চিকিৎসাকেন্দ্রের ওপর চাপ এবং উচ্চ ব্যয়ের কারণে প্রতি বছর প্রায় ২.৫ লাখ মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। এই হাসপাতালের মাধ্যমে সেই প্রবণতা রোধ করে দেশেই বিশ্বমানের চিকিৎসা নিশ্চিত হবে।

চীনের কৌশলগত বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর অধীনে বাংলাদেশে চীনের এই বিনিয়োগ কৌশলগত ও অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। চীনা কোম্পানিগুলো এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-ভিত্তিক ডায়াগনস্টিক সিস্টেম, রোবোটিক সার্জারি ও টেলিমেডিসিন সুবিধা সরবরাহ করবে। মাইন্ড্রে, আইফ্লাইটেক ও টেনসেন্টের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই হাসপাতাল রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। এছাড়া, চীনের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেবেন, যা স্থানীয় দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বর্তমানে বাংলাদেশে হাসপাতালের সংখ্যা জনসংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল। সরকারি হাসপাতালে চাপ ও বেসরকারি খাতের উচ্চ খরচ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ড. ইউনূসের এই উদ্যোগ যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি চিকিৎসা পর্যটনকেও উৎসাহিত করবে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে স্থানীয় জনগণের জন্য সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করা, দক্ষ কর্মী নিয়োগ এবং প্রযুক্তির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা!

আপডেট সময় : ০৪:৪৮:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

Logo

 

চীনের সহযোগিতায় ড. ইউনূসের স্বপ্ন: বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা!

চীনের সহযোগিতায় ড. ইউনূসের স্বপ্ন: বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা!
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন অধ্যায়: নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই হাসপাতালের মাধ্যমে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য ভারত বা অন্য দেশে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সুবিধাসমৃদ্ধ এই চিকিৎসাকেন্দ্র গরিব-ধনী নির্বিশেষে সবার জন্য সাশ্রয়ী সেবা নিশ্চিত করবে। এটি স্বাস্থ্যখাতে ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা মডেলেরই সম্প্রসারণ, যেখানে মানুষের কল্যাণই প্রাধান্য পাবে।

ড. ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি: স্বাস্থ্যসেবায় সমতা গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিরোধী মডেল বিশ্বে পরিচিতি পাওয়া ড. ইউনূস এবার চীনের সঙ্গে অংশীদারিত্বে স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে চান। তার মতে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ জরুরি। বাংলাদেশে গ্রামীণ হাসপাতালের অভাব, শহরে চিকিৎসাকেন্দ্রের ওপর চাপ এবং উচ্চ ব্যয়ের কারণে প্রতি বছর প্রায় ২.৫ লাখ মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। এই হাসপাতালের মাধ্যমে সেই প্রবণতা রোধ করে দেশেই বিশ্বমানের চিকিৎসা নিশ্চিত হবে।

চীনের কৌশলগত বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর অধীনে বাংলাদেশে চীনের এই বিনিয়োগ কৌশলগত ও অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। চীনা কোম্পানিগুলো এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-ভিত্তিক ডায়াগনস্টিক সিস্টেম, রোবোটিক সার্জারি ও টেলিমেডিসিন সুবিধা সরবরাহ করবে। মাইন্ড্রে, আইফ্লাইটেক ও টেনসেন্টের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই হাসপাতাল রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। এছাড়া, চীনের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেবেন, যা স্থানীয় দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বর্তমানে বাংলাদেশে হাসপাতালের সংখ্যা জনসংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল। সরকারি হাসপাতালে চাপ ও বেসরকারি খাতের উচ্চ খরচ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ড. ইউনূসের এই উদ্যোগ যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি চিকিৎসা পর্যটনকেও উৎসাহিত করবে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে স্থানীয় জনগণের জন্য সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করা, দক্ষ কর্মী নিয়োগ এবং প্রযুক্তির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।