ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

বিকাশ মানুষকে কীভাবে প্রতারিত করছে?

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০১:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 201
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিকাশের একচেটিয়া ব্যবসা ও ষড়যন্ত্র: বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে কীভাবে প্রতারিত করছে?

ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সমালোচিত হচ্ছে। এককভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বিকাশ যে ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে তা অনেকের মতে প্রতারণার শামিল, যা দেশের সাধারণ মানুষকে ক্ষতির সম্মুখীন করছে।

বিকাশ দীর্ঘদিন ধরে এমএফএস সেবার বাজারে তাদের একক আধিপত্য বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন রকমের কৌশল গ্রহণ করেছে। দেশের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল খাতে বিকাশের প্রায় ৮০% বাজার অংশীদারিত্ব রয়েছে। তারা তাদের বড় গ্রাহক ভিত্তি এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে। উদাহরণস্বরূপ, বিকাশের প্রভাবশালী অবস্থান এবং মোবাইল অপারেটরগুলোর সাথে বিশেষ চুক্তি থাকার কারণে অন্যান্য এমএফএস সেবাগুলোর প্রচার ও প্রসারে অসুবিধা হয়।
বিকাশের একচেটিয়া ব্যবসা ও ষড়যন্ত্র

বিকাশ অনেক সময় তাদের গ্রাহকদের কম্পিটিটরদের সেবা ব্যবহার থেকে নিরুৎসাহিত করতে প্রচারমূলক অফার দিয়ে থাকে, যা একচেটিয়া ব্যবসায়িক আচরণের প্রমাণ। তাছাড়া, তারা বিভিন্ন ধরনের ফি ও চার্জের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করছে। এর ফলে বিকাশ তাদের গ্রাহকদের জন্য অন্য সেবা প্রদানকারীদের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।

বিকাশের ব্যবসায়িক ষড়যন্ত্রের অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হলো তাদের অত্যধিক চার্জ এবং ফি নীতি। যেখানে ব্যাংকিং লেনদেনের খরচ কম, বিকাশে প্রতি ১ লক্ষ টাকা পাঠাতে খরচ হয় ১৮৫০ টাকা, যা অন্যান্য এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এই ধরনের উচ্চ চার্জের মাধ্যমে বিকাশ অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিকাশ তাদের সেবার খরচ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন অজুহাত তুলে ধরে, যেমন প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার মান বৃদ্ধির জন্য খরচ বৃদ্ধির দাবি। কিন্তু বাস্তবে, তাদের অপারেশনাল খরচ অন্যান্য এমএফএস সেবার তুলনায় অনেক কম। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে, কেন তারা এত বেশি চার্জ করছে এবং সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছে?

 

বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা প্রতিযোগীদের বিরুদ্ধে অপব্যবহারমূলক কৌশল গ্রহণ করছে। উদাহরণস্বরূপ, বিকাশ তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এছাড়াও, বিকাশ তাদের গ্রাহকদের কম্পিটিটরদের সেবা ব্যবহার থেকে নিরুৎসাহিত করতে তাদের প্রচারণায় বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ব্যবহার করে থাকে।

 

বিকাশের এ ধরনের একচেটিয়া ব্যবসায়িক নীতি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে গ্রাহক ও বিশেষজ্ঞরা আওয়াজ তুলছেন। তাদের মতে, বিকাশের উচিত গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে তাদের চার্জ কমানো এবং ন্যায্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবার বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সুযোগ দিতে হবে, যাতে গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজন ও সুবিধামত সেবা ব্যবহার করতে পারেন।

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় এমএফএস খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উচিত বিকাশের একচেটিয়া আচরণ ও ব্যবসায়িক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। অন্যথায়, বিকাশের এই মনোপলি ব্যবসা দেশের অর্থনৈতিক খাত এবং সাধারণ মানুষের আর্থিক স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিকাশ মানুষকে কীভাবে প্রতারিত করছে?

আপডেট সময় : ০১:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিকাশের একচেটিয়া ব্যবসা ও ষড়যন্ত্র: বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে কীভাবে প্রতারিত করছে?

ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সমালোচিত হচ্ছে। এককভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বিকাশ যে ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে তা অনেকের মতে প্রতারণার শামিল, যা দেশের সাধারণ মানুষকে ক্ষতির সম্মুখীন করছে।

বিকাশ দীর্ঘদিন ধরে এমএফএস সেবার বাজারে তাদের একক আধিপত্য বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন রকমের কৌশল গ্রহণ করেছে। দেশের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল খাতে বিকাশের প্রায় ৮০% বাজার অংশীদারিত্ব রয়েছে। তারা তাদের বড় গ্রাহক ভিত্তি এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে। উদাহরণস্বরূপ, বিকাশের প্রভাবশালী অবস্থান এবং মোবাইল অপারেটরগুলোর সাথে বিশেষ চুক্তি থাকার কারণে অন্যান্য এমএফএস সেবাগুলোর প্রচার ও প্রসারে অসুবিধা হয়।
বিকাশের একচেটিয়া ব্যবসা ও ষড়যন্ত্র

বিকাশ অনেক সময় তাদের গ্রাহকদের কম্পিটিটরদের সেবা ব্যবহার থেকে নিরুৎসাহিত করতে প্রচারমূলক অফার দিয়ে থাকে, যা একচেটিয়া ব্যবসায়িক আচরণের প্রমাণ। তাছাড়া, তারা বিভিন্ন ধরনের ফি ও চার্জের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করছে। এর ফলে বিকাশ তাদের গ্রাহকদের জন্য অন্য সেবা প্রদানকারীদের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।

বিকাশের ব্যবসায়িক ষড়যন্ত্রের অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হলো তাদের অত্যধিক চার্জ এবং ফি নীতি। যেখানে ব্যাংকিং লেনদেনের খরচ কম, বিকাশে প্রতি ১ লক্ষ টাকা পাঠাতে খরচ হয় ১৮৫০ টাকা, যা অন্যান্য এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এই ধরনের উচ্চ চার্জের মাধ্যমে বিকাশ অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিকাশ তাদের সেবার খরচ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন অজুহাত তুলে ধরে, যেমন প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার মান বৃদ্ধির জন্য খরচ বৃদ্ধির দাবি। কিন্তু বাস্তবে, তাদের অপারেশনাল খরচ অন্যান্য এমএফএস সেবার তুলনায় অনেক কম। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে, কেন তারা এত বেশি চার্জ করছে এবং সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছে?

 

বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা প্রতিযোগীদের বিরুদ্ধে অপব্যবহারমূলক কৌশল গ্রহণ করছে। উদাহরণস্বরূপ, বিকাশ তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এছাড়াও, বিকাশ তাদের গ্রাহকদের কম্পিটিটরদের সেবা ব্যবহার থেকে নিরুৎসাহিত করতে তাদের প্রচারণায় বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ব্যবহার করে থাকে।

 

বিকাশের এ ধরনের একচেটিয়া ব্যবসায়িক নীতি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে গ্রাহক ও বিশেষজ্ঞরা আওয়াজ তুলছেন। তাদের মতে, বিকাশের উচিত গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে তাদের চার্জ কমানো এবং ন্যায্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবার বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সুযোগ দিতে হবে, যাতে গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজন ও সুবিধামত সেবা ব্যবহার করতে পারেন।

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় এমএফএস খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উচিত বিকাশের একচেটিয়া আচরণ ও ব্যবসায়িক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। অন্যথায়, বিকাশের এই মনোপলি ব্যবসা দেশের অর্থনৈতিক খাত এবং সাধারণ মানুষের আর্থিক স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।