ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

‘শয়তানের নিশ্বাস’ বা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ থেকে নিরাপদ থাকতে কী করবেন

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 86
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

Login
সর্বশেষ
রাজনীতি
বাংলাদেশ
অপরাধ
বিশ্ব
বাণিজ্য
মতামত
খেলা
বিনোদন
চাকরি
জীবনযাপন
Eng
By using this site, you agree to our Privacy Policy.
OK
ভিডিও
ছবি
ভিডিও

সুস্থতা
‘শয়তানের নিশ্বাস’ বা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ থেকে নিরাপদ থাকতে কী করবেন
ডা. আফলাতুন আকতার জাহান
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০: ০০
ফলো করুন
‘শয়তানের নিশ্বাস’ দিয়ে মানুষকে হিপনোটাইজ বা বশ করতে পারলে অপরাধীরা হাতিয়ে নেয় ব্যক্তির মূল্যবান জিনিসপত্র
‘শয়তানের নিশ্বাস’ দিয়ে মানুষকে হিপনোটাইজ বা বশ করতে পারলে অপরাধীরা হাতিয়ে নেয় ব্যক্তির মূল্যবান জিনিসপত্র

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অপরাধজগতে ‘শয়তানের নিশ্বাস’ বা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ আলোচিত বিষয়। এটি একধরনের ড্রাগ, যার নাম ‘স্কোপোলামিন’। এই ‘শয়তানের নিশ্বাস’ দিয়ে মানুষকে হিপনোটাইজ বা বশ করা হয়। আর একবার বশ করতে পারলে অপরাধীরা হাতিয়ে নেয় ব্যক্তির মূল্যবান জিনিসপত্র।

স্কোপোলামিন একধরনের সিনথেটিক ড্রাগ। এর মূল উপাদান আসে ধুতরা ফুল থেকে। ধুতরা ফুলের সঙ্গে আরও কিছু উপাদান যোগ করে তৈরি করা হয় স্কোপোলামিন। এটি তরল ও পাউডার—দুই রকমেরই হয়।

চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্কোপোলামিনের অনেক ব্যবহার আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি ‘ট্রুথ সেরাম’ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। প্রয়োগ করা হতো ইনজেকশনের মাধ্যমে। যার শরীরে প্রয়োগ করা হতো, তার মস্তিষ্কের যে নিয়ন্ত্রণক্ষমতা, সেটি চলে যেত। ফলে অন্যের কথামতো গোপন তথ্য দিয়ে দিত। শ্বাসের মাধ্যমে পাউডার নিলে শরীরে এর প্রভাব পড়ে তুলনামূলক দ্রুত। অপরাধীরা এ ক্ষেত্রে নিজেরা মাস্ক পরে থাকে। আর স্কোপোলামিন মাখানো ভিজিটিং কার্ড, কাগজ, মুঠোফোন মানুষের নাকের কাছাকাছি নিয়ে যায়, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি হিপনোটাইজ বা সম্মোহিত হয়ে যান। এরপর সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র নিজ থেকেই দিয়ে দেন।

 

স্কোপোলামিন একধরনের সিনথেটিক ড্রাগ। এর মূল উপাদান আসে ধুতরা ফুল থেকেছবি: উইকিপিডিয়া
আক্রান্ত ব্যক্তি এক থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসেন। তবে ওভারডোজ বা অতিরিক্ত মাত্রায় প্রয়োগ করা হলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। স্কোপোলামিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঝাপসা দেখা, মাথাব্যথা, অস্থির লাগতে থাকার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে অতিরিক্ত মাত্রার ফলে হার্টবিট বা হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, চোখের মণি বড় হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। হৃৎস্পন্দন অনেক বেড়ে গিয়ে অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।

করণীয় কী

রাস্তায় বা যানবাহনে চলাচলের সময় অপরিচিত কারও কাছ থেকে কোনো খাবার বা পানীয় খাওয়া যাবে না।

অপরিচিত কেউ ভিজিটিং কার্ড বা কাগজ মুখের সামনে ধরার চেষ্টা করলে সাবধান হতে হবে।

রাস্তায় চলাচলের সময় মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে শ্বাসের মাধ্যমে স্কোপোলামিন শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না।

সমস্যায় পড়লে নিকটস্থ থানা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে।

মাত্রাতিরিক্ত মনে হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

ডা. আফলাতুন আকতার জাহান, মেডিসিন স্পেশালিস্ট, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘শয়তানের নিশ্বাস’ বা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ থেকে নিরাপদ থাকতে কী করবেন

