সামনেই পুজোর মরসুম। আর এই রমরমিয়ে বাড়বে মোমবাতির বেচাকেনা। এই ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যাতে অধিক পরিমাণে উপার্জন করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। আবার শুরু করার সময় বেশি ইনভেস্টমেন্ট এরও প্রয়োজন হয় না। আর এর চাহিদা কখনোই কম হয়না।
ঘর সাজানোর উপকরণ হিসেবে মোমবাতি আজকে শোপিস রূপে বিক্রি হচ্ছে। এই ব্যবসা করার মধ্যে দিয়ে কোন উদ্যোক্তা তার চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে উপার্জন করতে পারবে।
মোমবাতি ব্যবসার জন্য পরিকল্পনা :
ব্যবসা শুরু করার আগে এই ব্যবসা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করে আপনাকে একটি সুন্দর পরিকল্পনা করতে হবে।
আপনি ব্যবসাটির ছোট আকারে শুরু করতে চান নাকি বড় আকারে সেটাও ঠিক করতে হবে আগে থেকেই। কত পরিমাণে খরচ করতে পারবেন এ ব্যবসা শুরু করতে গেলে সেটাও নির্ধারণ করতে হবে আগে থেকেই।
কী কী কাঁচামাল লাগবে?
মোমবাতি বানানোর জন্য বিশেষ কিছু জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে কারণ এগুলি ছাড়া মোমবাতি বানানো যাবে না। দেখে নিন সেগুলি কী কী –
কাঁচা মোম | ১০০-১৪০ টাকা |
মোম গলানোর পাত্র (ওভেনে ব্যবহার যোগ্য) | ২০০-৩০০ টাকা |
মোমবাতির সুতো | ৩০-৫০ টাকা |
বিভিন্ন রং | ৫০-১০০ টাকা |
সুগন্ধি দ্রব্য | ১০০-৪০০ টাকা (যেরকম সুগন্ধি নিতে চান তার অনুসারে) |
ক্যাস্টর অয়েল | ৩০০-৩৫০ টাকা |
ওভেন | ৫৫০০-১০০০০ টাকা (বাজেট অনুসারে নিতে পারেন) |
থার্মোমিটার | ১৫০-২০০ টাকা |
সমস্ত জিনিসের দামের ক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে, জায়গা ও মার্কেট অনুসারে এর দাম হয়ে থাকে। এখানে দুয়া দামগুলি গড়ে রাখা হয়েছে।
মোমবাতি বানানোর কাঁচামাল কোথায় পাবেন?
মোমবাতি বানানোর কাঁচামাল সামগ্রী স্থানীয় কোন দোকান থেকে আপনি নিতে পারেন। কিন্তু পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে নিলে আপনার কিছুটা লাভ হবে। কেননা পাইকারি দরে নিলে তারা আপনার প্রয়োজন মত এবং আপনার বাজেট অনুযায়ী সামগ্রী দিতে পারবেন।
তবে সব সময় কাঁচামাল নেওয়ার সময় তার গুণমান দেখে নেবেন। এমন পাইকারি বিক্রেতা দের অনলাইনের মাধ্যমেও খুঁজতে পারেন। তাছাড়া যদি কোন তথ্য জানার থাকে সেগুলো জানতে পারবেন এই ওয়েবসাইটের মধ্যে গিয়ে।
তাছাড়া অফলাইনেও অনেক মোমবাতি বানানো কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। যেগুলি কলকাতার মধ্যে অবস্থিত সোনারপুর, গড়িয়া, এর মধ্যে আপনি এমন মোমবাতি বানানো কোম্পানি পেয়ে যাবেন।
মোমবাতির ব্যবসা শুরু করতে গেলে জায়গার প্রয়োজনীয়তা :
এই ব্যবসাটি শুরু করতে গেলে আপনি ঘর থেকেই শুরু করতে পারেন। অথবা ভাড়া তে ১০/১০ বা ১২/১২ মাপের একটি ছোট ঘর নিয়েও ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
এই ব্যবসাটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর জন্য বেশি পরিমাণে জায়গার প্রয়োজন হয়না কিন্তু ঘর থেকেও বড় আকারে ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
তবে এই বিষয়ের উপরে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার কাছে মোম গলানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমান জায়গা এবং কাঁচামাল সামগ্রী রাখার জায়গা, তার সাথে সাথে তৈরি হয়ে যাওয়া মোমবাতি গুলিকে স্টোর করে রাখার জন্যও জায়গা প্রয়োজন। এই জন্য কোম্পানি অথবা কাজ করা যাবে এমন ভাবে ঘরটি গুছিয়ে রাখতে হবে আপনাকে।
মোমবাতি বানাতে কত সময় লাগে?
