ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বাবরের জীবন থেকে ১৭ বছর কেড়ে নেয় ‘প্রথম আলো’ সোমবার থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাপমুক্ত প্রশাসন এবং ড. ইউনূসের দর্শন ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব

রাজধানীতে ভিজিটিং কার্ডে অভিনব দেহ ব্যবসা!

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৯:২৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 128
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রাজধানী ঢাকার পথে পথে যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে রহস্যময় ভিজিটিং কার্ড। আবাসিক হোটেল ও গেস্ট হাউজের নাম ঠিকানা ব্যবহার করে এসব ভিজিটিং কার্ড সড়কের ফুটপাত ও গণপরিবহনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আর কার্ডে দেওয়া থাকছে হরেক নামের দাদা-ভাইদের ফোন নম্বর। যা নিয়ে পথচারীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।

গত কয়েক দিন সরজমিনে মগবাজার, বাংলামোটর, সাত রাস্তা, মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, গাবতলী, মাজার রোড ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। সর্বত্রই মেইনরোডসহ ফুটপাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রহস্যময় দাদা-ভাইদের ভিজিটিং কার্ড।

 

কার্ডগুলোর উপরে লেখা থাকছে প্রদীপ দাদা, অরুণ দাদা, মাটি ভাই, ইমরান ভাই, হাসান ভাইসহ আরও অনেকে নাম ও ফোন নম্বর। তবে কারা এই দাদা-ভাইয়েরা? কী তাদের কাজ, কেনই বা এমন অফার?

 

রহস্য খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, দেহ ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চক্র হঠাৎ করে ভিন্ন কৌশলে সরব হয়েছে। এসব ভিজিটিং কার্ড ফেলে আকৃষ্ট করা হয় এবং কৌশলে করা হয় দেহ ব্যবসা। সব ভিজিটিং কার্ডেই রয়েছে চক্রের সদস্যদের নাম ও ফোন নম্বর।

 

এর আগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস ও গণপরিবহনে ভিজিটিং কার্ড বিলি করছে দেখা গেলেও এবার নতুন করে পথে পথে ছিটিয়ে রাখার কৌশলে নেমেছে চক্রটি। এরা মূলত যৌনকর্মীদের দালাল হিসেবে পরিচিত। দ্রুত যৌন ব্যবসা প্রচারের লক্ষ্যে সম্প্রতি তারা এ কৌশল বেছে নিয়েছে।

 

উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণী, অভাবগ্রস্থ কর্মহীন নারী এবং স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে অভিনব কায়দায় প্রচারে নেমেছে চক্রটি। এরা রাতের আঁধারে কিংবা নিরিবিলি সময়ে নতুন রঙিন ভিজিটিং কার্ড রাস্তায় এমনভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে যাতে সহজেই পথচারীদের নজরে পড়ে। অনেকে এদের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছেন। আর ফাঁদে পড়ে ভুক্তভোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি হতে হচ্ছে।

 

কেউ যদি এদের ফোন দেয় দাদা-ভাইয়েরা সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের প্রস্তাব দেওয়া শুরু করেন। চলে আসতে বলেন ঠিকানায়। জানানো হয়, শতভাগ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। এরপর কথার প্যাচে প্রশ্ন করা হয়- ইনজয় করতে চান? যত ধরনের ফ্যাসিলিটি আছে দেব। ৫০০ থেকে শুরু করে ঘণ্টায় ১৫০০, ২০০০, ২৫০০ থেকে পুরো নাইটেরও ব্যবস্থা আছে বলে জানায় তারা।

 

সাত রাস্তা সড়কে জিহাদ নামের এক পথচারী বলেন, ‘আমিও ভাই অনেক দিন ধরেই ফুটপাতে এমন ভিজিটিং কার্ড পড়ে থাকতে দেখছি। আমারও আগ্রহ জাগে কার্ডগুলো কারা এখানে ফেলে রেখে যায় তা দেখতে। একদিন খেয়াল করলাম বোরকা পরা এক মেয়ে এমন বেশকিছু কার্ড ফুটপাতে ফেলে দ্রুত হাঁটা শুরু করল। পেছন থেকে ডাক দিলে ওই মহিলা হাঁটার গতি বাড়িয়ে কেটে পড়ল।’

 

তিনি জানান, আগে ফুটপাতে এই কার্ড কম দেখা যেতো। এখন প্রায় প্রতিদনই যেন কার্ডের সংখ্যা বাড়ছে। কোনো কোনো দিন ওরা দুই-তিনবার করে এসে এসব কার্ড ফেলে রেখে যায়। কৌতুহলে একদিন ফোন দিয়ে বুঝলাম আসল ঘটনা কী।

 

নতুন করে এমন দৃশ্য রাজধানীতে চোখে পড়লেও এই ব্যবসা পুরনো। তবে অপরাধীরা তাদের কৌশল পাল্টেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাজধানীতে ভিজিটিং কার্ডে অভিনব দেহ ব্যবসা!

