শান্তর নীরব সাহসিকতা:অধিনায়কত্ব ছাড়ার নতুন দৃষ্টান্ত

- আপডেট সময় : ০৬:০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
- / 105
শান্ত চাইলেই চোখ বন্ধ করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত অধিনায়ক থাকতে পারতেন। তবে শান্ত যেই গাটস দেখিয়েছেন সেই গাটস মুশফিক, মাশরাফি, রিয়াদ দেখাতে পারেনি।
মাশরাফি ২০১৯ বিশ্বকাপে জঘন্য পারফরম্যান্স করেও নিজে থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেননি। বোর্ডের চাপে পড়ে অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন।
মুশফিককেও ২০১৪ সালে বোর্ড ক্যাপ্টেন্সি থেকে বাধ্য হয়ে সরিয়েছিল। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একটা ম্যাচ ও জিততে পারে নি, পাশাপাশি ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাছাইপর্বে হংকংয়ের সাথে লজ্জাজনক হার এবং সুপার টেনে এক ম্যাচ না জিতার পরেও মুশফিক নিজে থেকে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়েননি। মুশফিকের অধীনে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ দল খুবই বাজে একটা বছর কাটিয়েছিল। হংকংয়ের পাশাপাশি নব্য আফগানিস্তানের কাছেও হেরেছিল এশিয়া কাপে। তবুও মুশফিক নিজে থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়েননি।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অধীনে বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের সাথে হারলো। সুপার টুয়েলভে একটা ম্যাচও জিতলো না। পাশাপাশি সাউথ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের সাথে জঘন্যভাবে হারার পরেও নিজের থেকে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার কথা ভাবেননি।
কিন্ত এইদিক দিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত যেই গাটস শো করেছেন তা বাংলাদেশ ক্রিকেটে একটা দৃষ্টান্ত বলেই আমি মনে করি। কারণ বাংলাদেশের কেউই নিজে থেকে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে চায় না। তামিম নিজে থেকে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়লেও ড্রামা করে ছেড়েছেন। সাকিব প্রথম যখন ক্যাপ্টেন হয়েছিল তাকেও ক্যাপ্টেন্সি থেকে স্যাক করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে সাকিব শেষবার যখন ক্যাপ্টেন্সি ছেড়েছেন সেটা একেবারেই নীরবে স্বেচ্ছায় ছেড়েছেন।
শান্ত সাকিবের একজন ভক্ত ছোটবেলা থেকেই। তাইতো শেষবেলায় সাকিব যেভাবে ক্যাপ্টেন্সি ছেড়েছেন ঠিক সেইম স্টাইলে শান্তও সাকিবকে অনুকরণ করলেন। কাউকে কোনো অভিযোগ না জানিয়ে স্বেচ্ছায় নীরবেই অধিনায়কত্বটা ছেড়ে দিচ্ছেন।