ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা!

শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 35
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) থেকে গুমের অভিযোগে দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে এই পরোয়ানার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি। তিনি এই অভিযোগের যথার্থতা এবং প্রমাণের অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সাবেক এই হাইকমিশনার উল্লেখ করেছেন যে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএন হিউম্যান রাইটস কমিশন এই বিষয়ে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি।

এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বীণা সিক্রি বলেন, “শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, যা গুমের অভিযোগে জারি করা হয়েছে। প্রথমটি ছিল তথাকথিত গণহত্যার অভিযোগে, তবে সেসময়ও কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ বা তথ্য দেওয়া হয়নি। ইউএন হিউম্যান রাইটস কমিশনকে যখন জুলাই-আগস্টে গুম হওয়া মানুষদের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়, তারা জানায়, কোনো এফআইআর বা প্রমাণ তাদের কাছে জমা দেওয়া হয়নি।”

তিনি আরো বলেন, “প্রত্যর্পণের আবেদন একটি দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া। এ ধরনের অভিযোগের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রমাণ প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান মামলায় কেবল কিছু নাম উল্লেখ করে বলা হচ্ছে যে তারা গুম হয়েছেন। র‍্যাবকে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে।”

র‍্যাব গঠনের প্রসঙ্গে বীণা সিক্রি বলেন, “র‍্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়ার সময়, এবং তখন থেকেই তাদের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ ওঠে। এটি দীর্ঘদিন ধরে একটি রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে রয়েছে। কিন্তু এখন হঠাৎ করে মামলা তৈরি করা এবং ১২ জনকে অভিযুক্ত করা অযৌক্তিক বলে মনে হয়।”

এর আগে সোমবার শেখ হাসিনা, তার সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন এবং এরপর থেকে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার

আপডেট সময় : ০৬:৩১:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) থেকে গুমের অভিযোগে দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে এই পরোয়ানার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি। তিনি এই অভিযোগের যথার্থতা এবং প্রমাণের অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সাবেক এই হাইকমিশনার উল্লেখ করেছেন যে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএন হিউম্যান রাইটস কমিশন এই বিষয়ে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি।

এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বীণা সিক্রি বলেন, “শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, যা গুমের অভিযোগে জারি করা হয়েছে। প্রথমটি ছিল তথাকথিত গণহত্যার অভিযোগে, তবে সেসময়ও কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ বা তথ্য দেওয়া হয়নি। ইউএন হিউম্যান রাইটস কমিশনকে যখন জুলাই-আগস্টে গুম হওয়া মানুষদের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়, তারা জানায়, কোনো এফআইআর বা প্রমাণ তাদের কাছে জমা দেওয়া হয়নি।”

তিনি আরো বলেন, “প্রত্যর্পণের আবেদন একটি দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া। এ ধরনের অভিযোগের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রমাণ প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান মামলায় কেবল কিছু নাম উল্লেখ করে বলা হচ্ছে যে তারা গুম হয়েছেন। র‍্যাবকে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে।”

র‍্যাব গঠনের প্রসঙ্গে বীণা সিক্রি বলেন, “র‍্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়ার সময়, এবং তখন থেকেই তাদের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ ওঠে। এটি দীর্ঘদিন ধরে একটি রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে রয়েছে। কিন্তু এখন হঠাৎ করে মামলা তৈরি করা এবং ১২ জনকে অভিযুক্ত করা অযৌক্তিক বলে মনে হয়।”

এর আগে সোমবার শেখ হাসিনা, তার সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন এবং এরপর থেকে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।