ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ক্রিকেটার বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগে বিভক্তি, চ্যালেঞ্জের মুখে হাসিনা হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই কে ফোন করে ইউনূসের কাছে! শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে যা বললেন ড. ইউনূস বাংলাদেশের যে সিদ্ধান্তের কারণে মাথায় হাত ভারতের ১০ হাজার আওয়ামী কর্মী মাঠে নামলেই তো সরকার পরে যাবে সরকার উৎখাতে চক্রান্ত! কারাগারে বসেই চলছে নানা তৎপরতা আওয়ামী লীগে বিভক্তি, চ্যালেঞ্জের মুখে হাসিনা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা কানাডার নাগরিক হয়েও বাংলাদেশে সব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত পুতুল দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা চেয়ারম্যান-মেয়র হতে লাগবে স্নাতক ডিগ্রি, হবে না সরাসরি ভোট চাল-মুরগির দাম চড়া, অন্য সব আগের মতো দেশের স্বার্থে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে যা বললেন নাহিদ ইসলাম কিভাবে বাড়ছে বাংলাদেশের আয়তন? পাল্টে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের পোশাক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পদত্যাগ করছেন পুতুল? চারটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত হবে নতুন বাংলাদেশ! সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক : প্রেসসচিব

বিকাশ মানুষকে কীভাবে প্রতারিত করছে?

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০১:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 175
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিকাশের একচেটিয়া ব্যবসা ও ষড়যন্ত্র: বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে কীভাবে প্রতারিত করছে?

ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সমালোচিত হচ্ছে। এককভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বিকাশ যে ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে তা অনেকের মতে প্রতারণার শামিল, যা দেশের সাধারণ মানুষকে ক্ষতির সম্মুখীন করছে।

বিকাশ দীর্ঘদিন ধরে এমএফএস সেবার বাজারে তাদের একক আধিপত্য বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন রকমের কৌশল গ্রহণ করেছে। দেশের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল খাতে বিকাশের প্রায় ৮০% বাজার অংশীদারিত্ব রয়েছে। তারা তাদের বড় গ্রাহক ভিত্তি এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে। উদাহরণস্বরূপ, বিকাশের প্রভাবশালী অবস্থান এবং মোবাইল অপারেটরগুলোর সাথে বিশেষ চুক্তি থাকার কারণে অন্যান্য এমএফএস সেবাগুলোর প্রচার ও প্রসারে অসুবিধা হয়।
বিকাশের একচেটিয়া ব্যবসা ও ষড়যন্ত্র

বিকাশ অনেক সময় তাদের গ্রাহকদের কম্পিটিটরদের সেবা ব্যবহার থেকে নিরুৎসাহিত করতে প্রচারমূলক অফার দিয়ে থাকে, যা একচেটিয়া ব্যবসায়িক আচরণের প্রমাণ। তাছাড়া, তারা বিভিন্ন ধরনের ফি ও চার্জের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করছে। এর ফলে বিকাশ তাদের গ্রাহকদের জন্য অন্য সেবা প্রদানকারীদের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।

বিকাশের ব্যবসায়িক ষড়যন্ত্রের অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হলো তাদের অত্যধিক চার্জ এবং ফি নীতি। যেখানে ব্যাংকিং লেনদেনের খরচ কম, বিকাশে প্রতি ১ লক্ষ টাকা পাঠাতে খরচ হয় ১৮৫০ টাকা, যা অন্যান্য এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এই ধরনের উচ্চ চার্জের মাধ্যমে বিকাশ অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিকাশ তাদের সেবার খরচ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন অজুহাত তুলে ধরে, যেমন প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার মান বৃদ্ধির জন্য খরচ বৃদ্ধির দাবি। কিন্তু বাস্তবে, তাদের অপারেশনাল খরচ অন্যান্য এমএফএস সেবার তুলনায় অনেক কম। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে, কেন তারা এত বেশি চার্জ করছে এবং সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছে?

