ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা আজ ডিসির দায়িত্বে শেখ হাসিনা চাইলে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারেন হাসিনাকে যেভাবে ভারত থেকে ফেরত আনা সম্ভব জ্বালানির অভাব, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটলে তাৎক্ষণিক বিকল্প নেই বিপিডিবির ভারতের সঙ্গে চলমান কোনো প্রকল্প স্থগিত হয়নি:অর্থ উপদেষ্টা এত বিদ্যুৎকেন্দ্র, তবু কেন লোডশেডিং পোশাক কারখানার শ্রমিক অসন্তোষের নেপথ্যে কী ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ টাকা পাচারের স্বর্গ বাংলাদেশ রাজাকার খুঁজে বার করার ভার পেলেন তাঁদেরই আইনজীবী পুলিশ সংস্কারে শিগগিরই প্রাথমিক কমিটি গঠন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিচার সরাসরি সম্প্রচার করা হবে মেট্রোরেলের ছিদ্দিকের চুক্তি বাতিল, চলতি দায়িত্বে রউফ বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় ১৭ স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটরের নিয়োগ বাতিল রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনে জোর প্রধান উপদেষ্টার সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড! গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৬৩১, আহত ১৯২০০ শাহজালাল বিমানবন্দরে পরিবর্তনের হাওয়া ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি: অর্থ উপদেষ্টা নিম্ন আদালতের ১৬৮ বিচারককে একযোগে বদলি

মাসিক না হলে করনীয় কী?

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:২২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫০২৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জ্বর,সর্দি কাশি হলে আপনি বাইরে থেকে বুঝতে পারবেন কিন্তু মাসিকজনিত রোগভোগের বিস্তার অনেকদূর যা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়।

অনিয়মিত মাসিকের প্রধান ও একমাত্র কারন হল অস্বাস্থ‍্যকর জীবন যাপন। খাদ‍্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমান খুব গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে মেয়েদের মাসিক নিয়মিত রাখার ক্ষেত্রে। দরকার বেশি মিষ্টিজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত তেলে ভাজা জিনিস খাদ‍্যতালিকা থেকে অবশ‍্য ই বাদ দিতে হবে।

আমাদের মোটামুটি ২৮-৩২ দিনের সাইকেল থাকে। কারোর কারোর ৪০ দিনের ও হয়। শরীরচর্চা একটা খুব গুরুত্বপূর্ন জিনিস। প্রাথমিকভাবে যারা ওবেসিটি অর্থাৎ শরীর স্থূল তারা অনিয়মিত মাসিকের সমস‍্যায় ভুগলেও যারা রোগা তারাও কিন্তু অনেকক্ষেত্রে এই সমস‍্যায় ভুগে থাকে।অর্থাৎ রোগা হোক বা মোটা আপনাকে সঠিক শরীরচর্চা আর ডায়েটের মাধ‍্যমে ইস্ট্রোজেন,প্রোজেস্টেরন আর টেস্টোস্টেরন হরমোন সঠিক ব‍্যালেন্স বজায় রাখতে হবে।

● ডায়েট চার্টে প্রোটিন বেশি রাখতে হবে, কার্বোহাইড্রেট কম।

● সঠিক ওজন অর্থাৎ না মোটা না রোগা এমন ওজন মেইনটেন করতে হবে।

● ব‍্যায়াম বা যোগা যাই করেন না কেন দিনে শুধু একবার আধঘন্টা যথেষ্ট। মাথায় রাখবেন অতিরিক্ত শরীরচর্চা মাসিক অনিয়মিত করতে পারে।

