ঢাকা ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের সুযোগ্য কন্যা মেহেনাজ মান্নান ইলিশ ধরায় খরচ ৮৩০ টাকা, ভোক্তার গুনতে হয় অন্তত ২ হাজার নির্বাচন কে সামনে রেখে উত্তাল ঢাকা-১ দোহার-নবাবগঞ্জ আসন আটপাড়ায় কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর কেন্দুয়ায় মানবপাচার মামলার আসামীরা রিমান্ডে মাস্টারমাইন্ডের নাম প্রকাশ করেছে ‎ ‎কেন্দুয়ায় মানবপাচারের মামলায় চীনা নাগরিকসহ দুই আসামীকে কারাগারে প্রেরণ কেন্দুয়া থেকে তিন নারীকে চীনে পাচারের চেষ্টা; চীনা নাগরিকসহ আটক দুইজন কেন্দুয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৫ ‎কেন্দুয়ায় প্রকল্পের অনিয়ম তদন্তের সময় হাতাহাতি: ইউএনও আহত কেন্দুয়ায় প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ জাল ধ্বংস ওসমান হাদী দাবিতে ঘনিষ্ঠ ভিডিও প্রচার, সামনে এলো আসল সত্য ব্লাড মুন দেখা যাবে রোববার, চাঁদ লাল হওয়ার কারণ কী? তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড়

ভাঙা হাড় জোড়া লাগতে দেরি হয় কেন জানেন?

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৯:২২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / 210
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিলম্বে হাড় জোড়া লাগা একটি বিশেষ সমস্যা। প্রতিদিন অসংখ্য রোগীর হাড় ভাঙে; সঠিক চিকিৎসা পেলে কিছুদিনের মধ্যে তা জোড়াও লাগে। তবে হাড়ভাঙা-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জটিল সমস্যা হতে পারে।

অনেক সময় দেখা যায়, দীর্ঘদিন এসব সমস্যা থাকায় জোড়া বা জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায় এবং মাংসপেশি শুকিয়ে যায়, হতে পারে সংক্রমণও। সঙ্গে অন্য কিছু অসুস্থতার কারণে অনেক রোগীর হাড়ভাঙা-পরবর্তী জোড়া লাগা বিলম্বিত হতে পারে।

হাড় ভাঙার তীব্রতা, স্থান ও রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর এটি জোড়া লাগার সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে। যদি চার থেকে ছয় মাসের মধ্যেও জোড়া না লাগে, তবে তাকে ডিলেইড ইউনিয়ন বা বিলম্বিত জোড়া বলা যায়। আর ৯ থেকে ১২ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও জোড়া না লাগলে, তাকে নন–ইউনিয়ন বা জোড়া না লাগার সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়।

কিছু রোগবালাই ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা বিলম্বিত জোড়ার কারণ হতে পারে, যেমন–

● বয়স্ক রোগী, যাঁদের হাড় এমনিতেই ভঙ্গুর বা অস্টিওপোরোসিস আছে।

● যাঁদের দীর্ঘ মেয়াদে ডায়াবেটিস আছে।

● অপুষ্টি, ধূমপান, মেটাবলিক কিছু রোগ, অতিরিক্ত নন–স্টেরয়ডাল অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি বা ব্যথানাশক ওষুধ ও স্টেরয়েডের ব্যবহার, ওপেন ফ্র্যাকচার বা একাধিক ফ্র্যাকচারের উপস্থিতি।

● একটি ফ্র্যাকচার জোড়া লাগার জন্য সেখানে ভালো রক্ত সরবরাহের প্রয়োজন। তাই যদি কোনো কারণে রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে, হাড় জোড়া লাগতে বিলম্ব হয়।

● সংক্রমণও জোড়া না লাগার একটি বড় কারণ।

হাড়ে ফ্র্যাকচার হলে নানা কারণে নির্ধারিত সময়ের পরও তা জোড়া না লাগলে চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি অস্ত্রোপচার করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে সব চেষ্টার পরও পরিপূর্ণভাবে হাড় জোড়া লাগে না। সে ক্ষেত্রে রোগীদের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার পাশাপাশি ইলেকট্রো থেরাপি অনেকাংশে উপকারে আসে।