মোমবাতি বানাতে কতটা সময় প্রয়োজন হতে পারে এটা কিন্তু নির্ভর করবে আপনি কিভাবে মোমবাতি বানাচ্ছেন এবং কিরকম মোমবাতি বানাতে চাইছেন তার উপর।
যদি আপনি মেশিন ব্যবহার করে থাকেন সেটাও কিন্তু মেশিন এর উপরেই নির্ভর করবে। যদি অটোমেটিক মেশিন ব্যবহার করেন তাহলে ১৫ মিনিটের মধ্যে ৩০০-৪০০ মোমবাতি তৈরি হয়ে যাবে।
যদি আপনি ছোট স্তরে ব্যবসাটি শুরু করেন তাহলে আপনার ব্যবসার কর্মচারী এবং তাদের কার্য ক্ষমতার উপর নির্ভর করবে কতটা পরিমাণ মোমবাতি তৈরি হতে পারে।
তাছাড়া মোমবাতি বানানোর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া একটি ব্যক্তির দ্বারা ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের মধ্যে হয়ে যায়। তাছাড়া ছাঁচ অথবা ডাইসের সংখ্যা অনুযায়ী ৯০-১০০ টি মোমবাতি খুব সহজ ভাবে তৈরি করা যায়।
মোমবাতি হাত দিয়ে বানানাবেন কিভাবে?
মোমবাতি হাত দিয়ে বানানোর জন্য প্রথমে মোম গরম করে ২৬০ ডিগ্রি থেকে ৩৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত গলাতে হবে (মম গলার ধরন দেখে তাপ হালকা বাড়াতে পারেন)। তারপর সেই গলে যাওয়া মোমকে ছাঁচ অথবা ডাইস এর মধ্যে ঢেলে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিতে হবে।
এর মধ্যে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করে সুত পরাতে হবে অথবা ছাঁচ অথবা ডাইসে আগে থেকে সুতো লাগিয়ে তারপর গলানো মোম ঢালতে হবে। ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর মোমবাতি গুলি প্যাকেট করে বাজারে বিক্রি করতে হবে।
মোমবাতি ব্যবসা করতে গেলে মোট খরচ :
যদি বড় স্তরে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে না পারেন তাহলে খুব সহজেই অল্প টাকা ইনভেস্টমেন্ট করে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। তার সাথে সাথে ব্যবসাটিকে আগে নিয়ে যাওয়ার জন্য খুব ছোট আকারে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন ব্যবসাটি।
মোমবাতি বানানোর সময় কী কী বিষয়ে সাবধান হতে হবে?
যখনই আপনি মোম গলাতে থাকবেন সবসময় এর জন্য সাবধান থাকবেন, কেননা কোন জিনিসের তাপমান নিয়ন্ত্রণ থাকে না সেই কারণে মোম গলানোর জন্য তাপমাত্রার দিকটা খেয়াল রাখাটা জরুরি।
তা না হলে যে কোন সময় আপনার ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে যেতে পারে। আর সেই জন্য ২৯০ ডিগ্রি থেকে ৩৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রা আপনাকে মেইনটেইন করতে হবে মন গলানোর সময়। সাবধানতা অবলম্বন করা সবচেয়ে বেশি জরুরি।
মোমবাতির প্যাকেজিং কিভাবে করবেন?
