ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড. ইউনূসকে সভাপতি করে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন আপা আপা বলা তানভীর নিজেই আ.লীগের হাতে নির্যাতিত, আছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভল্টের টাকায় অবৈধ বাণিজ্য বিডিআর বিদ্রোহের বিচার পুনরায় করা সম্ভব? সংলাপ, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে যে প্রক্রিয়ায় এগোতে চায় সরকার এবার সরকারের কাছে ৬৩ কোটি ডলার সুদ চাইল রাশিয়া এফবিসিসিআই সভাপতির পদত‍্যাগ, প্রশাসক নিয়োগ তারল্য বাড়াতে ‘বিশেষ ধার’ আগামী সপ্তাহে ৭ হাজার কোটিতে নির্মিত তিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ গার্মেন্টসে থামছে না অস্থিরতা চাকরি গেল আরো দুই লেফটেন্যান্ট জেনারেলের ওষুধের বাজারে উত্তাপ ব্যাংকিং খাত সংস্কারে ৬ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন সড়ক পরিবহনে আসছে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ গরুর দিয়ে পাট নিতে চায় পাকিস্তানি সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন, নেতৃত্বে যারা সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ, কমিশনের দায়িত্বে শাহদীন মালিক ছয় বিশিষ্ট নাগরিককের নেতৃত্বে সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার শিগগিরই মেট্রোরেলের বন্ধ থাকা স্টেশন চালু হচ্ছে বিদ্যুতের পাওনা চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন গৌতম আদানি

মারুফুল হক যেভাবে ল্যাপটপ কোচ থেকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতানো কোচ হলেন

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৫০৩৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গতকাল অনূর্ধ্ব – ২০ দলকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতানো দলের কোচ মারুফুল হককে নিয়ে কিছু না বললেই নয়। এই ভদ্রলোক বাংলাদেশের ফুটবলিং কালচারের কারণে কতভাবে যে বিড়ম্বনার শিকার হয়ে আজকের জায়গায় এসেছেন, তাঁর গল্প পড়লাম এক জায়গায়। নিতান্ত দেশপ্রেমিক বলেই হয়তো বাংলাদেশের ফুটবলকে এখনো দুহাত ভরে দিতে চান এই লোক।

বাংলাদেশের মতো দেশে মারুফুল হক ছিলেন সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা কোচ। ২০০৮ সালে তাঁর হাত ধরেই ফুটবলে এসেছিল ফিফা টেন প্রশিক্ষণ কৌশল , প্রজেক্টরে পারফরম্যান্স এনালাইসিসের মত ট্রেডিশন। মারুফুলের আধুনিকতার প্রমাণ হলো প্রথম দক্ষিণ এশীয় কোচ হিসেবে উয়েফা এ লাইসেন্সধারী হওয়া।

কিন্তু ঐযে বললাম সময়ের চেয়ে ছিলেন এগিয়ে, তাই নিয়মিত শিকার হতে হয়েছে বিড়ম্বনার। তাঁর ফিফা টেন খেলোয়াড়দের মধ্যে পপুলার হয়নি কারণ খেলোয়াড়রা কঠোর পরিশ্রম করতে রাজি ছিলোনা অনেকেই। প্রজেক্টরে পাওয়ার পয়েন্টে পারফরম্যান্স এনালাইসিসের জন্য টিটকারী করে নাম দেওয়া হলো ” ল্যাপটপ কোচ “। খেলোয়াড়ী জীবনে আহামরি খেলোয়াড় না হয়েও কেনো কোচিংয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন, এটা নিয়ে তো অনেক সুশীলের সমস্যা ছিলোই।

এই ল্যাপটপ কোচের কারণেই সাফের বয়সভিত্তিক আসরে অধরা ট্রফিটা আসলো বাংলাদেশের কাছে, তাও নেপালকে তাঁদের ঘরের মাঠে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে। অথচ বছর দুয়েক আগেও ৫-২ গোলে ভারতের কাছে হেরে বাদ পড়েছিল স্মলির বাংলাদেশ।

চাপে ভেঙে পড়ার রেপুটেশন তো আছেই বাংলাদেশের কিন্তু এই দেশের মিরাজুল, আসিফরাই ফাইনালকে ছেলেখেলা বানিয়ে ফেললো গতকাল। অথচ মারুফুলকে মাত্র দুই সপ্তাহ আগে এই দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

মাত্র দুই সপ্তাহের প্রস্তুতিতে ট্রফি জিতেছে বাংলাদেশ। খেলোয়াড়রা দেশে চলমান পরিস্থিতির কারণে খেলার বাইরে ছিলো দীর্ঘদিন, অথচ স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম ট্রফি উপহার তাঁরাই দিলো। আর এ বিজয়ের কান্ডারী, পর্দার আড়ালের মহানায়ক মারুফুল হক।

অথচ এই মারুফুল হককেই মোহামেডানকে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন বানানো কিংবা শেখ রাসেলকে ট্রেবল জেতানোর জন্য সম্মান দেওয়া হয়না আলাদা করে। উল্টো বাফুফে মহলে দেশী কোচ হওয়ায় তাঁকে গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া হয়না, বাফুফের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এতকিছুর পরেও মারুফুল থেমে যান নি। কিছুদিন আগে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, “আগাম বিপদ জেনেও আপনি কেনো এই দলের দায়িত্ব নিলেন?”