আপডেট সময় : ০৯:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

Login
সর্বশেষ
রাজনীতি
বাংলাদেশ
অপরাধ
বিশ্ব
বাণিজ্য
মতামত
খেলা
বিনোদন
চাকরি
জীবনযাপন
Eng
By using this site, you agree to our Privacy Policy.
OK
ভিডিও
ছবি
ভিডিও

সুস্থতা
‘শয়তানের নিশ্বাস’ বা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ থেকে নিরাপদ থাকতে কী করবেন
ডা. আফলাতুন আকতার জাহান
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০: ০০
ফলো করুন
‘শয়তানের নিশ্বাস’ দিয়ে মানুষকে হিপনোটাইজ বা বশ করতে পারলে অপরাধীরা হাতিয়ে নেয় ব্যক্তির মূল্যবান জিনিসপত্র
‘শয়তানের নিশ্বাস’ দিয়ে মানুষকে হিপনোটাইজ বা বশ করতে পারলে অপরাধীরা হাতিয়ে নেয় ব্যক্তির মূল্যবান জিনিসপত্র

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অপরাধজগতে ‘শয়তানের নিশ্বাস’ বা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ আলোচিত বিষয়। এটি একধরনের ড্রাগ, যার নাম ‘স্কোপোলামিন’। এই ‘শয়তানের নিশ্বাস’ দিয়ে মানুষকে হিপনোটাইজ বা বশ করা হয়। আর একবার বশ করতে পারলে অপরাধীরা হাতিয়ে নেয় ব্যক্তির মূল্যবান জিনিসপত্র।

স্কোপোলামিন একধরনের সিনথেটিক ড্রাগ। এর মূল উপাদান আসে ধুতরা ফুল থেকে। ধুতরা ফুলের সঙ্গে আরও কিছু উপাদান যোগ করে তৈরি করা হয় স্কোপোলামিন। এটি তরল ও পাউডার—দুই রকমেরই হয়।

চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্কোপোলামিনের অনেক ব্যবহার আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি ‘ট্রুথ সেরাম’ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। প্রয়োগ করা হতো ইনজেকশনের মাধ্যমে। যার শরীরে প্রয়োগ করা হতো, তার মস্তিষ্কের যে নিয়ন্ত্রণক্ষমতা, সেটি চলে যেত। ফলে অন্যের কথামতো গোপন তথ্য দিয়ে দিত। শ্বাসের মাধ্যমে পাউডার নিলে শরীরে এর প্রভাব পড়ে তুলনামূলক দ্রুত। অপরাধীরা এ ক্ষেত্রে নিজেরা মাস্ক পরে থাকে। আর স্কোপোলামিন মাখানো ভিজিটিং কার্ড, কাগজ, মুঠোফোন মানুষের নাকের কাছাকাছি নিয়ে যায়, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি হিপনোটাইজ বা সম্মোহিত হয়ে যান। এরপর সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র নিজ থেকেই দিয়ে দেন।

 

স্কোপোলামিন একধরনের সিনথেটিক ড্রাগ। এর মূল উপাদান আসে ধুতরা ফুল থেকেছবি: উইকিপিডিয়া
আক্রান্ত ব্যক্তি এক থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসেন। তবে ওভারডোজ বা অতিরিক্ত মাত্রায় প্রয়োগ করা হলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। স্কোপোলামিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঝাপসা দেখা, মাথাব্যথা, অস্থির লাগতে থাকার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে অতিরিক্ত মাত্রার ফলে হার্টবিট বা হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, চোখের মণি বড় হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। হৃৎস্পন্দন অনেক বেড়ে গিয়ে অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।

করণীয় কী

রাস্তায় বা যানবাহনে চলাচলের সময় অপরিচিত কারও কাছ থেকে কোনো খাবার বা পানীয় খাওয়া যাবে না।

অপরিচিত কেউ ভিজিটিং কার্ড বা কাগজ মুখের সামনে ধরার চেষ্টা করলে সাবধান হতে হবে।

রাস্তায় চলাচলের সময় মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে শ্বাসের মাধ্যমে স্কোপোলামিন শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না।

সমস্যায় পড়লে নিকটস্থ থানা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে।

মাত্রাতিরিক্ত মনে হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

ডা. আফলাতুন আকতার জাহান, মেডিসিন স্পেশালিস্ট, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা