মারা গেছেন ‘বিতর্কিত’ সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ!

- আপডেট সময় : ০৪:২০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
- / 487
ভারতের কলকাতার রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলর সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের ফেসবুক ওয়ালে ‘রিমেম্বারিং মোড’ ঝুলিয়ে দিয়েছে মেটা। সাধারণত কোনো পাবলিক ফিগারের মৃত্যুর পরই এই মোড দিয়ে থাকে ফেসবুক। একটি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পর সাইবার যোদ্ধারা ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে বারবার নোটিশ করেছেন। ফলে তার ফেসবুক ওয়ালে রিমেম্বারিং মোড ঝুলিয়েছে মেটা। তবে প্রশ্ন উঠেছে, বিতর্কিত সাংবাদিক ময়ূখ কি আসলেই মারা গেছেন?
কলকাতায় রাতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সাংবাদিক সোহম মল্লিকের। একই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ‘নিন্দিত’ সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন ময়ূখের একটি চোখ স্থায়ীভাবে নষ্ট হতে পারে।
সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের ফেসবুকে রিমেম্বারিং মোড ঝুলিয়েছে মেটা
রাত তিনটায় বন্ধুর বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তারা যাদবপুরের দিক থেকে বাইকে করে ফিরছিলেন। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে লর্ডস মোড়ের কাছে একটি বাম্পার পার হওয়ার সময় সোহম বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ঠিক তখন বাইকটি একটি গাছে ধাক্কা খেয়ে রাস্তায় পড়ে যায় এবং দুজনেই মাটিতে ছিটকে পড়েন।
দুর্ঘটনার পরপরই একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা সোহমকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে গুরুতর আহত ময়ূখকে তৎক্ষণাৎ এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এরপর ময়ূখের মুখ থেকে জানা যায়, দুর্ঘটনার সময় বাইকের চাকা পিছলে যায় এবং গাছে ধাক্কা খায়। এরপরের ঘটনা তার মনে নেই।
এই ঘটনাকে সাইবার যোদ্ধারা বার বার রিপোর্ট করে ফেসবুকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ফলে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের আইডিতে রিমেম্বারিং মোড ঝুলিয়েছে মেটা।
সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের সংবাদ উপস্থাপনার ধরন নিয়ে বাংলাদেশ, এমনকি ভারতেও বিতর্ক রয়েছে। অনেক দর্শক তার উচ্চকণ্ঠ এবং অঙ্গভঙ্গিকে ‘মলম বিক্রেতা’ কিংবা ‘জোকার’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার উপস্থাপনাকে অতিরঞ্জিত এবং নাটকীয় বলে সমালোচনাও হয় অহরহ। যদিও অনেকে মনে করেন এটি কেবল মাত্র টিআরপি বাড়ানোর কৌশল। কিন্তু এই লম্ফঝম্প প্রকৃত সাংবাদিকতার মানকে ক্ষুণ্ণ করে।