মারুফুলের উত্তর ছিলো, ” কেউ দায়িত্ব নেওয়ার সাহস পাচ্ছেনা। আমার দেশকে তো আর আমি ভোট পেয়ে অগ্রাহ্য করতে পারিনা।”

মানুষটা দারুন বটে!

(প্রথম আলোর প্রতিবেদন পড়ে লেখা)

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মারুফুল হক যেভাবে ল্যাপটপ কোচ থেকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতানো কোচ হলেন

আপডেট সময় : ০৯:১৮:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

গতকাল অনূর্ধ্ব – ২০ দলকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতানো দলের কোচ মারুফুল হককে নিয়ে কিছু না বললেই নয়। এই ভদ্রলোক বাংলাদেশের ফুটবলিং কালচারের কারণে কতভাবে যে বিড়ম্বনার শিকার হয়ে আজকের জায়গায় এসেছেন, তাঁর গল্প পড়লাম এক জায়গায়। নিতান্ত দেশপ্রেমিক বলেই হয়তো বাংলাদেশের ফুটবলকে এখনো দুহাত ভরে দিতে চান এই লোক।

বাংলাদেশের মতো দেশে মারুফুল হক ছিলেন সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা কোচ। ২০০৮ সালে তাঁর হাত ধরেই ফুটবলে এসেছিল ফিফা টেন প্রশিক্ষণ কৌশল , প্রজেক্টরে পারফরম্যান্স এনালাইসিসের মত ট্রেডিশন। মারুফুলের আধুনিকতার প্রমাণ হলো প্রথম দক্ষিণ এশীয় কোচ হিসেবে উয়েফা এ লাইসেন্সধারী হওয়া।

কিন্তু ঐযে বললাম সময়ের চেয়ে ছিলেন এগিয়ে, তাই নিয়মিত শিকার হতে হয়েছে বিড়ম্বনার। তাঁর ফিফা টেন খেলোয়াড়দের মধ্যে পপুলার হয়নি কারণ খেলোয়াড়রা কঠোর পরিশ্রম করতে রাজি ছিলোনা অনেকেই। প্রজেক্টরে পাওয়ার পয়েন্টে পারফরম্যান্স এনালাইসিসের জন্য টিটকারী করে নাম দেওয়া হলো ” ল্যাপটপ কোচ “। খেলোয়াড়ী জীবনে আহামরি খেলোয়াড় না হয়েও কেনো কোচিংয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন, এটা নিয়ে তো অনেক সুশীলের সমস্যা ছিলোই।

এই ল্যাপটপ কোচের কারণেই সাফের বয়সভিত্তিক আসরে অধরা ট্রফিটা আসলো বাংলাদেশের কাছে, তাও নেপালকে তাঁদের ঘরের মাঠে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে। অথচ বছর দুয়েক আগেও ৫-২ গোলে ভারতের কাছে হেরে বাদ পড়েছিল স্মলির বাংলাদেশ।

চাপে ভেঙে পড়ার রেপুটেশন তো আছেই বাংলাদেশের কিন্তু এই দেশের মিরাজুল, আসিফরাই ফাইনালকে ছেলেখেলা বানিয়ে ফেললো গতকাল। অথচ মারুফুলকে মাত্র দুই সপ্তাহ আগে এই দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

মাত্র দুই সপ্তাহের প্রস্তুতিতে ট্রফি জিতেছে বাংলাদেশ। খেলোয়াড়রা দেশে চলমান পরিস্থিতির কারণে খেলার বাইরে ছিলো দীর্ঘদিন, অথচ স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম ট্রফি উপহার তাঁরাই দিলো। আর এ বিজয়ের কান্ডারী, পর্দার আড়ালের মহানায়ক মারুফুল হক।

অথচ এই মারুফুল হককেই মোহামেডানকে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন বানানো কিংবা শেখ রাসেলকে ট্রেবল জেতানোর জন্য সম্মান দেওয়া হয়না আলাদা করে। উল্টো বাফুফে মহলে দেশী কোচ হওয়ায় তাঁকে গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া হয়না, বাফুফের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এতকিছুর পরেও মারুফুল থেমে যান নি। কিছুদিন আগে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, “আগাম বিপদ জেনেও আপনি কেনো এই দলের দায়িত্ব নিলেন?”

মারুফুলের উত্তর ছিলো, ” কেউ দায়িত্ব নেওয়ার সাহস পাচ্ছেনা। আমার দেশকে তো আর আমি ভোট পেয়ে অগ্রাহ্য করতে পারিনা।”

মানুষটা দারুন বটে!

(প্রথম আলোর প্রতিবেদন পড়ে লেখা)