শেখ হাসিনার ভয়ে দেশে কেউ কথা বলতে পারে নাই দোহারে বিএনপির রুহুল কবীর রিজভী
- আপডেট সময় : ০২:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
- / 20
আওয়ামী লীগ সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভয়ে দেশে কেউ কথা বলতে পারে নাই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,
শেখ হাসিনা ছিলেন পাড়া মহল্লার মাস্তান। তিনি দেশে লাশের রাজনীতি কায়েম করেছিলেন। তার আমলে পুকুরে জঙ্গলে বনে বাদারে লাশ পড়ে থাকতো। শেখ হাসিনার ভয়ে দেশে কেউ কথা বলতে পারে নাই। তার ছাত্রলীগের গুন্ডাদের ভয়ে কোন স্কুল কলেজে ছাত্র দলের কেউ রাজনীতি করতে পারে নাই।
বৃহস্পতিবার দোহার উপজেলার জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলেন,ভারত শেখ হাসিনার প্রিয় দেশ ছিল। তিনি বলেছিলেন আমি ভারত কে যা দিয়েছি ভারত চিরদিন তা মনে রাখবে। শেখ হাসিনার দুটি পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেছে। তাহলে কোন পাসপোর্টের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত?
অন্তবর্তীকালীন সরকার বিচারের জন্য শেখ হাসিনা কে ভারত থেকে দেশে পাঠানোর আবেদন করলেও ভারত সরকার তাকে না পাঠিয়ে উল্টো ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে পুরষ্কৃত করেছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশ কে ভয় ও আতঙ্কের নগরীতে তৈরি করেছিলেন। বিগত ১৭ বছর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পরিবারের সাথে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারেনি। নেতাকর্মীরা সব সময় আতঙ্কে থাকতেন কখন আবার স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পালিত পুলিশ বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করবে ও মামলা দিবে।
বিএনপির রুহুল কবির রিজভী বলেন,শেখ হাসিনা এদেশের মানুষ কে নির্বিঘ্নে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তিনি জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আজীবন এদেশের সম্রাজ্ঞী মহারানী হয়ে থাকতে চেয়েছিলেন। আর এর জন্য তিনি তার মনের মত করে পুলিশ, র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে সাজিয়েছিলেন।
জনগণ, নির্বাচন ও ভোটের দরকার তার ছিল না। জনগণের মতামত কে তোয়াক্কা না করে তিনি নিজেই নির্ধারণ করতো কাকে মেম্বার বানাবে,কাকে চেয়ারম্যান বানাবে,কাকে এমপি বানাবে। তিনি এদেশ কে দুর্বৃত্তের
দেশ, এক দাজ্জালের দেশ ও এক দস্যুর দেশে পরিণত করেছিল।
জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সৌমিক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান আসাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে
প্রধান বক্তা ছিলেন,ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন,ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ও নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক হলের সাবেক ভিপি খন্দকার আবু আশফাক,
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন গিয়াস,ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম নিরব,দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মেছের,সাধারণ সম্পাদক
মাসুদ পারভেজ,মহিলা নেত্রী বিলকিছ চৌধুরী সহ
বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের
অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।