ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতাবান ইলন মাস্কের সঙ্গে যে আলোচনা হলো ড. ইউনূসের শ্যামল দত্তের অ্যাকাউন্টে ১০৪২ কোটি টাকার লেনদেন কিভাবে পারে এত পাষণ্ড হতে, হাসিনাকে বললেন আসিফ নজরুল জাতিসংঘের রিপোর্ট ‘শেখ হাসিনার নির্দেশেই গুলি’! তসলিমার ‘চুম্বন’ প্রকাশকের জয় বাংলা স্লোগান, মব জাস্টিস উস্কে দেয়ার ভারতীয় প্ল্যান? জরুরি ওষুধেও ব্যবসার ফাঁদ:ওষুধের বাজারে অরাজকতা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ড. ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ৬ ডিসেম্বর ধানমন্ডি ৩২: প্রতিশোধের ক্রোধে উন্মাদ প্রায় শেখ হাসিনা

শুভ জন্মদিন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী “আমাদের ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস”

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
  • / 83
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০১৬ তে রিও ডি জেনেরিও তে অলিম্পিক গেমস এর ওপেনিং সিরোমনি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। টিভির সামনে বসে আছি। টিভি পর্দায় ভেসে উঠে একজন বাংলাদেশীর চেহারা। অলিম্পিক মশাল বহন করছেন আমাদের ডঃ ইউনুস।

বার্সার ফেসবুক পেইজ আমার সি ফাস্ট করা। একদিন ফুটবল ক্লাব বার্সার ফেসবুকে পেইজে দেখতে পেলাম আমার স্বপ্নের প্লেয়ার মেসি,পিকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে বার্সার ন্যু ক্যাম্প ভিজিট করতে আসা একজন অতিথির সাথে হ্যান্ডশেক করতে।
সেই অতিথি আর কেউ না, উনি আমাদের ডঃ ইউনুস!

পৃথিবীতে সাত জন মাত্র ব্যাক্তি আছেন যারা একসঙ্গে নোবেল, আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল এওয়ার্ড আর কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল এই তিনটি পুরষ্কার পেয়েছেন।
এরা হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা, মারটিন লুথার কিং, মাদার তেরেসা প্রমুখ।
আর সপ্তম ব্যাক্তিটি হচ্ছেন আমাদের ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস!

Fortune Magazine এ সারা বিশ্বের টপ ১২ জন উদ্যোক্তার লিস্ট তৈরি করলেন, সেখানে বিল গেটস আছেন, স্টিভ জবস আছেন।
আর আছেন আমাদের ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস।

-জানলে অবাক হবেন জাপানের সিনিয়র হাই স্কুলের ইংরেজি টেক্সট বইতে আমাদের ডাক্তার ইউনুসকে নিয়ে একটা চ্যাপ্টার আছে।
সব স্কুল ছাত্রছাত্রীরা ওনাকে চেনেন। আমরা যেমন ছোটবেলায় ফুটবলার পেলে-র গল্প পড়েছি, মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর গল্প পড়েছি- এমন।

একবার পত্রিকায় প্রফেসর ইউনুসের জাপানে আগমন বার্তা শুনে যোগাযোগ করলেন জাপানের ক্রাউন প্রিন্সেস মাসাকো সামার অ্যাসিস্ট্যান্ট।
মাসাকো সামার বাবা প্রফেসর হিসাশি অওয়াদা একসময় প্রফেসর ইউনুসের সাথে জাতিসঙ্ঘের বোর্ড মেম্বার ছিলেন।
নিজের বাবার কাছেই প্রফেসর ইউনুসের গল্প শুনেছিলেন। ক্রাউন প্রিন্স নারুহিতো প্রফেসর ইউনুসকে আমন্ত্রণ জানালেন অন্দরমহলের একটা রাজ রুমে। যেখানে অনেক ভি,আই,পিদের ও অ্যাক্সেস নেই!

মামলা অথবা ওয়ারেন্ট জারী হওয়া ছাড়া প্রফেসর ইউনুসকে নিয়ে এই দেশের মিডিয়ায় কোন সংবাদ হয় না।কিন্তু বিশ্বের যেকোন দেশে প্রফেসর ইউনুস সেমিনার করলে,বক্তব্য রাখলে সে নিউজ ওদের মিডিয়ায় প্রাইম টাইমের হেড নিউজ হয়।

আহা আমাদের দূর্ভাগ্য! আমরা জাতি হিসাবে কত অভাগা ,জাতি হিসাবে কত হীনমন্য।

প্রয়াত লেখক হুমায়ন আহমেদ লিখেছিলেন,
-“অধ্যাপক ইউনূস যখন নোবেল পুরস্কার পান, তখন আমি নাটকের একটা ছোট্ট দল নিয়ে কাঠমান্ডুর হোটেল এভারেস্টে থাকি। হোটেলের লবিতে বসে চা খাচ্ছি, হঠাৎ আমার ইউনিটের একজন চেঁচাতে চেঁচাতে ছুটে এল। সে বলছে, ‘স্যার, আমরা নোবেল পুরস্কার পেয়েছি। স্যার, আমরা নোবেল পুরস্কার পেয়েছি।’
সে বলেনি অধ্যাপক ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। সে বলেছে আমরা পেয়েছি। অধ্যাপক ইউনূসের এই অর্জন হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্জন।
আমার মনে আছে, এই আনন্দ সংবাদ শোনার পর আমি শুটিং বাতিল করে উৎসবের আয়োজন করি। সেই উৎসবের শিখা আমি বুকের ভেতর এখনো জ্বালিয়ে রেখেছি।
দেশের বাইরে যখন সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে যাই, তখন আগের মতো হীনম্মন্যতায় ভুগি না। কারণ, এই সবুজ পাসপোর্ট অধ্যাপক ইউনূসও ব্যবহার করেন।”