আমি আমার রুটিন টা যোগ করছি। চাইলে ফলো করতে পারেন।

আমি রাতে এগারোটার মধ‍্যে শুয়ে পড়ি। আর উঠি সারে চারটে নাগাদ। তারপর ফ্রেশ হয়ে পাঁচটা থেকে ব‍্যায়াম। যোগা আমি করি না আমি হেভি এক্সাসাইজ করি। এই ধরনের এক্সাসাইজে প্রচুর ঘাম ছুটবে আর কিছুক্ষন হাতে,পায়ে ব‍্যাথাও হবে।ছয়টা নাগাদ লাল চা পান করি সাথে সুগার ফ্রি বিস্কিট। দুধ চা জীবন থেকে বাদ দিয়ে দিন। এরপর নয়টা নাগাদ ব্রেকফাস্ট। ব্রেকফাস্টে একটা ডিমের পোঁচ আর বাড়িতে যা ফল থাকে যেমন এখন আমের সময় তো একটা করে আম।আপনি চাইলে দুটো সিদ্ধ ডিম কুসুমসহ খেতে পারেন ফল না থাকলে।দুপুর একটা নাগাদ লাঞ্চ। লাঞ্চ এ বাড়িতে সাধারনত সাদা ভাত,একটা ভাজা,শাক,তরকারি,ডাল,মাছ আর চাটনি থাকে আমাদের। তো একটা থালা তে মাত্র দুবাটি সাদা ভাত, ভাতের দ্বিগুন ডাল, একটা মাছ, তরকারি পরিমানমত আর আমের চাটনি হলে একপিস আম।বিকেল পাঁচটা নাগাদ লাল চা আর সুগার ফ্রি বিস্কিট খেয়ে থাকি। তারপর সন্ধ‍্যে সাতটা নাগাদ ছোলা সেদ্ধ হাফ বাটি।আর রাতের খাওয়া নয়টা নাগাদ খাই। রাতে ওটসমিল খাই।আপনি চাইলে সকালের জলখাবারেও ওটসমিল খেতে পারেন।

মোটামুটি এই রুটিন মেইনটেন করুন।দেখুন কে জেতে আপনি না অনিয়মিত পিরিয়ড? চ‍্যালেঞ্জ হিসেবে নিন।ভালো থাকবেন।

মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এখানে কিছু সাধারণ কারণ উল্লেখ করা হলো:

1. গর্ভাবস্থা (Pregnancy):

  • মাসিক বন্ধ হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল গর্ভাবস্থা। গর্ভধারণের সময় ডিম্বানু নিষিক্ত হওয়ার কারণে মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যায়।

2. মেনোপজ (Menopause):

  • মহিলারা যখন মেনোপজে পৌঁছান (সাধারণত ৪৫-৫৫ বছরের মধ্যে), তখন তাদের মাসিক চক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

3. স্তন্যপান (Breastfeeding):

  • স্তন্যপান করার সময় প্রোল্যাক্টিন নামক হরমোনের উচ্চ মাত্রার কারণে মাসিক চক্র অনিয়মিত বা বন্ধ হতে পারে।

4. ওজনের পরিবর্তন (Weight Changes):

  • অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস মাসিক চক্রের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, অত্যধিক ওজন হ্রাস বা খাওয়ায় সমস্যা (যেমন অ্যানোরেক্সিয়া বা বুলিমিয়া) মাসিক বন্ধ করতে পারে।

5. হরমোনাল অস্বাভাবিকতা (Hormonal Imbalance):

  • পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS), থাইরয়েড সমস্যা, বা অন্যান্য হরমোনাল সমস্যা মাসিক চক্রের পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

6. চিকিৎসা ও ওষুধ (Medications and Medical Conditions):

  • কিছু চিকিৎসা ও ওষুধ, যেমন কেমোথেরাপি, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, এবং অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস মাসিক বন্ধ করতে পারে।
  • দীর্ঘস্থায়ী অসুখ, যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, বা হৃদরোগ মাসিক চক্রের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

7. মানসিক চাপ (Stress):

  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে। স্ট্রেস হরমোনের পরিবর্তন মাসিক চক্রে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

8. বেশি শারীরিক পরিশ্রম (Excessive Physical Activity):

  • অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা কঠোর ব্যায়াম মাসিক চক্রের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি শরীরের চর্বির পরিমাণ কম থাকে।

9. প্রজনন অঙ্গের সমস্যা (Reproductive Organ Issues):

  • জরায়ুর সমস্যা, যেমন ইউটেরিন পলিপস বা ফাইব্রয়েডস মাসিক চক্রের পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

