ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা!

যে কারণে গ্যাস বেলুন বিপজ্জনক

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 20
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে বেলুন তৈরির কথা থাকলেও কম খরচের কারণে হাইড্রোজেন গ্যাস ভরেই বেলুন বিক্রি হচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। আর এই গ্যাস তৈরি করছেন ব্যবসায়ীরা নিজেই। কোনোরকম নিরাপত্তা কিংবা নির্দেশনা ছাড়াই নিজ উদ্যোগে এই গ্যাস তৈরি করার খোঁজ মিলেছে বাংলা ট্রিবিউনের অনুসন্ধানে। তবে শিশুদের হাতে এই বেলুন তুলে দেওয়া কতটা ঝুঁকির তা অনুমান করা মুশকিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘গ্যাস বেলুন নয়, তাদের হাতে আসলে একপ্রকার চলমান বোমা তুলে দেওয়া হচ্ছে।’

যেভাবে তৈরি হচ্ছে গ্যাস

শুধু সনাতন ধরনের বেলুন নয় বিভিন্ন কার্টুনের অবয়বে বানানো প্লাস্টিকের বেলুনেও ব্যবহৃত হচ্ছে হাইড্রোজেন গ্যাস। এই গ্যাস তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে সালফিউরিক অথবা হাইড্রোক্লোরিক আ্যসিড। অ্যাসিডের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে জিংক। রাসায়নিক বিক্রিয়া শেষে উপজাত হিসেবে তৈরি হচ্ছে হাইড্রোজেন গ্যাস। অ্যাসিডের সহজলভ্যতার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিক্রেতারা সাধারণত গাড়ির ব্যাটারি থেকে এসব অ্যাসিড সংগ্রহ করে থাকে।

হিলিয়াম গ্যাস হাইড্রোজেন থেকে অপেক্ষাকৃত ভারী বলে বেলুন কম উচ্চতায় উড়ে। অন্যদিকে এই গ্যাস দাহ্য নয় বলে ব্যবহার করা হয় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে। কিন্তু হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই গ্যাস বেলুন বিস্ফোরিত হতে সামান্য সিগারেটের আগুনই যথেষ্ট। হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহারে এই ঝুঁকি থাকে না। এই গ্যাসের বেলুন ফেটে গেলেও আগুন ধরার কোনও সম্ভাবনা নেই। এজন্যই হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার নিরাপদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আব্দুল কাদের বলেন, ‘কোনও প্রকার তাপের সংস্পর্শে এলেই হাইড্রোজেন বিক্রিয়া করে অনেক কিছুই করতে পারে। হিলিয়াম গ্যাস নন রি-অ্যাক্টিভ, যার বিক্রিয়া করার বা দাহ্য হওয়ার ক্ষমতা নেই। এটি বেলুনে ব্যবহার করা নিরাপদ। কিন্তু হাইড্রোজেন ব্যবহারে ঝুঁকি রয়েছে কারণ তাপের সংস্পর্শে হাইড্রোজেন রি-অ্যাক্ট করা শুরু করবে। এটা যেকোনও ধরনের তাপ হতে পারে। আগুনও হতে পারে, সূর্যের আলোও হতে পারে। মোট কথা গরম পেলেই হাইড্রোজেন বিক্রিয়া করা শুরু করে।’

হাইড্রোজেন গ্যাস বিপজ্জনক, তাই গ্যাস বেলুন নিজের নিরাপত্তা বিবেচনা করে ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করেন রসায়নবিদ এবং বিস্ফোরক নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, ‘এসব বেলুন ফেটে গেলে কাছের সামান্য সিগারেটের আগুনই ঝলসে যাওয়ার যথেষ্ট।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নীলুফার বলেন, ‘হাইড্রোজেন গ্যাস হিলিয়াম থেকে অপেক্ষাকৃত হালকা এবং আকাশে আরও বেশি উচ্চতায় যেতে পারে বলে এর ব্যবহার করা হয় বেলুনে। তবে আগুনের সংস্পর্শে এলে তা বিস্ফোরিত হবেই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যে কারণে গ্যাস বেলুন বিপজ্জনক