বর্তমানে বলা হয়, মাইক্রো কারেন্ট বা বিশেষ মাত্রার ইলেকট্রিক স্টিমুলেশন প্রয়োগে হাড়ের জোড়ার নিরাময় অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত করা যায়। তবে এ চিকিৎসাপদ্ধতি শুধু প্রচলিত চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যর্থ হলে প্রয়োগ করা উচিত।

ডিলেইড ইউনিয়ন ও নন–ইউনিয়ন—এ দুই ধরনের সমস্যা ফ্র্যাকচারের রোগীদের প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কেউ কেউ আজীবন পঙ্গুত্বের শিকার হয়ে পড়েন এবং পরিবার-সমাজের ‘বোঝায়’ পরিণত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভাঙা হাড় জোড়া লাগতে দেরি হয় কেন জানেন?

আপডেট সময় : ০৯:২২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

বিলম্বে হাড় জোড়া লাগা একটি বিশেষ সমস্যা। প্রতিদিন অসংখ্য রোগীর হাড় ভাঙে; সঠিক চিকিৎসা পেলে কিছুদিনের মধ্যে তা জোড়াও লাগে। তবে হাড়ভাঙা-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জটিল সমস্যা হতে পারে।

অনেক সময় দেখা যায়, দীর্ঘদিন এসব সমস্যা থাকায় জোড়া বা জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায় এবং মাংসপেশি শুকিয়ে যায়, হতে পারে সংক্রমণও। সঙ্গে অন্য কিছু অসুস্থতার কারণে অনেক রোগীর হাড়ভাঙা-পরবর্তী জোড়া লাগা বিলম্বিত হতে পারে।

হাড় ভাঙার তীব্রতা, স্থান ও রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর এটি জোড়া লাগার সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে। যদি চার থেকে ছয় মাসের মধ্যেও জোড়া না লাগে, তবে তাকে ডিলেইড ইউনিয়ন বা বিলম্বিত জোড়া বলা যায়। আর ৯ থেকে ১২ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও জোড়া না লাগলে, তাকে নন–ইউনিয়ন বা জোড়া না লাগার সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়।

কিছু রোগবালাই ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা বিলম্বিত জোড়ার কারণ হতে পারে, যেমন–

● বয়স্ক রোগী, যাঁদের হাড় এমনিতেই ভঙ্গুর বা অস্টিওপোরোসিস আছে।

● যাঁদের দীর্ঘ মেয়াদে ডায়াবেটিস আছে।

● অপুষ্টি, ধূমপান, মেটাবলিক কিছু রোগ, অতিরিক্ত নন–স্টেরয়ডাল অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি বা ব্যথানাশক ওষুধ ও স্টেরয়েডের ব্যবহার, ওপেন ফ্র্যাকচার বা একাধিক ফ্র্যাকচারের উপস্থিতি।

● একটি ফ্র্যাকচার জোড়া লাগার জন্য সেখানে ভালো রক্ত সরবরাহের প্রয়োজন। তাই যদি কোনো কারণে রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে, হাড় জোড়া লাগতে বিলম্ব হয়।

● সংক্রমণও জোড়া না লাগার একটি বড় কারণ।

হাড়ে ফ্র্যাকচার হলে নানা কারণে নির্ধারিত সময়ের পরও তা জোড়া না লাগলে চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি অস্ত্রোপচার করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে সব চেষ্টার পরও পরিপূর্ণভাবে হাড় জোড়া লাগে না। সে ক্ষেত্রে রোগীদের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার পাশাপাশি ইলেকট্রো থেরাপি অনেকাংশে উপকারে আসে।

বর্তমানে বলা হয়, মাইক্রো কারেন্ট বা বিশেষ মাত্রার ইলেকট্রিক স্টিমুলেশন প্রয়োগে হাড়ের জোড়ার নিরাময় অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত করা যায়। তবে এ চিকিৎসাপদ্ধতি শুধু প্রচলিত চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যর্থ হলে প্রয়োগ করা উচিত।

ডিলেইড ইউনিয়ন ও নন–ইউনিয়ন—এ দুই ধরনের সমস্যা ফ্র্যাকচারের রোগীদের প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কেউ কেউ আজীবন পঙ্গুত্বের শিকার হয়ে পড়েন এবং পরিবার-সমাজের ‘বোঝায়’ পরিণত হন।