ঢাকা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল

ভাঙা হাড় জোড়া লাগতে দেরি হয় কেন জানেন?

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৯:২২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / 121
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিলম্বে হাড় জোড়া লাগা একটি বিশেষ সমস্যা। প্রতিদিন অসংখ্য রোগীর হাড় ভাঙে; সঠিক চিকিৎসা পেলে কিছুদিনের মধ্যে তা জোড়াও লাগে। তবে হাড়ভাঙা-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জটিল সমস্যা হতে পারে।

অনেক সময় দেখা যায়, দীর্ঘদিন এসব সমস্যা থাকায় জোড়া বা জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায় এবং মাংসপেশি শুকিয়ে যায়, হতে পারে সংক্রমণও। সঙ্গে অন্য কিছু অসুস্থতার কারণে অনেক রোগীর হাড়ভাঙা-পরবর্তী জোড়া লাগা বিলম্বিত হতে পারে।

হাড় ভাঙার তীব্রতা, স্থান ও রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর এটি জোড়া লাগার সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে। যদি চার থেকে ছয় মাসের মধ্যেও জোড়া না লাগে, তবে তাকে ডিলেইড ইউনিয়ন বা বিলম্বিত জোড়া বলা যায়। আর ৯ থেকে ১২ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও জোড়া না লাগলে, তাকে নন–ইউনিয়ন বা জোড়া না লাগার সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়।

কিছু রোগবালাই ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা বিলম্বিত জোড়ার কারণ হতে পারে, যেমন–

● বয়স্ক রোগী, যাঁদের হাড় এমনিতেই ভঙ্গুর বা অস্টিওপোরোসিস আছে।

● যাঁদের দীর্ঘ মেয়াদে ডায়াবেটিস আছে।

● অপুষ্টি, ধূমপান, মেটাবলিক কিছু রোগ, অতিরিক্ত নন–স্টেরয়ডাল অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি বা ব্যথানাশক ওষুধ ও স্টেরয়েডের ব্যবহার, ওপেন ফ্র্যাকচার বা একাধিক ফ্র্যাকচারের উপস্থিতি।

● একটি ফ্র্যাকচার জোড়া লাগার জন্য সেখানে ভালো রক্ত সরবরাহের প্রয়োজন। তাই যদি কোনো কারণে রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে, হাড় জোড়া লাগতে বিলম্ব হয়।

● সংক্রমণও জোড়া না লাগার একটি বড় কারণ।

হাড়ে ফ্র্যাকচার হলে নানা কারণে নির্ধারিত সময়ের পরও তা জোড়া না লাগলে চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি অস্ত্রোপচার করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে সব চেষ্টার পরও পরিপূর্ণভাবে হাড় জোড়া লাগে না। সে ক্ষেত্রে রোগীদের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার পাশাপাশি ইলেকট্রো থেরাপি অনেকাংশে উপকারে আসে।

বর্তমানে বলা হয়, মাইক্রো কারেন্ট বা বিশেষ মাত্রার ইলেকট্রিক স্টিমুলেশন প্রয়োগে হাড়ের জোড়ার নিরাময় অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত করা যায়। তবে এ চিকিৎসাপদ্ধতি শুধু প্রচলিত চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যর্থ হলে প্রয়োগ করা উচিত।

ডিলেইড ইউনিয়ন ও নন–ইউনিয়ন—এ দুই ধরনের সমস্যা ফ্র্যাকচারের রোগীদের প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কেউ কেউ আজীবন পঙ্গুত্বের শিকার হয়ে পড়েন এবং পরিবার-সমাজের ‘বোঝায়’ পরিণত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভাঙা হাড় জোড়া লাগতে দেরি হয় কেন জানেন?

আপডেট সময় : ০৯:২২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

বিলম্বে হাড় জোড়া লাগা একটি বিশেষ সমস্যা। প্রতিদিন অসংখ্য রোগীর হাড় ভাঙে; সঠিক চিকিৎসা পেলে কিছুদিনের মধ্যে তা জোড়াও লাগে। তবে হাড়ভাঙা-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জটিল সমস্যা হতে পারে।

অনেক সময় দেখা যায়, দীর্ঘদিন এসব সমস্যা থাকায় জোড়া বা জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায় এবং মাংসপেশি শুকিয়ে যায়, হতে পারে সংক্রমণও। সঙ্গে অন্য কিছু অসুস্থতার কারণে অনেক রোগীর হাড়ভাঙা-পরবর্তী জোড়া লাগা বিলম্বিত হতে পারে।

হাড় ভাঙার তীব্রতা, স্থান ও রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর এটি জোড়া লাগার সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে। যদি চার থেকে ছয় মাসের মধ্যেও জোড়া না লাগে, তবে তাকে ডিলেইড ইউনিয়ন বা বিলম্বিত জোড়া বলা যায়। আর ৯ থেকে ১২ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও জোড়া না লাগলে, তাকে নন–ইউনিয়ন বা জোড়া না লাগার সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়।

কিছু রোগবালাই ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা বিলম্বিত জোড়ার কারণ হতে পারে, যেমন–

● বয়স্ক রোগী, যাঁদের হাড় এমনিতেই ভঙ্গুর বা অস্টিওপোরোসিস আছে।

● যাঁদের দীর্ঘ মেয়াদে ডায়াবেটিস আছে।

● অপুষ্টি, ধূমপান, মেটাবলিক কিছু রোগ, অতিরিক্ত নন–স্টেরয়ডাল অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি বা ব্যথানাশক ওষুধ ও স্টেরয়েডের ব্যবহার, ওপেন ফ্র্যাকচার বা একাধিক ফ্র্যাকচারের উপস্থিতি।

● একটি ফ্র্যাকচার জোড়া লাগার জন্য সেখানে ভালো রক্ত সরবরাহের প্রয়োজন। তাই যদি কোনো কারণে রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে, হাড় জোড়া লাগতে বিলম্ব হয়।

● সংক্রমণও জোড়া না লাগার একটি বড় কারণ।

হাড়ে ফ্র্যাকচার হলে নানা কারণে নির্ধারিত সময়ের পরও তা জোড়া না লাগলে চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি অস্ত্রোপচার করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে সব চেষ্টার পরও পরিপূর্ণভাবে হাড় জোড়া লাগে না। সে ক্ষেত্রে রোগীদের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার পাশাপাশি ইলেকট্রো থেরাপি অনেকাংশে উপকারে আসে।

বর্তমানে বলা হয়, মাইক্রো কারেন্ট বা বিশেষ মাত্রার ইলেকট্রিক স্টিমুলেশন প্রয়োগে হাড়ের জোড়ার নিরাময় অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত করা যায়। তবে এ চিকিৎসাপদ্ধতি শুধু প্রচলিত চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যর্থ হলে প্রয়োগ করা উচিত।

ডিলেইড ইউনিয়ন ও নন–ইউনিয়ন—এ দুই ধরনের সমস্যা ফ্র্যাকচারের রোগীদের প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কেউ কেউ আজীবন পঙ্গুত্বের শিকার হয়ে পড়েন এবং পরিবার-সমাজের ‘বোঝায়’ পরিণত হন।