ঢাকা ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
কিভাবে বাড়ছে বাংলাদেশের আয়তন? পাল্টে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের পোশাক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পদত্যাগ করছেন পুতুল? চারটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত হবে নতুন বাংলাদেশ! সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক : প্রেসসচিব অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন: সাংবাদিকদের নামে মামলা নতুন অডিও ফাঁস : কাঁদতে কাঁদতে যা বললেন শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার

বিএনপির জাতীয় সরকারে কি জামায়াত থাকবে

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 95
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারত নিয়ে জামায়াতের আমির বলেছেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগী দেশ আমাদের খুবই প্রয়োজন। প্রতিবেশী বদলানো যায় না। আপনারা বদলানোর চিন্তা করেন কেন।’

এর প্রতিক্রিয়ায় তারেক রহমান বলেন, ‘গত কয়েক দিনে দেখেছি কিছু রাজনৈতিক দল একটি প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে। সে কারণে তারা বিভ্রান্ত ছড়ায়, এ রকম কিছু কথাবার্তা বলছে।’

দিল্লির নীতিনির্ধারকেরা বিএনপির চেয়েও জামায়াতকে বিপজ্জনক বলে মনে করতেন। সে ক্ষেত্রে জামায়াত নেতার এই বক্তব্য নিয়েও সন্দেহ করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।

কোটাবিরোধী আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্যেও নানা মত আছে। কেউ চাইছেন আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপি দেশ চালাবে। আবার কেউ মনে করছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই গণতন্ত্রের পরীক্ষায় ফেল করেছে। ঢাকার রাস্তায় এমন স্লোগানও উৎকীর্ণ হয়েছে, নৌকা ও ধানের শীষ—একই সাপের দুই বিষ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে নিয়োগ নিয়েও বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে একটা মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে। নীল দলের বিপরীতে আগে তারা সাদা দলের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ ছিল। নীল দলের অনুপস্থিতিতে এখন তারা অনেকটা বিভক্ত।

অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় জামায়াত ইসলামী বিএনপির সহযোগী না হয়ে অন্যান্য ইসলামী দলকে নিয়ে নিজেই ক্ষমতায় যেতে চাইছে। কিন্তু এটা কতটা বাস্তবসম্মত? অতীতে মাঠের রাজনীতিতে জামায়াতের অবস্থান যত শক্তিশালী হোক না কেন, ভোটের রাজনীতিতে তারা খুব সুবিধা করতে পারেনি। কোনো নির্বাচনে ৫ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। অন্যান্য ইসলামী দলের অবস্থা আরও শোচনীয়।

আবার জামায়াত বিএনপির জাতীয় সরকারের অংশীদার হলে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিকেরা কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাও দেখার বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিএনপির জাতীয় সরকারে কি জামায়াত থাকবে

আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারত নিয়ে জামায়াতের আমির বলেছেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগী দেশ আমাদের খুবই প্রয়োজন। প্রতিবেশী বদলানো যায় না। আপনারা বদলানোর চিন্তা করেন কেন।’

এর প্রতিক্রিয়ায় তারেক রহমান বলেন, ‘গত কয়েক দিনে দেখেছি কিছু রাজনৈতিক দল একটি প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে। সে কারণে তারা বিভ্রান্ত ছড়ায়, এ রকম কিছু কথাবার্তা বলছে।’

দিল্লির নীতিনির্ধারকেরা বিএনপির চেয়েও জামায়াতকে বিপজ্জনক বলে মনে করতেন। সে ক্ষেত্রে জামায়াত নেতার এই বক্তব্য নিয়েও সন্দেহ করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।

কোটাবিরোধী আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্যেও নানা মত আছে। কেউ চাইছেন আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপি দেশ চালাবে। আবার কেউ মনে করছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই গণতন্ত্রের পরীক্ষায় ফেল করেছে। ঢাকার রাস্তায় এমন স্লোগানও উৎকীর্ণ হয়েছে, নৌকা ও ধানের শীষ—একই সাপের দুই বিষ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে নিয়োগ নিয়েও বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে একটা মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে। নীল দলের বিপরীতে আগে তারা সাদা দলের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ ছিল। নীল দলের অনুপস্থিতিতে এখন তারা অনেকটা বিভক্ত।

অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় জামায়াত ইসলামী বিএনপির সহযোগী না হয়ে অন্যান্য ইসলামী দলকে নিয়ে নিজেই ক্ষমতায় যেতে চাইছে। কিন্তু এটা কতটা বাস্তবসম্মত? অতীতে মাঠের রাজনীতিতে জামায়াতের অবস্থান যত শক্তিশালী হোক না কেন, ভোটের রাজনীতিতে তারা খুব সুবিধা করতে পারেনি। কোনো নির্বাচনে ৫ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। অন্যান্য ইসলামী দলের অবস্থা আরও শোচনীয়।

আবার জামায়াত বিএনপির জাতীয় সরকারের অংশীদার হলে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিকেরা কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাও দেখার বিষয়।