যদি মাসিক অনিয়মিত বা বন্ধ হয়ে যায় এবং আপনি নিশ্চিত নন কেন তা ঘটছে, তবে ডাক্তার বা গাইনোকোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। তারা সঠিক কারণ নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারবেন।

 

মেয়েদের মাসিক বন্ধ হলে তারা নিচের প্রতিক্রিয়াগুলি অবলম্ব করতে পারে:

  1. ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা: যদি একটি মেয়ে তার প্রথম মাসিকের পর তিন মাস বা ততোধিক সময় ধরে মাসিক পায় না, তাহলে তাকে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
  2. জীবনযাপনের ধরণ পর্যবেক্ষণ করা: অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়াম, অত্যন্ত কম ওজন বা স্ট্রেস মাসিক বন্ধ করতে পারে। এ জন্য, স্বাভাবিক ওজন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  3. মনোযোগ দেওয়া: যেখানে মাসিক বন্ধ হয়েছে, তার জন্য বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন শারীরিক অসুস্থতা, হরমোনের অসন্তুলন ইত্যাদি। তাই, যেকোন প্রকার অস্বাভাবিক চিহ্ন দেখলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  4. ঔষধ পর্যবেক্ষণ করা: কিছু ঔষধ মাসিক বন্ধ করতে পারে। আপনি যদি নতুন কোন ঔষধ সেবন করতে থাকেন, তাহলে তা সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে আলাপ করা উচিত।

চিকিৎসা

ডা. সাহানারা চৌধুরী বলেন, অনিয়মিত পিরিয়ডে রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য হিমোগ্লোবিন লেভেল দেখে মুখে খাওয়ার আয়রন ট্যাবলেট, আয়রন ইনজেকশন, প্রয়োজনে শরীরে রক্ত দিতে হয়।

ব্লিডিং বন্ধ করার জন্য উচ্চ মাত্রার প্রোজেস্টেরন হরমোন এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ট্র্যাক্সিল বা ট্র্যানক্সামিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়।

এরপর যে রোগের কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হচ্ছে তা শনাক্ত করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে। যেমন- পলিপ বা টিউমার হলে সেগুলো রিমুভ করতে হবে, কোয়াগুলেশন, ওভুলেটরি ডিজঅর্ডার, পিসিওএস থাকলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা এবং ক্যানসরি হয়েছে কি না সেটি শনাক্ত করে চিকিৎসা নির্ধারণ করতে হবে।

অনিয়মিত পিরিয়ড অনেকগুলো রোগের লক্ষণ। তাই পিরিয়ডের সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ নিয়ম মেনে খেতে হবে। জীবনধারা ও খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, জাঙ্ক ফুড পরিহার করতে হবে, সুষম খাবার, ফল-শাকসবজি খেতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাসিক না হলে করনীয় কী?

আপডেট সময় : ০৮:২২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জ্বর,সর্দি কাশি হলে আপনি বাইরে থেকে বুঝতে পারবেন কিন্তু মাসিকজনিত রোগভোগের বিস্তার অনেকদূর যা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়।

অনিয়মিত মাসিকের প্রধান ও একমাত্র কারন হল অস্বাস্থ‍্যকর জীবন যাপন। খাদ‍্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমান খুব গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে মেয়েদের মাসিক নিয়মিত রাখার ক্ষেত্রে। দরকার বেশি মিষ্টিজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত তেলে ভাজা জিনিস খাদ‍্যতালিকা থেকে অবশ‍্য ই বাদ দিতে হবে।

আমাদের মোটামুটি ২৮-৩২ দিনের সাইকেল থাকে। কারোর কারোর ৪০ দিনের ও হয়। শরীরচর্চা একটা খুব গুরুত্বপূর্ন জিনিস। প্রাথমিকভাবে যারা ওবেসিটি অর্থাৎ শরীর স্থূল তারা অনিয়মিত মাসিকের সমস‍্যায় ভুগলেও যারা রোগা তারাও কিন্তু অনেকক্ষেত্রে এই সমস‍্যায় ভুগে থাকে।অর্থাৎ রোগা হোক বা মোটা আপনাকে সঠিক শরীরচর্চা আর ডায়েটের মাধ‍্যমে ইস্ট্রোজেন,প্রোজেস্টেরন আর টেস্টোস্টেরন হরমোন সঠিক ব‍্যালেন্স বজায় রাখতে হবে।