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে বেলুন তৈরির কথা থাকলেও কম খরচের কারণে হাইড্রোজেন গ্যাস ভরেই বেলুন বিক্রি হচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। আর এই গ্যাস তৈরি করছেন ব্যবসায়ীরা নিজেই। কোনোরকম নিরাপত্তা কিংবা নির্দেশনা ছাড়াই নিজ উদ্যোগে এই গ্যাস তৈরি করার খোঁজ মিলেছে বাংলা ট্রিবিউনের অনুসন্ধানে। তবে শিশুদের হাতে এই বেলুন তুলে দেওয়া কতটা ঝুঁকির তা অনুমান করা মুশকিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘গ্যাস বেলুন নয়, তাদের হাতে আসলে একপ্রকার চলমান বোমা তুলে দেওয়া হচ্ছে।’

যেভাবে তৈরি হচ্ছে গ্যাস

শুধু সনাতন ধরনের বেলুন নয় বিভিন্ন কার্টুনের অবয়বে বানানো প্লাস্টিকের বেলুনেও ব্যবহৃত হচ্ছে হাইড্রোজেন গ্যাস। এই গ্যাস তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে সালফিউরিক অথবা হাইড্রোক্লোরিক আ্যসিড। অ্যাসিডের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে জিংক। রাসায়নিক বিক্রিয়া শেষে উপজাত হিসেবে তৈরি হচ্ছে হাইড্রোজেন গ্যাস। অ্যাসিডের সহজলভ্যতার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিক্রেতারা সাধারণত গাড়ির ব্যাটারি থেকে এসব অ্যাসিড সংগ্রহ করে থাকে।

হিলিয়াম গ্যাস হাইড্রোজেন থেকে অপেক্ষাকৃত ভারী বলে বেলুন কম উচ্চতায় উড়ে। অন্যদিকে এই গ্যাস দাহ্য নয় বলে ব্যবহার করা হয় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে। কিন্তু হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই গ্যাস বেলুন বিস্ফোরিত হতে সামান্য সিগারেটের আগুনই যথেষ্ট। হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহারে এই ঝুঁকি থাকে না। এই গ্যাসের বেলুন ফেটে গেলেও আগুন ধরার কোনও সম্ভাবনা নেই। এজন্যই হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার নিরাপদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আব্দুল কাদের বলেন, ‘কোনও প্রকার তাপের সংস্পর্শে এলেই হাইড্রোজেন বিক্রিয়া করে অনেক কিছুই করতে পারে। হিলিয়াম গ্যাস নন রি-অ্যাক্টিভ, যার বিক্রিয়া করার বা দাহ্য হওয়ার ক্ষমতা নেই। এটি বেলুনে ব্যবহার করা নিরাপদ। কিন্তু হাইড্রোজেন ব্যবহারে ঝুঁকি রয়েছে কারণ তাপের সংস্পর্শে হাইড্রোজেন রি-অ্যাক্ট করা শুরু করবে। এটা যেকোনও ধরনের তাপ হতে পারে। আগুনও হতে পারে, সূর্যের আলোও হতে পারে। মোট কথা গরম পেলেই হাইড্রোজেন বিক্রিয়া করা শুরু করে।’

হাইড্রোজেন গ্যাস বিপজ্জনক, তাই গ্যাস বেলুন নিজের নিরাপত্তা বিবেচনা করে ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করেন রসায়নবিদ এবং বিস্ফোরক নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, ‘এসব বেলুন ফেটে গেলে কাছের সামান্য সিগারেটের আগুনই ঝলসে যাওয়ার যথেষ্ট।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নীলুফার বলেন, ‘হাইড্রোজেন গ্যাস হিলিয়াম থেকে অপেক্ষাকৃত হালকা এবং আকাশে আরও বেশি উচ্চতায় যেতে পারে বলে এর ব্যবহার করা হয় বেলুনে। তবে আগুনের সংস্পর্শে এলে তা বিস্ফোরিত হবেই।’