ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড. ইউনূসকে সভাপতি করে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন আপা আপা বলা তানভীর নিজেই আ.লীগের হাতে নির্যাতিত, আছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভল্টের টাকায় অবৈধ বাণিজ্য বিডিআর বিদ্রোহের বিচার পুনরায় করা সম্ভব? সংলাপ, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে যে প্রক্রিয়ায় এগোতে চায় সরকার এবার সরকারের কাছে ৬৩ কোটি ডলার সুদ চাইল রাশিয়া এফবিসিসিআই সভাপতির পদত‍্যাগ, প্রশাসক নিয়োগ তারল্য বাড়াতে ‘বিশেষ ধার’ আগামী সপ্তাহে ৭ হাজার কোটিতে নির্মিত তিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ গার্মেন্টসে থামছে না অস্থিরতা চাকরি গেল আরো দুই লেফটেন্যান্ট জেনারেলের ওষুধের বাজারে উত্তাপ ব্যাংকিং খাত সংস্কারে ৬ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন সড়ক পরিবহনে আসছে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ গরুর দিয়ে পাট নিতে চায় পাকিস্তানি সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন, নেতৃত্বে যারা সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ, কমিশনের দায়িত্বে শাহদীন মালিক ছয় বিশিষ্ট নাগরিককের নেতৃত্বে সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার শিগগিরই মেট্রোরেলের বন্ধ থাকা স্টেশন চালু হচ্ছে বিদ্যুতের পাওনা চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন গৌতম আদানি

শিল্পীদের ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশটে যা পাওয়া গেল

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫১৫৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন বেশির ভাগ শোবিজ তারকা। তবে বিপরীতেও ছিলেন অনেকেই। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের আমলে সুবিধাভোগী বেশ কজন তারকা এ আন্দোলনের সময় ঘৃণা ছড়িয়েছেন। সে সংক্রান্ত একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে।

‘আলো আসবেই’ নামক একটি চ্যাটগ্রুপে কজন শিল্পী ও সাংবাদিককে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায়। সেখানে থেকে পাওয়া যায় অভিনয়শিল্পী অরুণা বিশ্বাস, জায়েদ খান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, রিয়াজ, অভিনেত্রী সোহানা সাবা, তারিন জাহান, তানভীর সুইটিসহ বেশ কজনের নাম।

সেখানে কজনের কথোপকথনে দেখা যায় একজন লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন। ফায়ার সার্ভিস ও গণমাধ্যমকর্মীদের ঢুকতে দিচ্ছে না টোকাই জামায়াত ও শিবিরের মেধাবী আন্দোলনকারীরা। এরপর বিপরীতে অরুণা বিশ্বাস উত্তরে বলেন, গরম জল দিলেই হবে।

অন্য একটি পোস্টে একজন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে করা একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, অস্ট্রেলিয়ায় বসে আল কায়দার মতো জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। তার মতো নোংরা, লোভী, হিংসুটে, হিংস্র, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক মেধাবী এই মহাদেশে আর আসেনি, আর আসবেও না।

স্ক্রিনশটগুলো এরইমধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচনার তৈরি করেছে। এরমধ্যে অনেকেই অরুণা বিশ্বাসসহ ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়াদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে স্ক্রিনশটের বিষয়ে সেই গ্রুপের অন্যতম সদস্য অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি গণমাধ্যকে বলেন, আমাদের এমন একটি গ্রুপ ছিল, এটা সত্য। সেখানে আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন দেওয়ার বিষয় নিয়ে লিখেছিলাম। সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরও যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমার কাছে বিষয়টি খারাপ লেগেছে যে, হাসপাতালে কীভাবে মানুষ আগুন দেয়? সেখানে তো আমার-আপনার পরিবারের সদস্যরাই জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসে।

