শিশুদের রক্ত আমাশয় হলে করণীয়?
- আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৫০২৫ বার পড়া হয়েছে
শিশুর রক্ত আমাশয় কেন হয়?
শিশু যখন সদ্য হাঁটা শেখে, হুটহাট করে মেঝেতে পড়া নানারকম জিনিসপত্র মুখে দিয়ে দেয় তখন অনেকরকম রোগব্যাধির সংক্রমণ হয়। এরমধ্যে অন্যতম হলো পেটের ওসুখ। অনেক সময় শিশু কোনো কারণ ছাড়াই ঘ্যানঘ্যান করে, পরে দেখা যায় মলের সঙ্গে হঠাৎ রক্ত বের হচ্ছে। রক্ত-আমাশয় বলা হয় এই উপসর্গকে। তবে এটি হলে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
আমাশয় হলো অন্ত্রের ইনফেকশন বা সংক্রমণ। মূলত জীবাণুঘটিত রোগ। আমাশয়ের কারণে প্রাথমিকভাবে খুব কষ্ট হলেও এতে প্রাণহানীর কোনো আশঙ্কা থাকে না। তবে আমাশয় দীর্ঘদিন নিরাময় না হলে প্রাণহানীর শঙ্কাও থাকে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাশয় হওয়ার পেছনে কিছু কারণ থাকে-
১. সংক্রমিত খাবার থেকে হতে পারে।
উপসর্গ
ডায়রিয়ার সঙ্গে রক্তপাত, পেটব্যথা, ক্লান্তি, জ্বর, খাবারে অরুচি, পেট ফাঁপা, ওজন হ্রাস, ইত্যাদি এ সংক্রমণের উপসর্গ। অ্যামিবা অন্ত্রের দেয়ালে আলসার বা ক্ষত তৈরির পাশাপাশি রক্তনালীর মাধ্যমে রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করতে পারে এবং শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে সংক্রমণ করে। সাধারণত লিভার সংক্রমণ বেশি হয়। তবে মস্তিষ্ক, ফুসফুস, কিডনি, প্লীহাতেও যেতে পারে এবং আক্রান্ত অঙ্গে এমিবিক ফোঁড়া হতে পারে। যা দ্রুত চিকিৎসা করা না হলে মারাত্মক জটিলতার আশঙ্কা থাকে।
রোগ নির্ণয়
রোগের লক্ষণ এবং রোগের সঠিক ইতিহাস শুনেই মূলত এই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। মল ও রক্ত পরীক্ষা ছাড়াও আল্ট্রাসাউন্ড ও সিটি স্ক্যানের মতো পরীক্ষার মাধ্যমে এন্টামোইবা হিস্টোলাইটিকা সংক্রমণ নির্ণয় করা যেতে পারে।
মলে প্রধানত সিস্ট এবং কখনো কখনো ট্রফোজয়েট (ফ্রেশ মল) মাইক্রোস্কোপে দেখেও আমরা রোগ নির্ণয় করতে পারি। তাছাড়া অ্যান্টিজেন-অ্যান্টিবডি নির্ণয় এবং পিসিআর করেও এই জীবাণু চিহ্নিত করা সম্ভব।
প্রতিরোধ
এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা প্রতিরোধের জন্য স্যানিটেশন ব্যাবস্থার উন্নতি করতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। খাবার খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পরে অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। পানি ফুটিয়ে খেতে হবে। মছি বা তেলাপোকা যেন খাবার দূষিত করতে না পারে, সে খেয়াল রাখতে হবে। কাঁচা বা সবুজ সালাদ-ফলমূল ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে খেতে হবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দিতে হবে।