বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হবে বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ১০:১৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ৩২ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের সাত দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক জোট ‘বিমসটেক’ এর পরবর্তী চেয়ারম্যান হবে বাংলদেশ।
ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সোমবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে জোটের মহাসচিব ও রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পাণ্ডের সাক্ষাতের পর এ তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিমসটেক মহাসচিবের আশা, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব সাত দেশের এ জোটের কার্যক্রমে নতুন প্রাণ সঞ্চার হবে।
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ জোটের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের পর বাংলাদেশ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। থাইল্যান্ড ২০২২ সালের মার্চ থেকে এ দায়িত্বে রয়েছে। বাংলাদেশ এর আগে ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ এবং ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালে এ দায়িত্ব পালন করে।
১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংকক ঘোষণার মধ্য দিয়ে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) যাত্রা শুরু হয়। ২০১৪ সালে ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয় চালু করা হয়।
জোটের অন্য সদস্য দেশ হল-ভারত, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান।
থাইল্যান্ডে গত সেপ্টেম্বরে জোটের শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। পরে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। এখন নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়নি।
জোটের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের পর বাংলাদেশ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করবে জানিয়ে মহাসচিব ইন্দ্র মণি প্রধান উপদেষ্টাকে জোটের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
এটিকে একটি শীর্ষ সক্রিয় আঞ্চলিক ফোরামে রূপান্তরের চেষ্টা করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আপনার নেতৃত্বে আমরা অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করতে পারব।
মহাসচিব জানান, এখন থেকে প্রতি বছরে তিনটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং সামুদ্রিক পরিবহন ও জ্বালানি সহযোগিতাসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে চুক্তি সই হয়েছে। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনও এ জোটের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এ জোটের যুব, পরিবেশ ও জলবায়ু সংকটের ওপর বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত। তিনি জুলাই-আগস্টে সফল বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশি তরুণদের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেন।
সাক্ষাতে মহাসচিব ইন্দ্র মণি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের চালু করা ‘থ্রি জিরো মুভমেন্টের’ প্রশংসা করেন।
ইউনূস বলেন, বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র নেপালে ৭০০টিরও বেশি থ্রি জিরো ক্লাব রয়েছে এবং ভারতের অন্তত আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ব্যবসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।