 

বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা প্রতিযোগীদের বিরুদ্ধে অপব্যবহারমূলক কৌশল গ্রহণ করছে। উদাহরণস্বরূপ, বিকাশ তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এছাড়াও, বিকাশ তাদের গ্রাহকদের কম্পিটিটরদের সেবা ব্যবহার থেকে নিরুৎসাহিত করতে তাদের প্রচারণায় বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ব্যবহার করে থাকে।

 

বিকাশের এ ধরনের একচেটিয়া ব্যবসায়িক নীতি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে গ্রাহক ও বিশেষজ্ঞরা আওয়াজ তুলছেন। তাদের মতে, বিকাশের উচিত গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে তাদের চার্জ কমানো এবং ন্যায্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবার বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সুযোগ দিতে হবে, যাতে গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজন ও সুবিধামত সেবা ব্যবহার করতে পারেন।

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় এমএফএস খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উচিত বিকাশের একচেটিয়া আচরণ ও ব্যবসায়িক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। অন্যথায়, বিকাশের এই মনোপলি ব্যবসা দেশের অর্থনৈতিক খাত এবং সাধারণ মানুষের আর্থিক স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিকাশ মানুষকে কীভাবে প্রতারিত করছে?

আপডেট সময় : ০১:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিকাশের একচেটিয়া ব্যবসা ও ষড়যন্ত্র: বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে কীভাবে প্রতারিত করছে?

ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সমালোচিত হচ্ছে। এককভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বিকাশ যে ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে তা অনেকের মতে প্রতারণার শামিল, যা দেশের সাধারণ মানুষকে ক্ষতির সম্মুখীন করছে।

বিকাশ দীর্ঘদিন ধরে এমএফএস সেবার বাজারে তাদের একক আধিপত্য বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন রকমের কৌশল গ্রহণ করেছে। দেশের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল খাতে বিকাশের প্রায় ৮০% বাজার অংশীদারিত্ব রয়েছে। তারা তাদের বড় গ্রাহক ভিত্তি এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে। উদাহরণস্বরূপ, বিকাশের প্রভাবশালী অবস্থান এবং মোবাইল অপারেটরগুলোর সাথে বিশেষ চুক্তি থাকার কারণে অন্যান্য এমএফএস সেবাগুলোর প্রচার ও প্রসারে অসুবিধা হয়।
বিকাশের একচেটিয়া ব্যবসা ও ষড়যন্ত্র

বিকাশ অনেক সময় তাদের গ্রাহকদের কম্পিটিটরদের সেবা ব্যবহার থেকে নিরুৎসাহিত করতে প্রচারমূলক অফার দিয়ে থাকে, যা একচেটিয়া ব্যবসায়িক আচরণের প্রমাণ। তাছাড়া, তারা বিভিন্ন ধরনের ফি ও চার্জের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করছে। এর ফলে বিকাশ তাদের গ্রাহকদের জন্য অন্য সেবা প্রদানকারীদের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।

বিকাশের ব্যবসায়িক ষড়যন্ত্রের অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হলো তাদের অত্যধিক চার্জ এবং ফি নীতি। যেখানে ব্যাংকিং লেনদেনের খরচ কম, বিকাশে প্রতি ১ লক্ষ টাকা পাঠাতে খরচ হয় ১৮৫০ টাকা, যা অন্যান্য এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এই ধরনের উচ্চ চার্জের মাধ্যমে বিকাশ অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিকাশ তাদের সেবার খরচ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন অজুহাত তুলে ধরে, যেমন প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার মান বৃদ্ধির জন্য খরচ বৃদ্ধির দাবি। কিন্তু বাস্তবে, তাদের অপারেশনাল খরচ অন্যান্য এমএফএস সেবার তুলনায় অনেক কম। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে, কেন তারা এত বেশি চার্জ করছে এবং সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছে?

 

বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা প্রতিযোগীদের বিরুদ্ধে অপব্যবহারমূলক কৌশল গ্রহণ করছে। উদাহরণস্বরূপ, বিকাশ তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এছাড়াও, বিকাশ তাদের গ্রাহকদের কম্পিটিটরদের সেবা ব্যবহার থেকে নিরুৎসাহিত করতে তাদের প্রচারণায় বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ব্যবহার করে থাকে।

 

বিকাশের এ ধরনের একচেটিয়া ব্যবসায়িক নীতি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে গ্রাহক ও বিশেষজ্ঞরা আওয়াজ তুলছেন। তাদের মতে, বিকাশের উচিত গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে তাদের চার্জ কমানো এবং ন্যায্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবার বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সুযোগ দিতে হবে, যাতে গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজন ও সুবিধামত সেবা ব্যবহার করতে পারেন।

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় এমএফএস খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উচিত বিকাশের একচেটিয়া আচরণ ও ব্যবসায়িক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। অন্যথায়, বিকাশের এই মনোপলি ব্যবসা দেশের অর্থনৈতিক খাত এবং সাধারণ মানুষের আর্থিক স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।