সবচেয়ে শেষ প্রক্রিয়া মোমবাতি বানানোর, সেটা হল সেই মোমবাতি গুলি প্যাকেজিং করা। এগুলি আপনি হাতের সাহায্যে অনায়াসে করতে পারবেন, তাছাড়া মোমবাতি ফিলিং মেশিন আছে যা দিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্যাকিং করা যায়। প্লাস্টিকের প্যাকেট অথবা কার্ড বক্সের মধ্যে মোমবাতি গুলি ভরা হয় এগুলো প্যাকিং অনুসারে রং এর অনুসারে বিভিন্ন ভাবে সাজানো হয় প্যাকেটগুলোকে।
১) সাধারণত মোমবাতি প্যাকিং করার জন্য পাতলা কার্ডবোর্ড বাক্স ব্যবহার করা হয় মোমবাতির আকার অনুসারে।
২) তারপর মোমবাতি গুলিকে গুনে নেওয়ার মাধ্যমে প্যাকেটে ভরে প্যাকেটের মুখ টেপ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়।
৩) তারপর আপনার কোম্পানির ব্র্যান্ডের নাম তার সাথে সাথে যদি আপনার ওয়েবসাইট থেকে থাকে সেই ওয়েবসাইট, স্টিকার এগুলি সেই বক্সের উপরে আটকে দিতে হবে। এর মাধ্যমে মার্কেটিং এবং আপনার কোম্পানির জনপ্রিয়তা একইভাবে বাড়বে।
মোমবাতি ব্যবসার ক্ষেত্রে লাভ অথবা প্রফিট :
মোমবাতি ব্যবসা করার জন্য আপনার কোনরকম কর্মচারীর প্রয়োজন পড়বে না, সেই কারণে মোমবাতি ব্যবসাতে অন্য ব্যবসায় তুলনায় কম ইনভেস্টমেন্টে, বেশি লাভ পাওয়া যায়। আপনার প্রত্যেক মোমবাতি বানাতে যে খরচ পরে, তার থেকে কিছুটা পরিমাণ লাভ অথবা মার্জিন দেখে তার দাম নির্ধারণ করতে হবে।
তার সাথে সাথে সুনিশ্চিত করতে হবে যে, এরকম মোমবাতি বানিয়ে অন্য কোনো ব্যবসায়ী কত দামে বিক্রি করছেন এবং কি রকম লাভ রাখছেন সেই অনুসারে আপনাকে তার থেকেও কম দামে অর্থাৎ কম লাভ রেখে মোমবাতি বিক্রি করতে হবে। তবে আপনি মার্কেটিং ভালো করতে পারবেন এবং কাস্টমার পাবেন অনেক।
মোমবাতি বানানোর ব্যবসা শুরু করতে গেলে আইনত প্রক্রিয়া :
১) কী রকম কোম্পানি তৈরি করবেন? যদি আপনি এই ব্যবসাটি খুব ছোট আকারে শুরু করতে চান তাহলে কোম্পানির এলএলসি অর্থাৎ আপনি যে ছোট আকারে ব্যবসাটি শুরু করছেন সেটি আগে থেকে নির্বাচন করতে হবে।
২) ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন কিভাবে করবেন? আপনার কোম্পানি অনুসারে ব্যবসাটিকে রেজিস্ট্রেশন করান। এই ব্যবসাটি শুরু করার আগে যে শহরে অথবা গ্রামে আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে চান সেখান থেকে পারমিট নিয়ে রাখুন। এর জন্য সেখানকার ক্লার্ক কার্যালয় এ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তাছাড়া ব্যবসাটিকে এস এস আই ইউনিট এ রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিন।
৩) প্যান কার্ড আবশ্যিক : ব্যবসার জন্য প্যান কার্ডের আবেদন করুন, যে ধরনের ব্যবসা করতে চান না কেন তার জন্য সবার প্রথমে ব্যবসার প্যান কার্ড আপনার করতে হবে।