এ অভিনেত্রী বলেন, আপনি হয়তো দেখেছেন, আমি কিন্তু কোনো ছাত্রদের দায়ী করিনি হাসপাতালে আগুন দেওয়ার ঘটনায়। আর এ-ও বলতে চাই, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে হয়তো আমরা অনেকে ছিলাম। কিন্তু সবার মনমানসিকতা এক না। শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা কারও প্রত্যাশার নয়। এটা অমানবিক। তবে অন্যের ভাবনা নিয়ে আমি তো কিছু বলার অধিকার রাখি না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিল্পীদের মধ্যে দুটি দল লক্ষ্য করা যায়। যাদের মধ্যে কেউ ছিলেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে। অন্য দল আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে। নেটমাধ্যমে সরব ছিলেন দুটি দলই।

এদের মধ্যে একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও চিত্রনায়ক রিয়াজ। ওই গ্রুপের বাকি সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, অভিনেতা সাজু খাদেমসহ আরও অনেকে।

ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে সক্রিয় ছিল এই দলটি। আর সেই পরিকল্পনা থেকেই ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছিলেন তারা। যেখানে আন্দোলনকালীন সময়ে তাদের মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে চলতো কথোপকথন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘আলো আসবেই’ নামক সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলছেন শোবিজেরই কয়েকজন। শুধু তাই নয়, সেই সময়ের ফেরদৌস-আরাফাত-রিয়াজের কিছু চাঞ্চল্যকর কথোপকথনও রয়েছে, যা শিউরে ওঠার মতো।

এর মধ্যে একজনকে আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার মতো ভয়ংকর কথা বলতেও শোনা যায়। স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে নির্মাতারাও এ ঘটনায় আওয়াজ তুলেছেন। পাশাপাশি শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

এদিকে স্ক্রিনশটের বিষয়ে সেই গ্রুপের অন্যতম সদস্য অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি গণমাধ্যকে বলেন, আমাদের এমন একটি গ্রুপ ছিল, এটা সত্য। সেখানে আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন দেওয়ার বিষয় নিয়ে লিখেছিলাম। সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরও যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমার কাছে বিষয়টি খারাপ লেগেছে যে, হাসপাতালে কীভাবে মানুষ আগুন দেয়? সেখানে তো আমার-আপনার পরিবারের সদস্যরাই জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসে।

অভিনেত্রী বলেন, আপনি হয়তো দেখেছেন, আমি কিন্তু কোনো ছাত্রদের দায়ী করিনি হাসপাতালে আগুন দেওয়ার ঘটনায়। আর এ-ও বলতে চাই, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে হয়তো আমরা অনেকে ছিলাম। কিন্তু সবার মনমানসিকতা এক না। শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা কারও প্রত্যাশার নয়। এটা অমানবিক। তবে অন্যের ভাবনা নিয়ে আমিতো কিছু বলার অধিকার রাখি না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শিল্পীদের ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশটে যা পাওয়া গেল

আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন বেশির ভাগ শোবিজ তারকা। তবে বিপরীতেও ছিলেন অনেকেই। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের আমলে সুবিধাভোগী বেশ কজন তারকা এ আন্দোলনের সময় ঘৃণা ছড়িয়েছেন। সে সংক্রান্ত একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে।

‘আলো আসবেই’ নামক একটি চ্যাটগ্রুপে কজন শিল্পী ও সাংবাদিককে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায়। সেখানে থেকে পাওয়া যায় অভিনয়শিল্পী অরুণা বিশ্বাস, জায়েদ খান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, রিয়াজ, অভিনেত্রী সোহানা সাবা, তারিন জাহান, তানভীর সুইটিসহ বেশ কজনের নাম।

সেখানে কজনের কথোপকথনে দেখা যায় একজন লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন। ফায়ার সার্ভিস ও গণমাধ্যমকর্মীদের ঢুকতে দিচ্ছে না টোকাই জামায়াত ও শিবিরের মেধাবী আন্দোলনকারীরা। এরপর বিপরীতে অরুণা বিশ্বাস উত্তরে বলেন, গরম জল দিলেই হবে।