শুভ জন্মদিন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী
“আমাদের ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শুভ জন্মদিন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী “আমাদের ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস”

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

২০১৬ তে রিও ডি জেনেরিও তে অলিম্পিক গেমস এর ওপেনিং সিরোমনি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। টিভির সামনে বসে আছি। টিভি পর্দায় ভেসে উঠে একজন বাংলাদেশীর চেহারা। অলিম্পিক মশাল বহন করছেন আমাদের ডঃ ইউনুস।

বার্সার ফেসবুক পেইজ আমার সি ফাস্ট করা। একদিন ফুটবল ক্লাব বার্সার ফেসবুকে পেইজে দেখতে পেলাম আমার স্বপ্নের প্লেয়ার মেসি,পিকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে বার্সার ন্যু ক্যাম্প ভিজিট করতে আসা একজন অতিথির সাথে হ্যান্ডশেক করতে।
সেই অতিথি আর কেউ না, উনি আমাদের ডঃ ইউনুস!

পৃথিবীতে সাত জন মাত্র ব্যাক্তি আছেন যারা একসঙ্গে নোবেল, আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল এওয়ার্ড আর কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল এই তিনটি পুরষ্কার পেয়েছেন।
এরা হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা, মারটিন লুথার কিং, মাদার তেরেসা প্রমুখ।
আর সপ্তম ব্যাক্তিটি হচ্ছেন আমাদের ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস!

Fortune Magazine এ সারা বিশ্বের টপ ১২ জন উদ্যোক্তার লিস্ট তৈরি করলেন, সেখানে বিল গেটস আছেন, স্টিভ জবস আছেন।
আর আছেন আমাদের ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস।

-জানলে অবাক হবেন জাপানের সিনিয়র হাই স্কুলের ইংরেজি টেক্সট বইতে আমাদের ডাক্তার ইউনুসকে নিয়ে একটা চ্যাপ্টার আছে।
সব স্কুল ছাত্রছাত্রীরা ওনাকে চেনেন। আমরা যেমন ছোটবেলায় ফুটবলার পেলে-র গল্প পড়েছি, মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর গল্প পড়েছি- এমন।

একবার পত্রিকায় প্রফেসর ইউনুসের জাপানে আগমন বার্তা শুনে যোগাযোগ করলেন জাপানের ক্রাউন প্রিন্সেস মাসাকো সামার অ্যাসিস্ট্যান্ট।
মাসাকো সামার বাবা প্রফেসর হিসাশি অওয়াদা একসময় প্রফেসর ইউনুসের সাথে জাতিসঙ্ঘের বোর্ড মেম্বার ছিলেন।
নিজের বাবার কাছেই প্রফেসর ইউনুসের গল্প শুনেছিলেন। ক্রাউন প্রিন্স নারুহিতো প্রফেসর ইউনুসকে আমন্ত্রণ জানালেন অন্দরমহলের একটা রাজ রুমে। যেখানে অনেক ভি,আই,পিদের ও অ্যাক্সেস নেই!

মামলা অথবা ওয়ারেন্ট জারী হওয়া ছাড়া প্রফেসর ইউনুসকে নিয়ে এই দেশের মিডিয়ায় কোন সংবাদ হয় না।কিন্তু বিশ্বের যেকোন দেশে প্রফেসর ইউনুস সেমিনার করলে,বক্তব্য রাখলে সে নিউজ ওদের মিডিয়ায় প্রাইম টাইমের হেড নিউজ হয়।

আহা আমাদের দূর্ভাগ্য! আমরা জাতি হিসাবে কত অভাগা ,জাতি হিসাবে কত হীনমন্য।

প্রয়াত লেখক হুমায়ন আহমেদ লিখেছিলেন,
-“অধ্যাপক ইউনূস যখন নোবেল পুরস্কার পান, তখন আমি নাটকের একটা ছোট্ট দল নিয়ে কাঠমান্ডুর হোটেল এভারেস্টে থাকি। হোটেলের লবিতে বসে চা খাচ্ছি, হঠাৎ আমার ইউনিটের একজন চেঁচাতে চেঁচাতে ছুটে এল। সে বলছে, ‘স্যার, আমরা নোবেল পুরস্কার পেয়েছি। স্যার, আমরা নোবেল পুরস্কার পেয়েছি।’
সে বলেনি অধ্যাপক ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। সে বলেছে আমরা পেয়েছি। অধ্যাপক ইউনূসের এই অর্জন হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্জন।
আমার মনে আছে, এই আনন্দ সংবাদ শোনার পর আমি শুটিং বাতিল করে উৎসবের আয়োজন করি। সেই উৎসবের শিখা আমি বুকের ভেতর এখনো জ্বালিয়ে রেখেছি।
দেশের বাইরে যখন সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে যাই, তখন আগের মতো হীনম্মন্যতায় ভুগি না। কারণ, এই সবুজ পাসপোর্ট অধ্যাপক ইউনূসও ব্যবহার করেন।”

শুভ জন্মদিন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী
“আমাদের ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস”