ঢাকা ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই কে ফোন করে ইউনূসের কাছে! শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে যা বললেন ড. ইউনূস বাংলাদেশের যে সিদ্ধান্তের কারণে মাথায় হাত ভারতের ১০ হাজার আওয়ামী কর্মী মাঠে নামলেই তো সরকার পরে যাবে সরকার উৎখাতে চক্রান্ত! কারাগারে বসেই চলছে নানা তৎপরতা আওয়ামী লীগে বিভক্তি, চ্যালেঞ্জের মুখে হাসিনা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা কানাডার নাগরিক হয়েও বাংলাদেশে সব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত পুতুল দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা চেয়ারম্যান-মেয়র হতে লাগবে স্নাতক ডিগ্রি, হবে না সরাসরি ভোট চাল-মুরগির দাম চড়া, অন্য সব আগের মতো দেশের স্বার্থে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে যা বললেন নাহিদ ইসলাম কিভাবে বাড়ছে বাংলাদেশের আয়তন? পাল্টে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের পোশাক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পদত্যাগ করছেন পুতুল? চারটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত হবে নতুন বাংলাদেশ! সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক : প্রেসসচিব অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন: সাংবাদিকদের নামে মামলা নতুন অডিও ফাঁস : কাঁদতে কাঁদতে যা বললেন শেখ হাসিনা

মারুফুল হক যেভাবে ল্যাপটপ কোচ থেকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতানো কোচ হলেন

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
  • / 163
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গতকাল অনূর্ধ্ব – ২০ দলকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতানো দলের কোচ মারুফুল হককে নিয়ে কিছু না বললেই নয়। এই ভদ্রলোক বাংলাদেশের ফুটবলিং কালচারের কারণে কতভাবে যে বিড়ম্বনার শিকার হয়ে আজকের জায়গায় এসেছেন, তাঁর গল্প পড়লাম এক জায়গায়। নিতান্ত দেশপ্রেমিক বলেই হয়তো বাংলাদেশের ফুটবলকে এখনো দুহাত ভরে দিতে চান এই লোক।

বাংলাদেশের মতো দেশে মারুফুল হক ছিলেন সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা কোচ। ২০০৮ সালে তাঁর হাত ধরেই ফুটবলে এসেছিল ফিফা টেন প্রশিক্ষণ কৌশল , প্রজেক্টরে পারফরম্যান্স এনালাইসিসের মত ট্রেডিশন। মারুফুলের আধুনিকতার প্রমাণ হলো প্রথম দক্ষিণ এশীয় কোচ হিসেবে উয়েফা এ লাইসেন্সধারী হওয়া।

কিন্তু ঐযে বললাম সময়ের চেয়ে ছিলেন এগিয়ে, তাই নিয়মিত শিকার হতে হয়েছে বিড়ম্বনার। তাঁর ফিফা টেন খেলোয়াড়দের মধ্যে পপুলার হয়নি কারণ খেলোয়াড়রা কঠোর পরিশ্রম করতে রাজি ছিলোনা অনেকেই। প্রজেক্টরে পাওয়ার পয়েন্টে পারফরম্যান্স এনালাইসিসের জন্য টিটকারী করে নাম দেওয়া হলো ” ল্যাপটপ কোচ “। খেলোয়াড়ী জীবনে আহামরি খেলোয়াড় না হয়েও কেনো কোচিংয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন, এটা নিয়ে তো অনেক সুশীলের সমস্যা ছিলোই।

এই ল্যাপটপ কোচের কারণেই সাফের বয়সভিত্তিক আসরে অধরা ট্রফিটা আসলো বাংলাদেশের কাছে, তাও নেপালকে তাঁদের ঘরের মাঠে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে। অথচ বছর দুয়েক আগেও ৫-২ গোলে ভারতের কাছে হেরে বাদ পড়েছিল স্মলির বাংলাদেশ।

চাপে ভেঙে পড়ার রেপুটেশন তো আছেই বাংলাদেশের কিন্তু এই দেশের মিরাজুল, আসিফরাই ফাইনালকে ছেলেখেলা বানিয়ে ফেললো গতকাল। অথচ মারুফুলকে মাত্র দুই সপ্তাহ আগে এই দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

মাত্র দুই সপ্তাহের প্রস্তুতিতে ট্রফি জিতেছে বাংলাদেশ। খেলোয়াড়রা দেশে চলমান পরিস্থিতির কারণে খেলার বাইরে ছিলো দীর্ঘদিন, অথচ স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম ট্রফি উপহার তাঁরাই দিলো। আর এ বিজয়ের কান্ডারী, পর্দার আড়ালের মহানায়ক মারুফুল হক।

অথচ এই মারুফুল হককেই মোহামেডানকে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন বানানো কিংবা শেখ রাসেলকে ট্রেবল জেতানোর জন্য সম্মান দেওয়া হয়না আলাদা করে। উল্টো বাফুফে মহলে দেশী কোচ হওয়ায় তাঁকে গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া হয়না, বাফুফের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এতকিছুর পরেও মারুফুল থেমে যান নি। কিছুদিন আগে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, “আগাম বিপদ জেনেও আপনি কেনো এই দলের দায়িত্ব নিলেন?”

মারুফুলের উত্তর ছিলো, ” কেউ দায়িত্ব নেওয়ার সাহস পাচ্ছেনা। আমার দেশকে তো আর আমি ভোট পেয়ে অগ্রাহ্য করতে পারিনা।”

মানুষটা দারুন বটে!

(প্রথম আলোর প্রতিবেদন পড়ে লেখা)

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মারুফুল হক যেভাবে ল্যাপটপ কোচ থেকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতানো কোচ হলেন

আপডেট সময় : ০৯:১৮:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

গতকাল অনূর্ধ্ব – ২০ দলকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতানো দলের কোচ মারুফুল হককে নিয়ে কিছু না বললেই নয়। এই ভদ্রলোক বাংলাদেশের ফুটবলিং কালচারের কারণে কতভাবে যে বিড়ম্বনার শিকার হয়ে আজকের জায়গায় এসেছেন, তাঁর গল্প পড়লাম এক জায়গায়। নিতান্ত দেশপ্রেমিক বলেই হয়তো বাংলাদেশের ফুটবলকে এখনো দুহাত ভরে দিতে চান এই লোক।

বাংলাদেশের মতো দেশে মারুফুল হক ছিলেন সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা কোচ। ২০০৮ সালে তাঁর হাত ধরেই ফুটবলে এসেছিল ফিফা টেন প্রশিক্ষণ কৌশল , প্রজেক্টরে পারফরম্যান্স এনালাইসিসের মত ট্রেডিশন। মারুফুলের আধুনিকতার প্রমাণ হলো প্রথম দক্ষিণ এশীয় কোচ হিসেবে উয়েফা এ লাইসেন্সধারী হওয়া।

কিন্তু ঐযে বললাম সময়ের চেয়ে ছিলেন এগিয়ে, তাই নিয়মিত শিকার হতে হয়েছে বিড়ম্বনার। তাঁর ফিফা টেন খেলোয়াড়দের মধ্যে পপুলার হয়নি কারণ খেলোয়াড়রা কঠোর পরিশ্রম করতে রাজি ছিলোনা অনেকেই। প্রজেক্টরে পাওয়ার পয়েন্টে পারফরম্যান্স এনালাইসিসের জন্য টিটকারী করে নাম দেওয়া হলো ” ল্যাপটপ কোচ “। খেলোয়াড়ী জীবনে আহামরি খেলোয়াড় না হয়েও কেনো কোচিংয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন, এটা নিয়ে তো অনেক সুশীলের সমস্যা ছিলোই।

এই ল্যাপটপ কোচের কারণেই সাফের বয়সভিত্তিক আসরে অধরা ট্রফিটা আসলো বাংলাদেশের কাছে, তাও নেপালকে তাঁদের ঘরের মাঠে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে। অথচ বছর দুয়েক আগেও ৫-২ গোলে ভারতের কাছে হেরে বাদ পড়েছিল স্মলির বাংলাদেশ।

চাপে ভেঙে পড়ার রেপুটেশন তো আছেই বাংলাদেশের কিন্তু এই দেশের মিরাজুল, আসিফরাই ফাইনালকে ছেলেখেলা বানিয়ে ফেললো গতকাল। অথচ মারুফুলকে মাত্র দুই সপ্তাহ আগে এই দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

মাত্র দুই সপ্তাহের প্রস্তুতিতে ট্রফি জিতেছে বাংলাদেশ। খেলোয়াড়রা দেশে চলমান পরিস্থিতির কারণে খেলার বাইরে ছিলো দীর্ঘদিন, অথচ স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম ট্রফি উপহার তাঁরাই দিলো। আর এ বিজয়ের কান্ডারী, পর্দার আড়ালের মহানায়ক মারুফুল হক।

অথচ এই মারুফুল হককেই মোহামেডানকে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন বানানো কিংবা শেখ রাসেলকে ট্রেবল জেতানোর জন্য সম্মান দেওয়া হয়না আলাদা করে। উল্টো বাফুফে মহলে দেশী কোচ হওয়ায় তাঁকে গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া হয়না, বাফুফের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এতকিছুর পরেও মারুফুল থেমে যান নি। কিছুদিন আগে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, “আগাম বিপদ জেনেও আপনি কেনো এই দলের দায়িত্ব নিলেন?”

মারুফুলের উত্তর ছিলো, ” কেউ দায়িত্ব নেওয়ার সাহস পাচ্ছেনা। আমার দেশকে তো আর আমি ভোট পেয়ে অগ্রাহ্য করতে পারিনা।”

মানুষটা দারুন বটে!

(প্রথম আলোর প্রতিবেদন পড়ে লেখা)