● ডায়েট চার্টে প্রোটিন বেশি রাখতে হবে, কার্বোহাইড্রেট কম।

● সঠিক ওজন অর্থাৎ না মোটা না রোগা এমন ওজন মেইনটেন করতে হবে।

● ব‍্যায়াম বা যোগা যাই করেন না কেন দিনে শুধু একবার আধঘন্টা যথেষ্ট। মাথায় রাখবেন অতিরিক্ত শরীরচর্চা মাসিক অনিয়মিত করতে পারে।

আমি আমার রুটিন টা যোগ করছি। চাইলে ফলো করতে পারেন।

আমি রাতে এগারোটার মধ‍্যে শুয়ে পড়ি। আর উঠি সারে চারটে নাগাদ। তারপর ফ্রেশ হয়ে পাঁচটা থেকে ব‍্যায়াম। যোগা আমি করি না আমি হেভি এক্সাসাইজ করি। এই ধরনের এক্সাসাইজে প্রচুর ঘাম ছুটবে আর কিছুক্ষন হাতে,পায়ে ব‍্যাথাও হবে।ছয়টা নাগাদ লাল চা পান করি সাথে সুগার ফ্রি বিস্কিট। দুধ চা জীবন থেকে বাদ দিয়ে দিন। এরপর নয়টা নাগাদ ব্রেকফাস্ট। ব্রেকফাস্টে একটা ডিমের পোঁচ আর বাড়িতে যা ফল থাকে যেমন এখন আমের সময় তো একটা করে আম।আপনি চাইলে দুটো সিদ্ধ ডিম কুসুমসহ খেতে পারেন ফল না থাকলে।দুপুর একটা নাগাদ লাঞ্চ। লাঞ্চ এ বাড়িতে সাধারনত সাদা ভাত,একটা ভাজা,শাক,তরকারি,ডাল,মাছ আর চাটনি থাকে আমাদের। তো একটা থালা তে মাত্র দুবাটি সাদা ভাত, ভাতের দ্বিগুন ডাল, একটা মাছ, তরকারি পরিমানমত আর আমের চাটনি হলে একপিস আম।বিকেল পাঁচটা নাগাদ লাল চা আর সুগার ফ্রি বিস্কিট খেয়ে থাকি। তারপর সন্ধ‍্যে সাতটা নাগাদ ছোলা সেদ্ধ হাফ বাটি।আর রাতের খাওয়া নয়টা নাগাদ খাই। রাতে ওটসমিল খাই।আপনি চাইলে সকালের জলখাবারেও ওটসমিল খেতে পারেন।

মোটামুটি এই রুটিন মেইনটেন করুন।দেখুন কে জেতে আপনি না অনিয়মিত পিরিয়ড? চ‍্যালেঞ্জ হিসেবে নিন।ভালো থাকবেন।

মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এখানে কিছু সাধারণ কারণ উল্লেখ করা হলো:

1. গর্ভাবস্থা (Pregnancy):

  • মাসিক বন্ধ হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল গর্ভাবস্থা। গর্ভধারণের সময় ডিম্বানু নিষিক্ত হওয়ার কারণে মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যায়।

2. মেনোপজ (Menopause):

  • মহিলারা যখন মেনোপজে পৌঁছান (সাধারণত ৪৫-৫৫ বছরের মধ্যে), তখন তাদের মাসিক চক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

3. স্তন্যপান (Breastfeeding):

  • স্তন্যপান করার সময় প্রোল্যাক্টিন নামক হরমোনের উচ্চ মাত্রার কারণে মাসিক চক্র অনিয়মিত বা বন্ধ হতে পারে।

4. ওজনের পরিবর্তন (Weight Changes):

  • অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস মাসিক চক্রের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, অত্যধিক ওজন হ্রাস বা খাওয়ায় সমস্যা (যেমন অ্যানোরেক্সিয়া বা বুলিমিয়া) মাসিক বন্ধ করতে পারে।

