ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি: মাহফুজ আলম

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১২:২৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 38
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

গণঅভ্যুত্থানের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘এ অভ্যুত্থান সবার। সেজন্যই মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি আমি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত যারা নিতাম, তারা প্রায় সকল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছি। একটা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে অন্তত পাঁচ-ছয়টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

গতরাতে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম এসব কথা বলেন। ‘তৌহিদি জনতা’ প্রসঙ্গে বলা কথায় যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।

‘জনগণ ও মধ্যবর্তী অবস্থানের সপক্ষে’ শিরোনামে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম বলেন, তারা সিদ্ধান্ত যারা নিতেন, তারা প্রায় সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারের (অংশীজন) সঙ্গে কথা বলেছেন। একটা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে অন্তত পাঁচ-ছয়টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ফলে এটা আসলে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া বডির সামষ্টিক কৌশলগত সক্ষমতা যেমন, তেমনি অনেকগুলো গ্রুপ অব পিপলের (মানুষ দল) অংশগ্রহণ ও পরামর্শেরও ফসল। কেউই অনুল্লেখযোগ্য নন। আর জনগণ তো ১৯-৩৩ জুলাই কারও সিদ্ধান্তের জন্য বসে থাকেনি। তবে তারা অবশ্যই পাবলিক-প্রাইভেট থেকে শুরু করে মাদ্রাসা-স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরই বৈধ নেতৃত্ব হিসেবে মানতেন।

মাহফুজ আলম আরও বলেন, সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে, কিন্তু অন্তর্ঘাতীদের (স্যাবাটার) বাদ দিয়ে। স্যাবোটাজ বা পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস—এসব যেকোনো বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতি মানে জেনটেলমেনস অ্যাগ্রিমেন্টও (যে চুক্তি পারস্পরিক সম্মান-শ্রদ্ধাবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত) থাকবে না, এটা যারা ভাবেন, তারা নিজেদের শুধরে নিন।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমার কোন কোন বক্তব্য হয়ত কারো কারো মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে তৌহিদী জনতা বলাটা। আপনারা যারা আমার বক্তব্যের কারণে নারাজ-নাখোশ হয়েছেন, আমি আপনাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।’

মাহফুজ আলম বলেন, এ ছাড়া গত কয়েক মাসে অন্য কোনো বক্তব্যে কেউ আঘাত পেলে বা সেটাকে বিভাজনমূলক ভাবলে সে ক্ষেত্রেও তিনি তার বক্তব্য পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। ভারসাম্যপূর্ণ, বিভাজন ও ট্যাগিংবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করাটা জনগণের মধ্যকার ঐক্যের জন্য জরুরি। তারা জালিম বা মজলুম কোনোটাই হতে চান না।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি, তা আখেরে এ দেশের জনগণকেই উপকৃত করবে।’

মাহফুজ আলম বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সকল শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। একটা হিস্টোরিক ব্লক তৈরির সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল। এখনো আছে বটে।ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থী জনগোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেস দেওয়া যাবে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি: মাহফুজ আলম

আপডেট সময় : ১২:২৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

গণঅভ্যুত্থানের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘এ অভ্যুত্থান সবার। সেজন্যই মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি আমি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত যারা নিতাম, তারা প্রায় সকল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছি। একটা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে অন্তত পাঁচ-ছয়টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

গতরাতে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম এসব কথা বলেন। ‘তৌহিদি জনতা’ প্রসঙ্গে বলা কথায় যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।

‘জনগণ ও মধ্যবর্তী অবস্থানের সপক্ষে’ শিরোনামে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম বলেন, তারা সিদ্ধান্ত যারা নিতেন, তারা প্রায় সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারের (অংশীজন) সঙ্গে কথা বলেছেন। একটা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে অন্তত পাঁচ-ছয়টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ফলে এটা আসলে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া বডির সামষ্টিক কৌশলগত সক্ষমতা যেমন, তেমনি অনেকগুলো গ্রুপ অব পিপলের (মানুষ দল) অংশগ্রহণ ও পরামর্শেরও ফসল। কেউই অনুল্লেখযোগ্য নন। আর জনগণ তো ১৯-৩৩ জুলাই কারও সিদ্ধান্তের জন্য বসে থাকেনি। তবে তারা অবশ্যই পাবলিক-প্রাইভেট থেকে শুরু করে মাদ্রাসা-স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরই বৈধ নেতৃত্ব হিসেবে মানতেন।

মাহফুজ আলম আরও বলেন, সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে, কিন্তু অন্তর্ঘাতীদের (স্যাবাটার) বাদ দিয়ে। স্যাবোটাজ বা পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস—এসব যেকোনো বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতি মানে জেনটেলমেনস অ্যাগ্রিমেন্টও (যে চুক্তি পারস্পরিক সম্মান-শ্রদ্ধাবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত) থাকবে না, এটা যারা ভাবেন, তারা নিজেদের শুধরে নিন।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমার কোন কোন বক্তব্য হয়ত কারো কারো মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে তৌহিদী জনতা বলাটা। আপনারা যারা আমার বক্তব্যের কারণে নারাজ-নাখোশ হয়েছেন, আমি আপনাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।’

মাহফুজ আলম বলেন, এ ছাড়া গত কয়েক মাসে অন্য কোনো বক্তব্যে কেউ আঘাত পেলে বা সেটাকে বিভাজনমূলক ভাবলে সে ক্ষেত্রেও তিনি তার বক্তব্য পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। ভারসাম্যপূর্ণ, বিভাজন ও ট্যাগিংবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করাটা জনগণের মধ্যকার ঐক্যের জন্য জরুরি। তারা জালিম বা মজলুম কোনোটাই হতে চান না।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি, তা আখেরে এ দেশের জনগণকেই উপকৃত করবে।’

মাহফুজ আলম বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সকল শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। একটা হিস্টোরিক ব্লক তৈরির সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল। এখনো আছে বটে।ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থী জনগোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেস দেওয়া যাবে না।’