শাহবাগে সভা-সমাবেশ করা যাবে না
- আপডেট সময় : ০৬:১০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১০৩ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে সভা-সমাবেশ করলে জনসাধারণকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এজন্য শাহবাগের পরিবর্তে বিভিন্ন দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা ও সমাবেশ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাস্তাঘাটে সমাবেশ করতে গেলে যানজট তৈরি হয়। জনভোগান্তি দূর করতে শাহবাগের মোড়ের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যদি সমাবেশটা করে তাতে জনভোগান্তি অনেক কম হয়।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা সবাইকে রিকোয়েস্ট করব, শাহবাগের পরিবর্তে যেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিবাদ বা সভা সমাবেশ করে।
সভায় সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে করণীয়, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি প্রতিরোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।
সভায় ইজতেমা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তবে ডেট এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। বিশ্ব ইজতেমা কীভাবে ভালোভাবে হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে এখন দুইটা গ্রুপ হয়ে গেছে। তাদের ভেতরে কিছু মতেরও পাথ্যর্ক আছে।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা তাদের সাথে বসব যাতে তারা সবাই একটা ঐক্যমতে এসে যাতে ভালোভাবে করতে পারে। এটা খুবই ভালো একটা অনুষ্ঠান, আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য বিরাট একটা অনুষ্ঠান। এখানে বহু হুজুর যান এবং বহু দিক নির্দেশনা আসে। আমরা তাদের অনুরোধ করব, যেহেতু তারা মুরব্বি, সমাজকে দিক নির্দেশনা দেবেন। আমরা তাদের বলব, আপনাদের নিজেদের ভেতরে যে সমস্যাটা রয়েছে সেটা নিজেরা সমাধান করতে পারলে আমাদের জন্য ভালো। আর যদি নিজেরা সমাধান করতে না পারে তাহলে আমরা বসতে পারি, কীভাবে সমাধান করে অনুষ্ঠানটি ভালোভাবে করা যায় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সভায় সাম্প্রতিক বিভিন্ন আন্দোলন-সমাবেশে উস্কানিদাতাদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জামিনে মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কোনো ধরনের অপরাধে লিপ্ত হলে দ্রুত গ্রেফতারের ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত হয়।