ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল

যে কারণে গ্যাস বেলুন বিপজ্জনক

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 52
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে বেলুন তৈরির কথা থাকলেও কম খরচের কারণে হাইড্রোজেন গ্যাস ভরেই বেলুন বিক্রি হচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। আর এই গ্যাস তৈরি করছেন ব্যবসায়ীরা নিজেই। কোনোরকম নিরাপত্তা কিংবা নির্দেশনা ছাড়াই নিজ উদ্যোগে এই গ্যাস তৈরি করার খোঁজ মিলেছে বাংলা ট্রিবিউনের অনুসন্ধানে। তবে শিশুদের হাতে এই বেলুন তুলে দেওয়া কতটা ঝুঁকির তা অনুমান করা মুশকিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘গ্যাস বেলুন নয়, তাদের হাতে আসলে একপ্রকার চলমান বোমা তুলে দেওয়া হচ্ছে।’

যেভাবে তৈরি হচ্ছে গ্যাস

শুধু সনাতন ধরনের বেলুন নয় বিভিন্ন কার্টুনের অবয়বে বানানো প্লাস্টিকের বেলুনেও ব্যবহৃত হচ্ছে হাইড্রোজেন গ্যাস। এই গ্যাস তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে সালফিউরিক অথবা হাইড্রোক্লোরিক আ্যসিড। অ্যাসিডের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে জিংক। রাসায়নিক বিক্রিয়া শেষে উপজাত হিসেবে তৈরি হচ্ছে হাইড্রোজেন গ্যাস। অ্যাসিডের সহজলভ্যতার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিক্রেতারা সাধারণত গাড়ির ব্যাটারি থেকে এসব অ্যাসিড সংগ্রহ করে থাকে।

হিলিয়াম গ্যাস হাইড্রোজেন থেকে অপেক্ষাকৃত ভারী বলে বেলুন কম উচ্চতায় উড়ে। অন্যদিকে এই গ্যাস দাহ্য নয় বলে ব্যবহার করা হয় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে। কিন্তু হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই গ্যাস বেলুন বিস্ফোরিত হতে সামান্য সিগারেটের আগুনই যথেষ্ট। হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহারে এই ঝুঁকি থাকে না। এই গ্যাসের বেলুন ফেটে গেলেও আগুন ধরার কোনও সম্ভাবনা নেই। এজন্যই হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার নিরাপদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আব্দুল কাদের বলেন, ‘কোনও প্রকার তাপের সংস্পর্শে এলেই হাইড্রোজেন বিক্রিয়া করে অনেক কিছুই করতে পারে। হিলিয়াম গ্যাস নন রি-অ্যাক্টিভ, যার বিক্রিয়া করার বা দাহ্য হওয়ার ক্ষমতা নেই। এটি বেলুনে ব্যবহার করা নিরাপদ। কিন্তু হাইড্রোজেন ব্যবহারে ঝুঁকি রয়েছে কারণ তাপের সংস্পর্শে হাইড্রোজেন রি-অ্যাক্ট করা শুরু করবে। এটা যেকোনও ধরনের তাপ হতে পারে। আগুনও হতে পারে, সূর্যের আলোও হতে পারে। মোট কথা গরম পেলেই হাইড্রোজেন বিক্রিয়া করা শুরু করে।’

হাইড্রোজেন গ্যাস বিপজ্জনক, তাই গ্যাস বেলুন নিজের নিরাপত্তা বিবেচনা করে ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করেন রসায়নবিদ এবং বিস্ফোরক নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, ‘এসব বেলুন ফেটে গেলে কাছের সামান্য সিগারেটের আগুনই ঝলসে যাওয়ার যথেষ্ট।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নীলুফার বলেন, ‘হাইড্রোজেন গ্যাস হিলিয়াম থেকে অপেক্ষাকৃত হালকা এবং আকাশে আরও বেশি উচ্চতায় যেতে পারে বলে এর ব্যবহার করা হয় বেলুনে। তবে আগুনের সংস্পর্শে এলে তা বিস্ফোরিত হবেই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যে কারণে গ্যাস বেলুন বিপজ্জনক

