ব্যক্তিগত জীবন
২০২৪-এর কোটা সংস্কার আন্দোলন
“ | স্যার! (মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা), এই মুহূর্তে আপনাকে ভীষণ দরকার স্যার! আপনার সমসাময়িক সময়ে যারা ছিলো সবাই তো মরে গিয়েছে। কিন্তু আপনি মরেও অমর। আপনার সমাধি আমাদের প্রেরণা। আপনার চেতনায় আমরা উদ্ভাসিত।আপনারাও প্রকৃতির নিয়মে একসময় মারা যাবেন। কিন্তু যতদিন বেচেঁ আছেন মেরুদণ্ড নিয়ে বাচুঁন। নায্য দাবিকে সমর্থন জানান, রাস্তায় নামুন, শিক্ষার্থীদের ঢাল হয়ে দাড়াঁন। প্রকৃত সম্মান এবং শ্রদ্ধা পাবেন। মৃত্যুর সাথে সাথেই কালের গর্ভে হারিয়ে যাবেন না। আজন্ম বেচেঁ থাকবেন শামসুজ্জোহা হয়ে। অন্তত একজন ‘শামসুজ্জোহা’ হয়ে মরে যাওয়াটা অনেক বেশি আনন্দের, সম্মানের আর গর্বের। | ” |
১৬ই জুলাই দুপুর ১২টা থেকেই রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় অঞ্চলে কোটা আন্দোলনকর্মীরা বিক্ষোভ করছিলো। আবু সাঈদ এই আন্দোলনের সম্মুখ ভাগেই অবস্থান করছিলো সবসময়।
মৃত্যু
বহিঃস্থ ভিডিও | |
---|---|
যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ঘটনার ভিডিও | |
রংপুরে সংঘর্ষের মাঝে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদ |
১৬ই জুলাই দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটার দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। ছাত্রদের সবাই সরে গেলেও আবু সাঈদ হাতে একটি লাঠি নিয়ে দুহাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে যান। এই অবস্থায় পুলিশ আনুমানিক ৫০-৬০ ফুট দূর থেকে তার উপর ছররা গুলি ছুড়ে।[১০] পুলিশের অবস্থানের জায়গাটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে। তারপরও অবস্থান থেকে সরেননি আবু সাঈদ, দাঁড়িয়েই ছিলেন। একপর্যায়ে কয়েকটি গুলি খেয়ে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মামলা
প্রতিক্রিয়া
১৭ই জুলাই ভারতীয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ফেসবুকে আবু সাঈদের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেন, “আজ, অস্থির লাগছে। আমিও তো সন্তানের জননী। আশা করবো বাংলাদেশ শান্ত হবে।”
২৬শে জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।১০ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ আবু সাঈদের বাড়িতে যান। সেখানে ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবারই সন্তান আবু সাঈদ। হিন্দু পরিবার হোক, মুসলমান পরিবার হোক, বৌদ্ধ পরিবার হোক—সবার ঘরের সন্তান এই আবু সাঈদ।”
কিংবদন্তি
তথ্যসূত্র
- ↑ ঝাঁপ দিন:ক খ “সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সাঈদের নামে হলের নামকরণ দাবি পরিবারের”। দৈনিক সমকাল। ২০২৪-০৮-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব; দিনাজপুর (২০২৪-০৭-১৬)। “পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, রংপুরে কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদ নিহত”। ডেইলি স্টার। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭।
- ↑ ঝাঁপ দিন:ক খ “রংপুরে যেভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন আন্দোলনকারী আবু সাঈদ”। দৈনিক প্রথম আলো। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪।
- ↑ ঝাঁপ দিন:ক খ “স্যার! এই মুহূর্তে আপনাকে ভীষণ দরকার, স্যার!”। প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪।
- ↑ “‘যতদিন বেঁচে আছেন মেরুদণ্ড নিয়ে বাঁচুন’ মৃত্যুর আগে আবু সাইদের বার্তা”। দৈনিক যুগান্তর। ১৭ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪।
- ↑ “আদরের ছোট ছেলে সাঈদের মৃত্যুতে পাগলপ্রায় মা, বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন”। দ্য ডেইলি স্টার বাংলা। ১৬ জুলাই ২০২৪। ২৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪।
- ↑ “বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন, জানাজায় মানুষের ঢল”। banglanews24.com। ১৭ জুলাই ২০২৪। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪।
- ↑ “‘যতদিন বেঁচে আছেন মেরুদণ্ড নিয়ে বাঁচুন’ মৃত্যুর আগে আবু সাইদের বার্তা”। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪।
- ↑ আনাম, মাহফুজ (২০২৪-০৭-১৮)। “কেন আবু সাঈদকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হলো?”। The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৪।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৯-২৫)। “পুলিশের ছররা গুলিতেই আবু সাঈদের মৃত্যু”। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৪।
- ↑ রায়হান, জহির (২৮ জুলাই ২০২৪)। “গুলিতে ঝাঁঝরা সাঈদের বুক, পুলিশ বলছে উল্টো কথা”। প্রথম আলো। ২৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৪।
- ↑ ওয়াদুদ, তুহিন (৩০ জুলাই ২০২৪)। “আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: মানুষ যা দেখছে, মামলার বাদী কি তা দেখেননি”। প্রথম আলো। ৩০ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২৪।
- ↑ “কোটা আন্দোলন: আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের বয়ান ও দেশজুড়ে যেভাবে অভিযান চলছে”। বিবিসি বাংলা। ২৭ জুলাই ২০২৪। ২৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৪।
- ↑ রায়হান, জহির (১ আগস্ট ২০২৪)। “আবু সাঈদ হত্যা মামলায় কিশোর গ্রেপ্তার, ১২ দিন ধরে কারাগারে”। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ “রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কিশোরের জামিন”। প্রথম আলো। ১ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (১৩ আগস্ট ২০২৪)। “আবু সাঈদ হত্যা: বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা”। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ “রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে লক্ষ্য করে পুলিশের গুলি, ঠিক কী ঘটেছিল?”। বিবিসি বাংলা। ১৭ জুলাই ২০২৪। ২৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪।
- ↑ “আবু সাঈদের ছবি পোস্ট করে ভারতের অভিনেত্রী স্বস্তিকা লিখলেন, ‘অস্থির লাগছে'”। প্রথম আলো। ১৮ জুলাই ২০২৪। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪।
- ↑ “আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন”। প্রথম আলো। ২৬ জুলাই ২০২৪। ৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৪।
- ↑ “হিন্দু , মুসলমান, বৌদ্ধ পরিবার হোক—সবার ঘরের সন্তান এই আবু সাঈদ: রংপুরে ড. ইউনূস”। প্রথম আলো। ১০ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ ফরায়জী, শহীদুল্লাহ। “প্রজন্মের বীর আবু সাঈদ”। মানবজমিন। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭।
- ↑ “রংপুর পার্ক মোড়ের নাম ’আবু সাঈদ চত্বর’ দিলেন শিক্ষার্থীরা”। সময় টিভি। ১৭ জুলাই ২০২৪।
- ↑ “বেরোবিতে নিহত আবু সাঈদের নামে চত্বর ও গেট উদ্বোধন”। নয়া শতাব্দী। ২০২৪-০৮-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭।