ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’ উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হচ্ছেন সি আর আবরার উপদেষ্টা হচ্ছেন ড. আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করলেন নাহিদ ইসলাম বাবরের জীবন থেকে ১৭ বছর কেড়ে নেয় ‘প্রথম আলো’ সোমবার থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাপমুক্ত প্রশাসন এবং ড. ইউনূসের দর্শন ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার

বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা!

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৮:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
  • / 7
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

Logo

 

চীনের সহযোগিতায় ড. ইউনূসের স্বপ্ন: বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা!

চীনের সহযোগিতায় ড. ইউনূসের স্বপ্ন: বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা!
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন অধ্যায়: নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই হাসপাতালের মাধ্যমে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য ভারত বা অন্য দেশে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সুবিধাসমৃদ্ধ এই চিকিৎসাকেন্দ্র গরিব-ধনী নির্বিশেষে সবার জন্য সাশ্রয়ী সেবা নিশ্চিত করবে। এটি স্বাস্থ্যখাতে ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা মডেলেরই সম্প্রসারণ, যেখানে মানুষের কল্যাণই প্রাধান্য পাবে।

ড. ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি: স্বাস্থ্যসেবায় সমতা গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিরোধী মডেল বিশ্বে পরিচিতি পাওয়া ড. ইউনূস এবার চীনের সঙ্গে অংশীদারিত্বে স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে চান। তার মতে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ জরুরি। বাংলাদেশে গ্রামীণ হাসপাতালের অভাব, শহরে চিকিৎসাকেন্দ্রের ওপর চাপ এবং উচ্চ ব্যয়ের কারণে প্রতি বছর প্রায় ২.৫ লাখ মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। এই হাসপাতালের মাধ্যমে সেই প্রবণতা রোধ করে দেশেই বিশ্বমানের চিকিৎসা নিশ্চিত হবে।

চীনের কৌশলগত বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর অধীনে বাংলাদেশে চীনের এই বিনিয়োগ কৌশলগত ও অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। চীনা কোম্পানিগুলো এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-ভিত্তিক ডায়াগনস্টিক সিস্টেম, রোবোটিক সার্জারি ও টেলিমেডিসিন সুবিধা সরবরাহ করবে। মাইন্ড্রে, আইফ্লাইটেক ও টেনসেন্টের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই হাসপাতাল রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। এছাড়া, চীনের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেবেন, যা স্থানীয় দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বর্তমানে বাংলাদেশে হাসপাতালের সংখ্যা জনসংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল। সরকারি হাসপাতালে চাপ ও বেসরকারি খাতের উচ্চ খরচ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ড. ইউনূসের এই উদ্যোগ যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি চিকিৎসা পর্যটনকেও উৎসাহিত করবে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে স্থানীয় জনগণের জন্য সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করা, দক্ষ কর্মী নিয়োগ এবং প্রযুক্তির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা!

আপডেট সময় : ০৪:৪৮:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

Logo

 

চীনের সহযোগিতায় ড. ইউনূসের স্বপ্ন: বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা!

চীনের সহযোগিতায় ড. ইউনূসের স্বপ্ন: বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা!
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন অধ্যায়: নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই হাসপাতালের মাধ্যমে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য ভারত বা অন্য দেশে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সুবিধাসমৃদ্ধ এই চিকিৎসাকেন্দ্র গরিব-ধনী নির্বিশেষে সবার জন্য সাশ্রয়ী সেবা নিশ্চিত করবে। এটি স্বাস্থ্যখাতে ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা মডেলেরই সম্প্রসারণ, যেখানে মানুষের কল্যাণই প্রাধান্য পাবে।

ড. ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি: স্বাস্থ্যসেবায় সমতা গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিরোধী মডেল বিশ্বে পরিচিতি পাওয়া ড. ইউনূস এবার চীনের সঙ্গে অংশীদারিত্বে স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে চান। তার মতে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ জরুরি। বাংলাদেশে গ্রামীণ হাসপাতালের অভাব, শহরে চিকিৎসাকেন্দ্রের ওপর চাপ এবং উচ্চ ব্যয়ের কারণে প্রতি বছর প্রায় ২.৫ লাখ মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। এই হাসপাতালের মাধ্যমে সেই প্রবণতা রোধ করে দেশেই বিশ্বমানের চিকিৎসা নিশ্চিত হবে।

চীনের কৌশলগত বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর অধীনে বাংলাদেশে চীনের এই বিনিয়োগ কৌশলগত ও অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। চীনা কোম্পানিগুলো এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-ভিত্তিক ডায়াগনস্টিক সিস্টেম, রোবোটিক সার্জারি ও টেলিমেডিসিন সুবিধা সরবরাহ করবে। মাইন্ড্রে, আইফ্লাইটেক ও টেনসেন্টের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই হাসপাতাল রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। এছাড়া, চীনের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেবেন, যা স্থানীয় দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বর্তমানে বাংলাদেশে হাসপাতালের সংখ্যা জনসংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল। সরকারি হাসপাতালে চাপ ও বেসরকারি খাতের উচ্চ খরচ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ড. ইউনূসের এই উদ্যোগ যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি চিকিৎসা পর্যটনকেও উৎসাহিত করবে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে স্থানীয় জনগণের জন্য সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করা, দক্ষ কর্মী নিয়োগ এবং প্রযুক্তির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।