ঢাকা ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

সংগীতের আকাশ থেকে ২০২৪ শে খসে পড়া তারারা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০২:২৬:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 60
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৩০ জুলাই সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান আবিদুর রেজা জুয়েল। ২০১১ সালে তার লিভার আনসার ধরা পড়ে। এরপর ফসফস এবং হাড়েও সেটি ক্রমশ সংক্রমিত। জুলাই রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে লইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখান থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই সংগীতশিল্পী। তার উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে রয়েছে-‘এক বিকেলে’, ‘আমার আছে অন্ধকার’, ‘একটি মানুষ’, ‘দেখা হবে না’, ‘বেশি কিছু নয়’, ‘বেদনা শুধুই বেদনা’, ফিরতি পথে’, ‘দরজা খোলা বাড়ি’ এবং ‘এমন কেন চন হলো হলো’ ইত্যাদি।

আবু জাফর

মনি কিশোর

অক্টোবরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ৯০ দশকের র অন্যতম অন্যতম জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশের। মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। রেডিও, টিভির তালিকাযুক্ত শিল্পী হলেও গান গেয়েছেন অল্প। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে-‘বী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে আনি তুমি’ ইত্যাদি। তার সবচেয়ে প্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’, যা তারই সূর করা, লেখা। ২০ অক্টোবর এই শিল্পী মারা যান।

সাদি মহম্মদ

রবীন্দ্র-সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ মারা যান। আজানা এক অভিমানে আত্মহত্যা করেন এই সংগীতশিল্পী। জন্ম ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরে বেড়ে উঠেন। বাবা-মায়ের ইচ্ছায় ১৯৭৩ সালের ল বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন। পনের প্রতি প্রবল টান থাকায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে ১৯৭৬ সালে পাড়ি জমান শান্তিনিকেতন এরপর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লা’ত করেন। ‘আমাকে খুজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে সুরকার হিসেবে আত্মত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে ‘সার্থক জনম আমার’ নামে তার দুটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। তার প্রকাশিত অ্যালবামের সংখ্যা ঘাটের অধিক সাদি মহম্মদকে ২০১৫ সালে বাংলা একাতেমি রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করে।

সুজেয় শ্যাম

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগীতযোদ্ধা, সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম মৃত্যুবরণ করেন ১৭ অক্টোবর। ১৯৪৬ সালের ১৪ মার্চ সিলেটে সুজেয় শ্যামের জন্ম। এই গুণী সংগীতশিল্পীর সুর করা উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে রয়েছে-রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘রক্ত চাইরক্ত চাই’, ‘আহা ধন্য আমার জন্মভূমি’, ‘আয় রে চাষি মজুর কুলি’, ‘মুক্তির একই পথ সংগ্রাম’ এবং ‘শোন রে তোরা শোন’। সংগীতে অবদনের জন্য তিনি ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং এর আগে ২০১৫ সালে পান শিল্পকলা পদক।

শাফিন আহমেদ

ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ ২৫ জ্বলাই হার্ট আটক করে চলে যান লক্ষ ভক্তদের কাঁদিয়ে। বংলা ব্যান্ডসংগীতে তার অবদান আলাদা ঘরানার জন্য আইকনিক ছিলেন কয়েক প্রজম্মের কাছে। তার জনপ্রিয় “নগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘নীলা’, ‘কি যাদু’, ‘কতকাল খুঁজব তোমায়’, ‘হৃদয়মীনা’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘শেষ ঠিকানা’ ইত্যাদি।

পাপিয়া সারোয়ার

বছরের শেষপ্রান্তে এসে না ফেরার দেশে পাড়ি অমান একুশে পদকজয়ী রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। রবীন্দ্রসংগীত ছাড়াও আধুনিক গান উপহার দিয়ে তিনি বড় ভক্তকূল তৈরি করেছেন ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিনে’ এসটির জন্য তিনি বেশি পরিচিত দীর্ঘদিন আনসারে আক্রান্ত ছিলেন এই শিল্পী। গত ১২ ডিসেম্বর সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলে যান পৃথিবীর মায়া ছেড়ে।

মিনহাজ আহমেদ পিকলু

বছরের শেষে ২০ ডিসেম্বর মারা যান রকস্ট্রাটা অর্থহীন ব্যান্ডের সাবেক গিটারিস্ট মিনহাজ পিকলু তিনি ছিলেন কিংবদন্তি নিলয় দাশের শিক্ষার্থীদের অন্যতম। ২০ ডিসেম্বর রামপুরায় একটি অনুষ্ঠানে গিটার বাজাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চব্বিশের বছরে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত এবং প্রাণ বিয়োগ হয়েছে। এ বছরে সংগীতাঙ্গনের অনেক তারা নিভে গিয়েছে। কিন্তু সুরের ভুবনের এই কারার! মাটির পৃথিবীতে না থাকলেও, তাদের সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে তার অমর হয়ে থাকবেন লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সংগীতের আকাশ থেকে ২০২৪ শে খসে পড়া তারারা