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে বেলুন তৈরির কথা থাকলেও কম খরচের কারণে হাইড্রোজেন গ্যাস ভরেই বেলুন বিক্রি হচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। আর এই গ্যাস তৈরি করছেন ব্যবসায়ীরা নিজেই। কোনোরকম নিরাপত্তা কিংবা নির্দেশনা ছাড়াই নিজ উদ্যোগে এই গ্যাস তৈরি করার খোঁজ মিলেছে বাংলা ট্রিবিউনের অনুসন্ধানে। তবে শিশুদের হাতে এই বেলুন তুলে দেওয়া কতটা ঝুঁকির তা অনুমান করা মুশকিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘গ্যাস বেলুন নয়, তাদের হাতে আসলে একপ্রকার চলমান বোমা তুলে দেওয়া হচ্ছে।’

যেভাবে তৈরি হচ্ছে গ্যাস

শুধু সনাতন ধরনের বেলুন নয় বিভিন্ন কার্টুনের অবয়বে বানানো প্লাস্টিকের বেলুনেও ব্যবহৃত হচ্ছে হাইড্রোজেন গ্যাস। এই গ্যাস তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে সালফিউরিক অথবা হাইড্রোক্লোরিক আ্যসিড। অ্যাসিডের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে জিংক। রাসায়নিক বিক্রিয়া শেষে উপজাত হিসেবে তৈরি হচ্ছে হাইড্রোজেন গ্যাস। অ্যাসিডের সহজলভ্যতার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিক্রেতারা সাধারণত গাড়ির ব্যাটারি থেকে এসব অ্যাসিড সংগ্রহ করে থাকে।

হিলিয়াম গ্যাস হাইড্রোজেন থেকে অপেক্ষাকৃত ভারী বলে বেলুন কম উচ্চতায় উড়ে। অন্যদিকে এই গ্যাস দাহ্য নয় বলে ব্যবহার করা হয় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে। কিন্তু হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই গ্যাস বেলুন বিস্ফোরিত হতে সামান্য সিগারেটের আগুনই যথেষ্ট। হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহারে এই ঝুঁকি থাকে না। এই গ্যাসের বেলুন ফেটে গেলেও আগুন ধরার কোনও সম্ভাবনা নেই। এজন্যই হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার নিরাপদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আব্দুল কাদের বলেন, ‘কোনও প্রকার তাপের সংস্পর্শে এলেই হাইড্রোজেন বিক্রিয়া করে অনেক কিছুই করতে পারে। হিলিয়াম গ্যাস নন রি-অ্যাক্টিভ, যার বিক্রিয়া করার বা দাহ্য হওয়ার ক্ষমতা নেই। এটি বেলুনে ব্যবহার করা নিরাপদ। কিন্তু হাইড্রোজেন ব্যবহারে ঝুঁকি রয়েছে কারণ তাপের সংস্পর্শে হাইড্রোজেন রি-অ্যাক্ট করা শুরু করবে। এটা যেকোনও ধরনের তাপ হতে পারে। আগুনও হতে পারে, সূর্যের আলোও হতে পারে। মোট কথা গরম পেলেই হাইড্রোজেন বিক্রিয়া করা শুরু করে।’

হাইড্রোজেন গ্যাস বিপজ্জনক, তাই গ্যাস বেলুন নিজের নিরাপত্তা বিবেচনা করে ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করেন রসায়নবিদ এবং বিস্ফোরক নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, ‘এসব বেলুন ফেটে গেলে কাছের সামান্য সিগারেটের আগুনই ঝলসে যাওয়ার যথেষ্ট।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নীলুফার বলেন, ‘হাইড্রোজেন গ্যাস হিলিয়াম থেকে অপেক্ষাকৃত হালকা এবং আকাশে আরও বেশি উচ্চতায় যেতে পারে বলে এর ব্যবহার করা হয় বেলুনে। তবে আগুনের সংস্পর্শে এলে তা বিস্ফোরিত হবেই।’