আপডেট সময় : ০৯:২৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

 

রাজধানী ঢাকার পথে পথে যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে রহস্যময় ভিজিটিং কার্ড। আবাসিক হোটেল ও গেস্ট হাউজের নাম ঠিকানা ব্যবহার করে এসব ভিজিটিং কার্ড সড়কের ফুটপাত ও গণপরিবহনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আর কার্ডে দেওয়া থাকছে হরেক নামের দাদা-ভাইদের ফোন নম্বর। যা নিয়ে পথচারীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।

গত কয়েক দিন সরজমিনে মগবাজার, বাংলামোটর, সাত রাস্তা, মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, গাবতলী, মাজার রোড ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। সর্বত্রই মেইনরোডসহ ফুটপাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রহস্যময় দাদা-ভাইদের ভিজিটিং কার্ড।

 

কার্ডগুলোর উপরে লেখা থাকছে প্রদীপ দাদা, অরুণ দাদা, মাটি ভাই, ইমরান ভাই, হাসান ভাইসহ আরও অনেকে নাম ও ফোন নম্বর। তবে কারা এই দাদা-ভাইয়েরা? কী তাদের কাজ, কেনই বা এমন অফার?

 

রহস্য খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, দেহ ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চক্র হঠাৎ করে ভিন্ন কৌশলে সরব হয়েছে। এসব ভিজিটিং কার্ড ফেলে আকৃষ্ট করা হয় এবং কৌশলে করা হয় দেহ ব্যবসা। সব ভিজিটিং কার্ডেই রয়েছে চক্রের সদস্যদের নাম ও ফোন নম্বর।

 

এর আগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস ও গণপরিবহনে ভিজিটিং কার্ড বিলি করছে দেখা গেলেও এবার নতুন করে পথে পথে ছিটিয়ে রাখার কৌশলে নেমেছে চক্রটি। এরা মূলত যৌনকর্মীদের দালাল হিসেবে পরিচিত। দ্রুত যৌন ব্যবসা প্রচারের লক্ষ্যে সম্প্রতি তারা এ কৌশল বেছে নিয়েছে।

 

উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণী, অভাবগ্রস্থ কর্মহীন নারী এবং স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে অভিনব কায়দায় প্রচারে নেমেছে চক্রটি। এরা রাতের আঁধারে কিংবা নিরিবিলি সময়ে নতুন রঙিন ভিজিটিং কার্ড রাস্তায় এমনভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে যাতে সহজেই পথচারীদের নজরে পড়ে। অনেকে এদের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছেন। আর ফাঁদে পড়ে ভুক্তভোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি হতে হচ্ছে।

 

কেউ যদি এদের ফোন দেয় দাদা-ভাইয়েরা সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের প্রস্তাব দেওয়া শুরু করেন। চলে আসতে বলেন ঠিকানায়। জানানো হয়, শতভাগ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। এরপর কথার প্যাচে প্রশ্ন করা হয়- ইনজয় করতে চান? যত ধরনের ফ্যাসিলিটি আছে দেব। ৫০০ থেকে শুরু করে ঘণ্টায় ১৫০০, ২০০০, ২৫০০ থেকে পুরো নাইটেরও ব্যবস্থা আছে বলে জানায় তারা।

 

সাত রাস্তা সড়কে জিহাদ নামের এক পথচারী বলেন, ‘আমিও ভাই অনেক দিন ধরেই ফুটপাতে এমন ভিজিটিং কার্ড পড়ে থাকতে দেখছি। আমারও আগ্রহ জাগে কার্ডগুলো কারা এখানে ফেলে রেখে যায় তা দেখতে। একদিন খেয়াল করলাম বোরকা পরা এক মেয়ে এমন বেশকিছু কার্ড ফুটপাতে ফেলে দ্রুত হাঁটা শুরু করল। পেছন থেকে ডাক দিলে ওই মহিলা হাঁটার গতি বাড়িয়ে কেটে পড়ল।’

 

তিনি জানান, আগে ফুটপাতে এই কার্ড কম দেখা যেতো। এখন প্রায় প্রতিদনই যেন কার্ডের সংখ্যা বাড়ছে। কোনো কোনো দিন ওরা দুই-তিনবার করে এসে এসব কার্ড ফেলে রেখে যায়। কৌতুহলে একদিন ফোন দিয়ে বুঝলাম আসল ঘটনা কী।

 

নতুন করে এমন দৃশ্য রাজধানীতে চোখে পড়লেও এই ব্যবসা পুরনো। তবে অপরাধীরা তাদের কৌশল পাল্টেছে।