৪) ব্যবসার জন্য দরকার ব্যাংক একাউন্ট : আপনি যে কোন ব্যাংক থেকে এই ব্যবসার জন্য অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এর লাভ হল ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার কোনো রকম অসুবিধা হবে না। এই বিষয়টি আপনার নিজের খরচ থেকে আলাদা করে রাখতে পারে। যার কারণে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনি এই ব্যবসার জন্য কতটা খরচ করেছেন এবং কতটা লাভ করতে পারছেন। এই বিষয়ের উপরে খেয়াল রাখার জন্য আপনার একাউন্টে ট্রাক রাখতে পারেন।
৫) সরকারকে দিতে হবে কর : মোমবাতি ব্যবসার জন্য আপনাকে রাজ্য অথবা সংঘের কর অথবা শুল্ক দিতে হতে পারে। যার জন্য আপনাকে প্রথমেই রাজ্য তে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে ব্যবসাটির। সাধারণত এই কর অথবা শুরু বছরে একবারই করতে হয়। এই সম্পর্কে আপনি রাজ্যের নিয়ম ভালোমতো জেনে নিতে পারেন। যা কিনা আপনার উৎপাদিত মোমবাতি বিক্রির উপর নির্ভর করবে।
এছাড়াও যদি আপনি বড় স্তরে মোমবাতি ব্যবসা শুরু করতে চান নিচে দেওয়া প্রক্রিয়া গুলির মধ্যে দিয়ে শুরু করতে পারেন :
#১) কোম্পানির নাম: বড় স্তরে শুরু করতে গেলে ব্যবসাটির কোম্পানির ব্রান্ডের নাম রেজিস্ট্রেশন করিয় ব্যবসাটি শুরু করুন। ব্রান্ডের নাম যেন আকর্ষণীয় হয়। এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তবে বড় আকারে শুরু করতে গেলে এই ব্যবসা সম্পর্কে পরিকল্পনা এবং একটু সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে শুরু করবেন। তারপর এর ট্রেড মার্ক এ রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। আপনার ব্রান্ডের নাম কে সুরক্ষিত করিয়ে নিন। বেট রেজিস্ট্রেশন এর জন্য আবেদন করুন এবং সেটা খুব তাড়াতাড়ি হাসিল করুন।
#২) ইআইএন সংখ্যার সাথে রেজিস্ট্রেশন: ই আই এন এর জন্য আবেদন করুন। এই নাম্বারের মাধ্যমে আপনার ব্যবসায় আই আর এস থেকে পরিচিতি নাম্বার পাবেন। আপনি এটিকে আইআরএস এর ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ও ইআইএন নাম্বারের জন্য আবেদন করতে পারেন। এতে কিন্তু আপনার সময় বেচে যাবে এবং খুব তাড়াতাড়ি আপনি এটি পেয়ে যাবেন।
৩) মোমবাতি বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন :
মোমবাতি বানানোর জন্য ক্যান্ডেল মেকিং মেশিন এর প্রয়োজনীয়তা হবে আপনার। এই মেশিনগুলো আলাদা আলাদা রকমের এবং আলাদা আলাদা ক্ষমতা সম্পন্ন হয়। মোমবাতি বানানোর মেশিন মার্কেট এ আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
মেশিন অনুসারে মেশিনের দাম নির্ধারিত হয়। তাছাড়া এই মেশিনের দাম ৩৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। মেশিনের দাম কিন্তু নির্ভর করবে সেই মেশিনের কার্যক্ষমতার উপরে। তিন রকমের মোমবাতি তৈরি করার মেশিন আপনি নিতে পারেন যেমন ধরুন:-
১) ম্যানুয়াল মেশিন :
এই মেশিনটি চালানো খুবই সহজ এবং এই মেশিনের সাহায্যে প্রতি ঘণ্টায় ১৬০০-২০০০ পর্যন্ত মোমবাতি তৈরি করতে পারবেন।
২) সেমি অটোমেটিক মেশিন :
এই মেশিনটি অটোমেটিকই বলতে পারেন, তবে এই মেশিনের সাহায্যে আপনি মোমবাতির আকার আকৃতি ও দিতে পারবেন এবং মেশিনটি টেকনিকের দিক থেকে বেশ উন্নত। তাছাড়া এই মেশিনে মোমকে খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করার জন্য জলটাও কিন্তু অটোমেটিক রূপে ব্যবহার করা হয় মেশিন থেকে।
