ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা!

বাস রুট রেশনালাইজেশনের ‘শেষ ভরসা’ অন্তর্বর্তী সরকার

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১০:২১:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 35
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

২০ বছরের উদ্যোগ আর চার বছরের পরিকল্পনায় শুরু হওয়া বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্প এখনও আলোর মুখ দেখেনি। উদ্যোক্তারা জানান, তৎকালীন পরিবহন নেতাদের রাজনৈতিক প্রভাবই প্রকল্প বাস্তবায়নে মূল বাধা ছিল। পটপরিবর্তনের পর সেই বাধা নেই বলে আশার আলো দেখছেন তারা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্দিষ্ট রেগুলেটরি অথরিটি প্রতিষ্ঠা করে কাজ করতে হবে দায়বদ্ধতার সঙ্গে।
পটপরিবর্তনের পর বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্প নিয়ে আশার আলো দেখছেন উদ্যোক্তারা। ছবি ভিডিও থেকে নেয়া

পটপরিবর্তনের পর বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্প নিয়ে আশার আলো দেখছেন উদ্যোক্তারা

নানা কাঠখড় পুড়িয়ে ভোগান্তিহীন যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে রাজধানীতে ২০২১ সালে যাত্রা শুরু করা ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ প্রকল্প সফলতার মুখ দেখেনি। বরং দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যানজটের তীব্রতা বেড়ে ঢাকা হয়ে উঠেছে অসহ্য দুর্ভোগের নগরী।

অথচ যানজটের কবলে কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ায় লাভ-ক্ষতির হিসাব মিলিয়ে বাস চালকরাও আসতে চান এক ছাতার নিচে। আর নানা হয়রানি ও ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে যাত্রীদের প্রত্যাশা সড়ক হয়ে উঠুক শৃঙ্খলাপূর্ণ।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) জানায়, তৎকালীন পরিবহন নেতাদের রাজনৈতিক প্রভাব, অবৈধ বাসের দৌরাত্ম্য, মালিকানা হারানোর ভয়ে বাস কোম্পানির অনীহা ও লেনদেনের স্বচ্ছতার অভাব ছিল প্রধান অন্তরায়। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পূর্বের কোনো বাধাই এখন আর নেই। নতুন করে দায়িত্ব পাওয়া পরিবহন নেতারাও সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

ডিটিসিএর ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ও প্রোজেক্ট ম্যানেজার ধ্রুব আলম বলেন, ‘প্রকল্পটি চালুর জন্য তৎকালীন বাস-মালিক সমিতির নেতারা ছিলেন তাদের কাছ থেকে আমরা সহযোগিতা পাইনি। যে উদ্যোক্তারা আবেদন করেছিলেন তাদেরও অনেক হয়রানি করা হয়েছিল।’

আরও পড়ুন: প্রথম পরীক্ষায় ফেল, এবার পাস করবে তো নগর পরিবহন সেবা?

প্রত্যেক কোম্পানির মালিককে ডেকে আলোচনার মাধ্যমে প্রকল্পটির চালুর ব্যপারে আমরা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবার ছাড় দিতে নারাজ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন বলেন, ‘আর নয় নৈরাজ্য, ফিটনেস না থাকলে মিলবে না লাইসেন্স। চলতি মাসের পর আমরা আর পুরোনো গাড়ি রাখবো না।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন বাস্তবায়ন করতে হলে মেট্রো কিংবা বিআরটির মতো একটা রেগুলাটরি অথোরিটি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা প্রতিনিয়ত সেবার মানদণ্ড পর্যবেক্ষণ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সংস্কৃতি কম বিনিয়োগের প্রকল্পে আগ্রহ কম, তাই এখনই মোক্ষম সময় উদ্যোগ নেয়ার। অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে এ স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাস রুট রেশনালাইজেশনের ‘শেষ ভরসা’ অন্তর্বর্তী সরকার

আপডেট সময় : ১০:২১:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

 

২০ বছরের উদ্যোগ আর চার বছরের পরিকল্পনায় শুরু হওয়া বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্প এখনও আলোর মুখ দেখেনি। উদ্যোক্তারা জানান, তৎকালীন পরিবহন নেতাদের রাজনৈতিক প্রভাবই প্রকল্প বাস্তবায়নে মূল বাধা ছিল। পটপরিবর্তনের পর সেই বাধা নেই বলে আশার আলো দেখছেন তারা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্দিষ্ট রেগুলেটরি অথরিটি প্রতিষ্ঠা করে কাজ করতে হবে দায়বদ্ধতার সঙ্গে।
পটপরিবর্তনের পর বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্প নিয়ে আশার আলো দেখছেন উদ্যোক্তারা। ছবি ভিডিও থেকে নেয়া

পটপরিবর্তনের পর বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্প নিয়ে আশার আলো দেখছেন উদ্যোক্তারা

নানা কাঠখড় পুড়িয়ে ভোগান্তিহীন যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে রাজধানীতে ২০২১ সালে যাত্রা শুরু করা ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ প্রকল্প সফলতার মুখ দেখেনি। বরং দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যানজটের তীব্রতা বেড়ে ঢাকা হয়ে উঠেছে অসহ্য দুর্ভোগের নগরী।

অথচ যানজটের কবলে কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ায় লাভ-ক্ষতির হিসাব মিলিয়ে বাস চালকরাও আসতে চান এক ছাতার নিচে। আর নানা হয়রানি ও ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে যাত্রীদের প্রত্যাশা সড়ক হয়ে উঠুক শৃঙ্খলাপূর্ণ।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) জানায়, তৎকালীন পরিবহন নেতাদের রাজনৈতিক প্রভাব, অবৈধ বাসের দৌরাত্ম্য, মালিকানা হারানোর ভয়ে বাস কোম্পানির অনীহা ও লেনদেনের স্বচ্ছতার অভাব ছিল প্রধান অন্তরায়। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পূর্বের কোনো বাধাই এখন আর নেই। নতুন করে দায়িত্ব পাওয়া পরিবহন নেতারাও সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

ডিটিসিএর ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ও প্রোজেক্ট ম্যানেজার ধ্রুব আলম বলেন, ‘প্রকল্পটি চালুর জন্য তৎকালীন বাস-মালিক সমিতির নেতারা ছিলেন তাদের কাছ থেকে আমরা সহযোগিতা পাইনি। যে উদ্যোক্তারা আবেদন করেছিলেন তাদেরও অনেক হয়রানি করা হয়েছিল।’

আরও পড়ুন: প্রথম পরীক্ষায় ফেল, এবার পাস করবে তো নগর পরিবহন সেবা?

প্রত্যেক কোম্পানির মালিককে ডেকে আলোচনার মাধ্যমে প্রকল্পটির চালুর ব্যপারে আমরা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবার ছাড় দিতে নারাজ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন বলেন, ‘আর নয় নৈরাজ্য, ফিটনেস না থাকলে মিলবে না লাইসেন্স। চলতি মাসের পর আমরা আর পুরোনো গাড়ি রাখবো না।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন বাস্তবায়ন করতে হলে মেট্রো কিংবা বিআরটির মতো একটা রেগুলাটরি অথোরিটি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা প্রতিনিয়ত সেবার মানদণ্ড পর্যবেক্ষণ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সংস্কৃতি কম বিনিয়োগের প্রকল্পে আগ্রহ কম, তাই এখনই মোক্ষম সময় উদ্যোগ নেয়ার। অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে এ স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।’