ঢাকা ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ববান অভিভাবক: ভাইস চ্যান্সেলরের সরল অনুসন্ধান

তাহমিদা আকবর
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 162
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সকাল ৮:৫০

আইএমএলে নিচ তলার টেবিলে বসে, বাকি থাকা হোমওয়ার্ক করছিলাম। হঠাৎ একজন বয়স্ক ধরনের মানুষ আসলেন। খুবই ইনফরমাল টি-শার্ট পরিহিত। মাথায় ক্যাপ ছিল। দ্রুত গতিতে হাঁটতে হাঁটতে নিচ তলায় এদিক সেদিক দেখে নিলেন। মনে হবে জগিং করতে বের হয়েছেন। ভাষা ইনস্টিটিউট হওয়ায় সব বয়সের মানুষকেই এখানে দেখা যায়। এই সিনারিও তেমন অস্বাভাবিক না।
একটু পরে, তিনি হঠাৎ করে আমাদের টেবিলের সামনে এসে বললেন, (কিছু একটা সম্বোধন করেছিলেন, ঠিক মনে নেই) ‘তোমরা কেমন আছো?’ (আমি ভেবেছিলাম উনি হয়তো ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স সম্পর্কে জানতে চাইবেন) এর মধ্যেই উনি বলে ফেললেন, ‘আমি নিয়াজ আহমেদ, ভাইস চ্যান্সেলর। (সবাই দাঁড়িয়ে সালাম দিলাম) তোমরা বসো, বসো। আমি আসলে জানতে এসেছি তোমরা কোন ব্যাচের। তোমাদের ক্লাস শুরু হয়েছে তো? ইনস্টিটিউটের ইন্টারনাল অনেক সমস্যা থাকতে পারে, সেগুলো সব আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তোমাদের তো ক্লাস শুরু করতে হবে। তোমরা সবাইকে ক্লাসে আসতে বলবা। ক্লাস শুরু না করলে তো হবে না। তোমাদের গতকাল ক্লাস হয়েছে? এর আগের দিন হয়েছে?’
শেষে বললেন, ‘তোমরা সবাই ভালো থেকো।’

উনি আরো কিছু কথা বললেন, কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় আমি সব খেয়াল রাখতে পারিনি।

আমাদের টেবিল থেকে পাশের টেবিলে গিয়েও স্যার একই কথাই বললেন।

উনি পরিচয় না দেওয়া পর্যন্ত আমরা একজন স্টুডেন্ট ও বুঝতে পারিনি উনি কে। ভাইস চ্যান্সেলর হচ্ছেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবকের পদ, গুরু দায়িত্বের পদ। সর্বোচ্চ সম্মানের পদও বটে। প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝেও স্যার এত সাধারণভাবে এসে আমাদের খোঁজ নিলেন, এই দৃশ্যটাকে আমি রিলেট করেছি একজন ন্যায়পরায়ণ, দায়িত্ববান শাসকের সাথে, যিনি ছদ্মবেশে তার জনগণের খোঁজ নেন। এটা যদিও স্বাভাবিক একটা দৃশ্য হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বিগত দিনগুলোতে এই পদের যে অপব্যবহার আমরা দেখেছি, সে হিসেব করলে, এটা অস্বাভাবিকই মনে হয়। আমি অনেক ইমপ্রেসড, আলহামদুলিল্লাহ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তনের এই ধারা অব্যাহত থাকুক দু’আ করি। শাসন, শ্রদ্ধা, স্নেহ ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার্থী-শিক্ষক সম্পর্ক হয়ে উঠুক সবচেয়ে মূল্যবান।

তাহমিদা আকবর
জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ
সেশন : ২০২০-২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ববান অভিভাবক: ভাইস চ্যান্সেলরের সরল অনুসন্ধান

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সকাল ৮:৫০

আইএমএলে নিচ তলার টেবিলে বসে, বাকি থাকা হোমওয়ার্ক করছিলাম। হঠাৎ একজন বয়স্ক ধরনের মানুষ আসলেন। খুবই ইনফরমাল টি-শার্ট পরিহিত। মাথায় ক্যাপ ছিল। দ্রুত গতিতে হাঁটতে হাঁটতে নিচ তলায় এদিক সেদিক দেখে নিলেন। মনে হবে জগিং করতে বের হয়েছেন। ভাষা ইনস্টিটিউট হওয়ায় সব বয়সের মানুষকেই এখানে দেখা যায়। এই সিনারিও তেমন অস্বাভাবিক না।
একটু পরে, তিনি হঠাৎ করে আমাদের টেবিলের সামনে এসে বললেন, (কিছু একটা সম্বোধন করেছিলেন, ঠিক মনে নেই) ‘তোমরা কেমন আছো?’ (আমি ভেবেছিলাম উনি হয়তো ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স সম্পর্কে জানতে চাইবেন) এর মধ্যেই উনি বলে ফেললেন, ‘আমি নিয়াজ আহমেদ, ভাইস চ্যান্সেলর। (সবাই দাঁড়িয়ে সালাম দিলাম) তোমরা বসো, বসো। আমি আসলে জানতে এসেছি তোমরা কোন ব্যাচের। তোমাদের ক্লাস শুরু হয়েছে তো? ইনস্টিটিউটের ইন্টারনাল অনেক সমস্যা থাকতে পারে, সেগুলো সব আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তোমাদের তো ক্লাস শুরু করতে হবে। তোমরা সবাইকে ক্লাসে আসতে বলবা। ক্লাস শুরু না করলে তো হবে না। তোমাদের গতকাল ক্লাস হয়েছে? এর আগের দিন হয়েছে?’
শেষে বললেন, ‘তোমরা সবাই ভালো থেকো।’

উনি আরো কিছু কথা বললেন, কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় আমি সব খেয়াল রাখতে পারিনি।

আমাদের টেবিল থেকে পাশের টেবিলে গিয়েও স্যার একই কথাই বললেন।

উনি পরিচয় না দেওয়া পর্যন্ত আমরা একজন স্টুডেন্ট ও বুঝতে পারিনি উনি কে। ভাইস চ্যান্সেলর হচ্ছেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবকের পদ, গুরু দায়িত্বের পদ। সর্বোচ্চ সম্মানের পদও বটে। প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝেও স্যার এত সাধারণভাবে এসে আমাদের খোঁজ নিলেন, এই দৃশ্যটাকে আমি রিলেট করেছি একজন ন্যায়পরায়ণ, দায়িত্ববান শাসকের সাথে, যিনি ছদ্মবেশে তার জনগণের খোঁজ নেন। এটা যদিও স্বাভাবিক একটা দৃশ্য হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বিগত দিনগুলোতে এই পদের যে অপব্যবহার আমরা দেখেছি, সে হিসেব করলে, এটা অস্বাভাবিকই মনে হয়। আমি অনেক ইমপ্রেসড, আলহামদুলিল্লাহ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তনের এই ধারা অব্যাহত থাকুক দু’আ করি। শাসন, শ্রদ্ধা, স্নেহ ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার্থী-শিক্ষক সম্পর্ক হয়ে উঠুক সবচেয়ে মূল্যবান।

তাহমিদা আকবর
জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ
সেশন : ২০২০-২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়