5. হরমোনাল অস্বাভাবিকতা (Hormonal Imbalance):

  • পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS), থাইরয়েড সমস্যা, বা অন্যান্য হরমোনাল সমস্যা মাসিক চক্রের পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

6. চিকিৎসা ও ওষুধ (Medications and Medical Conditions):

  • কিছু চিকিৎসা ও ওষুধ, যেমন কেমোথেরাপি, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, এবং অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস মাসিক বন্ধ করতে পারে।
  • দীর্ঘস্থায়ী অসুখ, যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, বা হৃদরোগ মাসিক চক্রের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

7. মানসিক চাপ (Stress):

  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে। স্ট্রেস হরমোনের পরিবর্তন মাসিক চক্রে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

8. বেশি শারীরিক পরিশ্রম (Excessive Physical Activity):

  • অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা কঠোর ব্যায়াম মাসিক চক্রের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি শরীরের চর্বির পরিমাণ কম থাকে।

9. প্রজনন অঙ্গের সমস্যা (Reproductive Organ Issues):

  • জরায়ুর সমস্যা, যেমন ইউটেরিন পলিপস বা ফাইব্রয়েডস মাসিক চক্রের পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

যদি মাসিক অনিয়মিত বা বন্ধ হয়ে যায় এবং আপনি নিশ্চিত নন কেন তা ঘটছে, তবে ডাক্তার বা গাইনোকোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। তারা সঠিক কারণ নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারবেন।

 

মেয়েদের মাসিক বন্ধ হলে তারা নিচের প্রতিক্রিয়াগুলি অবলম্ব করতে পারে:

  1. ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা: যদি একটি মেয়ে তার প্রথম মাসিকের পর তিন মাস বা ততোধিক সময় ধরে মাসিক পায় না, তাহলে তাকে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
  2. জীবনযাপনের ধরণ পর্যবেক্ষণ করা: অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়াম, অত্যন্ত কম ওজন বা স্ট্রেস মাসিক বন্ধ করতে পারে। এ জন্য, স্বাভাবিক ওজন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  3. মনোযোগ দেওয়া: যেখানে মাসিক বন্ধ হয়েছে, তার জন্য বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন শারীরিক অসুস্থতা, হরমোনের অসন্তুলন ইত্যাদি। তাই, যেকোন প্রকার অস্বাভাবিক চিহ্ন দেখলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  4. ঔষধ পর্যবেক্ষণ করা: কিছু ঔষধ মাসিক বন্ধ করতে পারে। আপনি যদি নতুন কোন ঔষধ সেবন করতে থাকেন, তাহলে তা সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে আলাপ করা উচিত।

চিকিৎসা

ডা. সাহানারা চৌধুরী বলেন, অনিয়মিত পিরিয়ডে রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য হিমোগ্লোবিন লেভেল দেখে মুখে খাওয়ার আয়রন ট্যাবলেট, আয়রন ইনজেকশন, প্রয়োজনে শরীরে রক্ত দিতে হয়।

ব্লিডিং বন্ধ করার জন্য উচ্চ মাত্রার প্রোজেস্টেরন হরমোন এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ট্র্যাক্সিল বা ট্র্যানক্সামিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়।

এরপর যে রোগের কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হচ্ছে তা শনাক্ত করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে। যেমন- পলিপ বা টিউমার হলে সেগুলো রিমুভ করতে হবে, কোয়াগুলেশন, ওভুলেটরি ডিজঅর্ডার, পিসিওএস থাকলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা এবং ক্যানসরি হয়েছে কি না সেটি শনাক্ত করে চিকিৎসা নির্ধারণ করতে হবে।

অনিয়মিত পিরিয়ড অনেকগুলো রোগের লক্ষণ। তাই পিরিয়ডের সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ নিয়ম মেনে খেতে হবে। জীবনধারা ও খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, জাঙ্ক ফুড পরিহার করতে হবে, সুষম খাবার, ফল-শাকসবজি খেতে হবে।