আপডেট সময় : ০২:২৬:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

৩০ জুলাই সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান আবিদুর রেজা জুয়েল। ২০১১ সালে তার লিভার আনসার ধরা পড়ে। এরপর ফসফস এবং হাড়েও সেটি ক্রমশ সংক্রমিত। জুলাই রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে লইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখান থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই সংগীতশিল্পী। তার উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে রয়েছে-‘এক বিকেলে’, ‘আমার আছে অন্ধকার’, ‘একটি মানুষ’, ‘দেখা হবে না’, ‘বেশি কিছু নয়’, ‘বেদনা শুধুই বেদনা’, ফিরতি পথে’, ‘দরজা খোলা বাড়ি’ এবং ‘এমন কেন চন হলো হলো’ ইত্যাদি।

আবু জাফর

মনি কিশোর

অক্টোবরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ৯০ দশকের র অন্যতম অন্যতম জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশের। মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। রেডিও, টিভির তালিকাযুক্ত শিল্পী হলেও গান গেয়েছেন অল্প। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে-‘বী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে আনি তুমি’ ইত্যাদি। তার সবচেয়ে প্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’, যা তারই সূর করা, লেখা। ২০ অক্টোবর এই শিল্পী মারা যান।

সাদি মহম্মদ

রবীন্দ্র-সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ মারা যান। আজানা এক অভিমানে আত্মহত্যা করেন এই সংগীতশিল্পী। জন্ম ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরে বেড়ে উঠেন। বাবা-মায়ের ইচ্ছায় ১৯৭৩ সালের ল বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন। পনের প্রতি প্রবল টান থাকায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে ১৯৭৬ সালে পাড়ি জমান শান্তিনিকেতন এরপর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লা’ত করেন। ‘আমাকে খুজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে সুরকার হিসেবে আত্মত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে ‘সার্থক জনম আমার’ নামে তার দুটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। তার প্রকাশিত অ্যালবামের সংখ্যা ঘাটের অধিক সাদি মহম্মদকে ২০১৫ সালে বাংলা একাতেমি রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করে।

সুজেয় শ্যাম

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগীতযোদ্ধা, সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম মৃত্যুবরণ করেন ১৭ অক্টোবর। ১৯৪৬ সালের ১৪ মার্চ সিলেটে সুজেয় শ্যামের জন্ম। এই গুণী সংগীতশিল্পীর সুর করা উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে রয়েছে-রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘রক্ত চাইরক্ত চাই’, ‘আহা ধন্য আমার জন্মভূমি’, ‘আয় রে চাষি মজুর কুলি’, ‘মুক্তির একই পথ সংগ্রাম’ এবং ‘শোন রে তোরা শোন’। সংগীতে অবদনের জন্য তিনি ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং এর আগে ২০১৫ সালে পান শিল্পকলা পদক।

শাফিন আহমেদ

ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ ২৫ জ্বলাই হার্ট আটক করে চলে যান লক্ষ ভক্তদের কাঁদিয়ে। বংলা ব্যান্ডসংগীতে তার অবদান আলাদা ঘরানার জন্য আইকনিক ছিলেন কয়েক প্রজম্মের কাছে। তার জনপ্রিয় “নগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘নীলা’, ‘কি যাদু’, ‘কতকাল খুঁজব তোমায়’, ‘হৃদয়মীনা’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘শেষ ঠিকানা’ ইত্যাদি।

পাপিয়া সারোয়ার

বছরের শেষপ্রান্তে এসে না ফেরার দেশে পাড়ি অমান একুশে পদকজয়ী রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। রবীন্দ্রসংগীত ছাড়াও আধুনিক গান উপহার দিয়ে তিনি বড় ভক্তকূল তৈরি করেছেন ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিনে’ এসটির জন্য তিনি বেশি পরিচিত দীর্ঘদিন আনসারে আক্রান্ত ছিলেন এই শিল্পী। গত ১২ ডিসেম্বর সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলে যান পৃথিবীর মায়া ছেড়ে।

মিনহাজ আহমেদ পিকলু

বছরের শেষে ২০ ডিসেম্বর মারা যান রকস্ট্রাটা অর্থহীন ব্যান্ডের সাবেক গিটারিস্ট মিনহাজ পিকলু তিনি ছিলেন কিংবদন্তি নিলয় দাশের শিক্ষার্থীদের অন্যতম। ২০ ডিসেম্বর রামপুরায় একটি অনুষ্ঠানে গিটার বাজাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চব্বিশের বছরে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত এবং প্রাণ বিয়োগ হয়েছে। এ বছরে সংগীতাঙ্গনের অনেক তারা নিভে গিয়েছে। কিন্তু সুরের ভুবনের এই কারার! মাটির পৃথিবীতে না থাকলেও, তাদের সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে তার অমর হয়ে থাকবেন লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয়ে।