৩) ফুল অটোমেটিক মেশিন :
এই মেশিনের সাহায্যে আপনি বিভিন্ন সাইজ যেমন ধরুন জন্মদিন এর ছোট মোমবাতি থেকে শুরু করে বড় আকারের মোমবাতি পর্যন্ত বানাতে পারেন। গোল, চারকোনা বিভিন্ন রকমের মোমবাতি আপনি বানাতে পারবেন এই মেশিন দিয়ে।
এই মেশিনের সাহায্যে প্রতি মিনিটে ২০০ থেকে ২৫০ মোমবাতি তৈরি করা যায়। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন রকমের ডাইস সেখানে ব্যবহার করতে পারবেন। তার মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন রকমের ডিজাইনের মোমবাতিও তৈরি করতে পারবেন।
মোমবাতি ব্যবসার জন্য কিভাবে মার্কেটিং করবেন?
যেকোনো ব্যবসাতে মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর মার্কেটিং এর উপরেই নির্ভর করবে ব্যবসাটির লাভ।
১) পোস্টার অথবা লিফলেটের মাধ্যমে :
আপি আপনার কোম্পানির নাম দিয়ে সুন্দর আকর্ষণীয় পোস্টার অথবা পেম্পপ্লেট তৈরি করে আপনার এই মোমবাতির প্রচার করতে পারেন। এর মাধ্যমে বহু মানুষের কাছে আপনার ব্যবসার নাম চলে যাবে। এবং আপনার তৈরি করা মোমবাতি সম্পর্কে তারা জানতে পারবে তাদের মধ্যে কিছু লোক তো আপনার গ্রাহক হতেই পারে।
২) ডিজিটাল মার্কেটিং :
যদি আপনার মোমবাতি গুলি কে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে চান, আপনার পোর্টাল এর মাধ্যমে অনলাইনে স্টোর করতে পারেন। সেখানে মোমবাতিগুলো আকর্ষণীয় ছবি রেখে দিন, তা থেকে গ্রাহক অনলাইনের মাধ্যমে কেনার সুযোগ পাবেন।
৩) রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিংও :
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি সবচেয়ে শক্তিশালী প্লাটফর্ম। যেখানে যে কোন ব্যবসার প্রচার করা যায়। আপনার ব্যবসার অনলাইন লিংক শেয়ার করে ও গ্রাহকদের আপনার ব্যবসার প্রতি আকর্ষিত করতে পারেন।
এছাড়াও গুগল অথবা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে পিপিসি এর উপর বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কিছু টাকাও খরচ করতে হতে পারে। একবার নেটওয়ার্ক হয়ে তৈরি হয়ে গেলে আপনার ব্যবসায় উন্নতি হতে বেশিদিন সময় লাগবে না।
এই ব্যবসা থেকে লাভ কেমন হয়?
যে হারে ঘর সাজানোর জন্য এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত এবং ধর্ম স্থানে প্রয়োজনীয় মোমবাতির সাপ্লাই এর ক্ষেত্রে মোমবাতির ব্যবহার বেড়ে চলেছে তাতে এই ব্যবসা থেকে প্রচুর পরিমানে উপার্জন করা সম্ভব।
ছোট স্তর থেকে যদি শুরু করেন তাহলেও প্রতি মাসে আপনি কম করে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর যদি বড় স্তরের কথা বলা হয়, যেখানে মেশিন কিনে আপনি খুব ভালোভাবেই মোমবাতি তৈরি করে মার্কেটে সাপ্লাই দিতে পারেন। তাহলে এটা হাজার নয় প্রতিমাসে আপনি কয়েক লাখ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।