ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল

সংকটকালীন হজের বিধিবিধান

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:০০:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
  • / 93
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হজের বিশেষ আমল: ইহরাম, তাওয়াফ, সাঈ, অকুফে আরাফা, অকুফে মুজদালিফা, অকুফে মিনা, দমে শোকর ও কোরবানি, হলক ও কছর এবং জিয়ারতে মদিনা-রওজাতুর রাসুল (সা.) ইত্যাদি।

হজের ফরজ তিনটি: (১) ইহরামের নিয়ত বা ইচ্ছা করা, (২) অকুফে আরাফা করা: জিলহজের ৯ তারিখের জোহর হতে ১০ জিলহজ ফজরের আগপর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা, (৩) তাওয়াফে জিয়ারত করা: জিলহজের ১০ তারিখ ভোর হতে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় কাবা ঘর তাওয়াফ বা ৭ বার প্রদক্ষিণ করা।

হজের ওয়াজিব সাতটি: (১) আরাফা থেকে মিনায় ফেরার পথে মুজদালিফা নামক স্থানে ১০ জিলহজ ভোর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কিছু সময় অবস্থান করা, (২) সাফা ও মারওয়া সাঈ করা বা দৌড়ানো, (৩) রমিয়ে জিমার, ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ জামারায় শয়তানকে পাথর মারা, (৪) তামাত্তু ও কিরান হজে দমে শোকর বা কোরবানি করা, (৫) মাথার চুল কামিয়ে বা কেটে ইহরাম খোলা, (৬) বিদায়ী তাওয়াফ করা; (৭) মদিনা শরিফ রওজাতুন নবী (সা.) জিয়ারত করা। (আসান ফিকাহ, ইউসুফ ইসলাহি, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ২৫১)।

হজ ফরজ হয় প্রাপ্তবয়স্ক জ্ঞানসম্পন্ন সামর্থ্যবান মুমিন নারী-পুরুষের ওপর। সামর্থ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হজ পালন করতে হয়। অকারণে হজ বিলম্বিত করা উচিত নয়। তবে হজ ব্যবস্থাপনার সুবিধার জন্য যে প্রি-রেজিস্ট্রেশন ও রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সে পদ্ধতি অনুসরণ না করে উপায় নেই। তাই কেউ যদি হজের জন্য যথাসময়ে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করে রাখেন এবং রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ আসার আগেই মারা যান অথবা রেজিস্ট্রেশন করার পর মারা যান অথবা রেজিস্ট্রেশনের পর বিশেষ কোনো পরিস্থিতির কারণে হজ পালনে অসমর্থ হন; তাহলে তিনি আল্লাহর কাছে জবাবদিহি থেকে বেঁচে যাবেন, ইনশা আল্লাহ। তাই সামর্থ্যবানদের অবশ্যই এখনই হজের জন্য প্রি-রেজিস্ট্রেশন করে রাখা কর্তব্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ না করে মারা গেল; সে ইহুদি হয়ে মরুক অথবা খ্রিষ্টান হয়ে। (আমার কোনো দায় নেই) (মুসলিম)।’

হজে বদল বা বদলি হজ: হজ ফরজ অবস্থায় কারও মৃত্যু হলে অথবা অসুস্থতা বা কোনো ওজর তথা বাধার কারণে হজ পালন করতে না পারলে তার পক্ষে অন্য কারও দ্বারা বদলি হজ করানো আবশ্যক। আলিম ও পরহেজগার ব্যক্তি দ্বারা বদলি হজ করানো উত্তম। যিনি বদলি হজ করবেন, তাঁর পূর্বে হজ করা শর্ত নয়; তবে নিজের ওপর হজ ফরজ থাকলে তা আদায় না করে বদলি হজ করা যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সংকটকালীন হজের বিধিবিধান

আপডেট সময় : ১১:০০:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

হজের বিশেষ আমল: ইহরাম, তাওয়াফ, সাঈ, অকুফে আরাফা, অকুফে মুজদালিফা, অকুফে মিনা, দমে শোকর ও কোরবানি, হলক ও কছর এবং জিয়ারতে মদিনা-রওজাতুর রাসুল (সা.) ইত্যাদি।

হজের ফরজ তিনটি: (১) ইহরামের নিয়ত বা ইচ্ছা করা, (২) অকুফে আরাফা করা: জিলহজের ৯ তারিখের জোহর হতে ১০ জিলহজ ফজরের আগপর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা, (৩) তাওয়াফে জিয়ারত করা: জিলহজের ১০ তারিখ ভোর হতে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় কাবা ঘর তাওয়াফ বা ৭ বার প্রদক্ষিণ করা।

হজের ওয়াজিব সাতটি: (১) আরাফা থেকে মিনায় ফেরার পথে মুজদালিফা নামক স্থানে ১০ জিলহজ ভোর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কিছু সময় অবস্থান করা, (২) সাফা ও মারওয়া সাঈ করা বা দৌড়ানো, (৩) রমিয়ে জিমার, ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ জামারায় শয়তানকে পাথর মারা, (৪) তামাত্তু ও কিরান হজে দমে শোকর বা কোরবানি করা, (৫) মাথার চুল কামিয়ে বা কেটে ইহরাম খোলা, (৬) বিদায়ী তাওয়াফ করা; (৭) মদিনা শরিফ রওজাতুন নবী (সা.) জিয়ারত করা। (আসান ফিকাহ, ইউসুফ ইসলাহি, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ২৫১)।

হজ ফরজ হয় প্রাপ্তবয়স্ক জ্ঞানসম্পন্ন সামর্থ্যবান মুমিন নারী-পুরুষের ওপর। সামর্থ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হজ পালন করতে হয়। অকারণে হজ বিলম্বিত করা উচিত নয়। তবে হজ ব্যবস্থাপনার সুবিধার জন্য যে প্রি-রেজিস্ট্রেশন ও রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সে পদ্ধতি অনুসরণ না করে উপায় নেই। তাই কেউ যদি হজের জন্য যথাসময়ে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করে রাখেন এবং রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ আসার আগেই মারা যান অথবা রেজিস্ট্রেশন করার পর মারা যান অথবা রেজিস্ট্রেশনের পর বিশেষ কোনো পরিস্থিতির কারণে হজ পালনে অসমর্থ হন; তাহলে তিনি আল্লাহর কাছে জবাবদিহি থেকে বেঁচে যাবেন, ইনশা আল্লাহ। তাই সামর্থ্যবানদের অবশ্যই এখনই হজের জন্য প্রি-রেজিস্ট্রেশন করে রাখা কর্তব্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ না করে মারা গেল; সে ইহুদি হয়ে মরুক অথবা খ্রিষ্টান হয়ে। (আমার কোনো দায় নেই) (মুসলিম)।’

হজে বদল বা বদলি হজ: হজ ফরজ অবস্থায় কারও মৃত্যু হলে অথবা অসুস্থতা বা কোনো ওজর তথা বাধার কারণে হজ পালন করতে না পারলে তার পক্ষে অন্য কারও দ্বারা বদলি হজ করানো আবশ্যক। আলিম ও পরহেজগার ব্যক্তি দ্বারা বদলি হজ করানো উত্তম। যিনি বদলি হজ করবেন, তাঁর পূর্বে হজ করা শর্ত নয়; তবে নিজের ওপর হজ ফরজ থাকলে তা আদায় না করে বদলি হজ করা যাবে না।