ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

ভারতকে দেওয়া ‘বিশেষ সুবিধা’ বাতিল

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 94
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ভারতের জন্য বরাদ্দ বিশেষ সুবিধা ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ বা এমএফএন তকমা বাতিল করেছে সুইজারল্যান্ড। সুইস সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য সুইজারল্যান্ডে কর হার আবারও ১০ শতাংশে ফিরে যাবে। এর আগে ২০২১ সালে এই হার ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছিল।

ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি নেসলের এক মামলার জেরে সুইজারল্যান্ড ভারতকে দেওয়া ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ (এমএফএন) মর্যাদা প্রত্যাহার করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশ যখন অন্য একটি দেশকে ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ (এমএফএন) মর্যাদা দেয়, তখন সেই দেশের জন্য শুল্ক ও বাণিজ্য নীতিতে বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করতে হয়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সুইজারল্যান্ডের এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় পণ্য রপ্তানি ও বিনিয়োগ প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

সুইজারল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি (ডাবল ট্যাক্স অ্যাভয়ডেন্স অ্যাগ্রিমেন্ট বা ডিটিএএ) বিদ্যমান, যার উদ্দেশ্য হলো সুইজারল্যান্ডে কাজ করা ভারতীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই আয়ের জন্য দুই দেশে কর দিতে বাধ্য না করা। এই চুক্তি প্রথম স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯৪ সালে এবং পরে ২০১০ সালে সংশোধিত হয়। চুক্তিটি উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও সুবিধা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

 

মূলত, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি (ডিটিএএ) কার্যকর করতে নতুন বাধা তৈরি করে। ওই মামলায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি নেসলে একটি পক্ষ ছিল। ভারতীয় শীর্ষ আদালত রায়ে জানায়, ভারতীয় আয়কর আইনের ৯০(১) ধারা অনুযায়ী, সরকারের প্রজ্ঞাপন ছাড়া কোনো দ্বৈত কর নিরসন চুক্তি কার্যকর হতে পারে না।

এরপর, সুইজারল্যান্ডের ফাইন্যান্স বিভাগ গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঘোষণা দেয়, তারা ভারতকে প্রজ্ঞাপন ছাড়া আর ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ (এমএফএন) সুবিধা দেবে না। ফলে, আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ভারতের জন্য এমএফএন সুবিধা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বছরের মার্চে আইসল্যান্ড, লিচটেনস্টেইন, নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ডের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ইএফটিএ) স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় আগামী ১৫ বছরে ভারতে ১০ হাজার কোটি বা ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেশগুলো। তবে সুইজারল্যান্ডের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কারণে এই সম্ভাব্য বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে সুইস সরকারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমার ধারণা, ইএফটিএ-এর কারণে আমাদের দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি পুনরায় আলোচনা করা হবে। এটি একটি দিক। অন্যটি হলো মোস্ট ফেভারড নেশন। এ বিষয়ে আপাতত আমার কাছে কোনো আপডেট নেই। আমরা পরে বিস্তারিত জানাব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারতকে দেওয়া ‘বিশেষ সুবিধা’ বাতিল

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

 

ভারতের জন্য বরাদ্দ বিশেষ সুবিধা ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ বা এমএফএন তকমা বাতিল করেছে সুইজারল্যান্ড। সুইস সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য সুইজারল্যান্ডে কর হার আবারও ১০ শতাংশে ফিরে যাবে। এর আগে ২০২১ সালে এই হার ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছিল।

ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি নেসলের এক মামলার জেরে সুইজারল্যান্ড ভারতকে দেওয়া ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ (এমএফএন) মর্যাদা প্রত্যাহার করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশ যখন অন্য একটি দেশকে ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ (এমএফএন) মর্যাদা দেয়, তখন সেই দেশের জন্য শুল্ক ও বাণিজ্য নীতিতে বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করতে হয়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সুইজারল্যান্ডের এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় পণ্য রপ্তানি ও বিনিয়োগ প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

সুইজারল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি (ডাবল ট্যাক্স অ্যাভয়ডেন্স অ্যাগ্রিমেন্ট বা ডিটিএএ) বিদ্যমান, যার উদ্দেশ্য হলো সুইজারল্যান্ডে কাজ করা ভারতীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই আয়ের জন্য দুই দেশে কর দিতে বাধ্য না করা। এই চুক্তি প্রথম স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯৪ সালে এবং পরে ২০১০ সালে সংশোধিত হয়। চুক্তিটি উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও সুবিধা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

 

মূলত, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি (ডিটিএএ) কার্যকর করতে নতুন বাধা তৈরি করে। ওই মামলায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি নেসলে একটি পক্ষ ছিল। ভারতীয় শীর্ষ আদালত রায়ে জানায়, ভারতীয় আয়কর আইনের ৯০(১) ধারা অনুযায়ী, সরকারের প্রজ্ঞাপন ছাড়া কোনো দ্বৈত কর নিরসন চুক্তি কার্যকর হতে পারে না।

এরপর, সুইজারল্যান্ডের ফাইন্যান্স বিভাগ গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঘোষণা দেয়, তারা ভারতকে প্রজ্ঞাপন ছাড়া আর ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ (এমএফএন) সুবিধা দেবে না। ফলে, আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ভারতের জন্য এমএফএন সুবিধা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বছরের মার্চে আইসল্যান্ড, লিচটেনস্টেইন, নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ডের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ইএফটিএ) স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় আগামী ১৫ বছরে ভারতে ১০ হাজার কোটি বা ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেশগুলো। তবে সুইজারল্যান্ডের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কারণে এই সম্ভাব্য বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে সুইস সরকারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমার ধারণা, ইএফটিএ-এর কারণে আমাদের দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি পুনরায় আলোচনা করা হবে। এটি একটি দিক। অন্যটি হলো মোস্ট ফেভারড নেশন। এ বিষয়ে আপাতত আমার কাছে কোনো আপডেট নেই। আমরা পরে বিস্তারিত জানাব।’