শীতে বাড়ে টনসিলে ব্যথা
- আপডেট সময় : ০৪:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 36
শীতকাল শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে সারা দেশেই ঘন কুয়াশার সঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল হাওয়ায় কারণে শীতের তীব্রতা বেশি। তাই ঘরে কিংবা বাইরে শীতের পোশাক ছাড়া থাকা যাচ্ছে না।
শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পায়। এ সময় ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগ বেশি হয়। শীতে ঠান্ডা লাগা থেকে টনসিলে ব্যথা শুরু হতে পারে।
ঢোক গিলতে গিয়ে যদি ব্যথা কিংবা কথা বলতে গেলে গলায় কষ্ট হলে বুঝতে হবে এসব টনসিল ব্যথার লক্ষণ। ব্যাকটেরিয়া টনসিল ব্যথার মূল কারণ। এ ছাড়া ভাইরাস, অ্যালার্জি এবং মুখগহ্বর ঠিকমতো পরিষ্কার করা না হলেও এ ব্যথা হতে পারে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী বলেন, ‘গলার ভেতরে দুইদিকে দুটি গ্রন্থিই হচ্ছে টনসিল। টনসিল আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। টনসিল মুখ-গলা, নাক, কান দিয়ে জীবাণু প্রবেশে বাধা প্রদান করে। মোটকথা, যেসব জীবাণু মুখগহ্বর ও নাকের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে, সেসব জীবাণুকে প্রতিহত করে।’
লক্ষণ
১. গলা ব্যথা ও জ্বর হতে পারে।
২. খাবার খেতে কিংবা ঢোক গিলতে সমস্যা হতে পারে।
৩. পানি পান করার সময়ও ব্যথা হতে পারে।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরীর মতে, শীতে টনসিল ব্যথা দেখা দিলে হালকা গরম পানি পান করতে হবে। এ সময় অবশ্যই শীতের পোশাক পরতে হবে। গলায় ঠান্ডা লাগানো যাবে না। এ সময় লবণ মিশ্রিত কুসুম গরম পানি দিয়ে বারবার কুলি করতে হবে। আবার লেবু কিংবা আদা চা পান করতে হবে। এসব উপাদানে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
ডা. শুভাগত চৌধুরী আরও মনে করেন, টনসিল ব্যথা হলে গলার স্বরকে বিশ্রাম দিতে হবে। উচ্চস্বরে কথা বলা যাবে না। তরল খাবার খেতে হবে। গলা ব্যথা না কমা পর্যন্ত শক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এ ছাড়া খাবার খাওয়ার পর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। যদি টনসিল ব্যথার কারণে বেশি সমস্যা মনে হলে বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।