অন্য একটি পোস্টে একজন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে করা একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, অস্ট্রেলিয়ায় বসে আল কায়দার মতো জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। তার মতো নোংরা, লোভী, হিংসুটে, হিংস্র, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক মেধাবী এই মহাদেশে আর আসেনি, আর আসবেও না।

স্ক্রিনশটগুলো এরইমধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচনার তৈরি করেছে। এরমধ্যে অনেকেই অরুণা বিশ্বাসসহ ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়াদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে স্ক্রিনশটের বিষয়ে সেই গ্রুপের অন্যতম সদস্য অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি গণমাধ্যকে বলেন, আমাদের এমন একটি গ্রুপ ছিল, এটা সত্য। সেখানে আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন দেওয়ার বিষয় নিয়ে লিখেছিলাম। সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরও যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমার কাছে বিষয়টি খারাপ লেগেছে যে, হাসপাতালে কীভাবে মানুষ আগুন দেয়? সেখানে তো আমার-আপনার পরিবারের সদস্যরাই জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসে।

এ অভিনেত্রী বলেন, আপনি হয়তো দেখেছেন, আমি কিন্তু কোনো ছাত্রদের দায়ী করিনি হাসপাতালে আগুন দেওয়ার ঘটনায়। আর এ-ও বলতে চাই, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে হয়তো আমরা অনেকে ছিলাম। কিন্তু সবার মনমানসিকতা এক না। শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা কারও প্রত্যাশার নয়। এটা অমানবিক। তবে অন্যের ভাবনা নিয়ে আমি তো কিছু বলার অধিকার রাখি না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিল্পীদের মধ্যে দুটি দল লক্ষ্য করা যায়। যাদের মধ্যে কেউ ছিলেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে। অন্য দল আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে। নেটমাধ্যমে সরব ছিলেন দুটি দলই।

এদের মধ্যে একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও চিত্রনায়ক রিয়াজ। ওই গ্রুপের বাকি সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, অভিনেতা সাজু খাদেমসহ আরও অনেকে।

ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে সক্রিয় ছিল এই দলটি। আর সেই পরিকল্পনা থেকেই ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছিলেন তারা। যেখানে আন্দোলনকালীন সময়ে তাদের মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে চলতো কথোপকথন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘আলো আসবেই’ নামক সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলছেন শোবিজেরই কয়েকজন। শুধু তাই নয়, সেই সময়ের ফেরদৌস-আরাফাত-রিয়াজের কিছু চাঞ্চল্যকর কথোপকথনও রয়েছে, যা শিউরে ওঠার মতো।

এর মধ্যে একজনকে আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার মতো ভয়ংকর কথা বলতেও শোনা যায়। স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে নির্মাতারাও এ ঘটনায় আওয়াজ তুলেছেন। পাশাপাশি শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

এদিকে স্ক্রিনশটের বিষয়ে সেই গ্রুপের অন্যতম সদস্য অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি গণমাধ্যকে বলেন, আমাদের এমন একটি গ্রুপ ছিল, এটা সত্য। সেখানে আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন দেওয়ার বিষয় নিয়ে লিখেছিলাম। সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরও যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমার কাছে বিষয়টি খারাপ লেগেছে যে, হাসপাতালে কীভাবে মানুষ আগুন দেয়? সেখানে তো আমার-আপনার পরিবারের সদস্যরাই জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসে।

অভিনেত্রী বলেন, আপনি হয়তো দেখেছেন, আমি কিন্তু কোনো ছাত্রদের দায়ী করিনি হাসপাতালে আগুন দেওয়ার ঘটনায়। আর এ-ও বলতে চাই, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে হয়তো আমরা অনেকে ছিলাম। কিন্তু সবার মনমানসিকতা এক না। শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা কারও প্রত্যাশার নয়। এটা অমানবিক। তবে অন্যের ভাবনা নিয়ে আমিতো কিছু বলার অধিকার রাখি না।