ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড: মুহাম্মদ ইউনুস ইন্ডিয়ার জায়গামত আঘাত করেছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাজনৈতিক দলের ঐক্য ভারত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরে বাধ্য: ড. ইউনূস মুন্নী সাহা সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে বেতনের বাইরে জমা হয় ১৩৪ কোটি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে আ. লীগের দৃষ্টিতে দেখা বন্ধ করতে হবে : ভারতকে নাহিদ ইসলাম “ছাত্রদের ভূমিকা ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা” অশান্তির জন্য মহম্মদ ইউনূসকেই দায়ী করলেন শেখ হাসিনা৷ ফেরত চাওয়া হবে শেখ হাসিনাকে, মানতে বাধ্য ভারত: ড. ইউনূস আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার: শ্বেতপত্রে উন্মোচিত সাংবাদিক মুন্নী সাহা গ্রেপ্তার অচিরেই কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা: উপদেষ্টা আসিফ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত কেন তথ্যযুদ্ধে নেমেছে? ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল কোটি টাকার বাস ৯০ লাখে বানাবে বিআরটিসি ভয়েস অব আমেরিকার জরিপ: সংখ্যালঘুরা ‘আগের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা পাচ্ছে’ বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধের খবর ভুয়া ধানমন্ডি লেকে হবে ‘বিদ্রোহী চত্বর’ সারজি এবং হাসনাতের গাড়ি চাপা দেয়া ট্রাক ও ট্রাকের ড্রাইভার আটক রাষ্ট্রের যেসব বিষয়ে বড়সড় পরিবর্তনের কথা ভাবছে সংস্কার কমিশনগুলো

‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ স্লোগানের ব্যাখ্যা দিলেন শিক্ষার্থীরা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:২৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ২০৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসির মাহমুদ ও সংগঠক রাকিব
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসির মাহমুদ ও সংগঠক রাকিবছবি: প্রথম আলো
আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি স্লোগানকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গত সোমবার সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সামনে ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ বলে স্লোগান দেন। নাহিদ ইসলাম ও অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এ স্লোগান দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

এমন পরিস্থিতিতে স্লোগানটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা। এ নিয়ে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র তৌসির মাহমুদ ও সংগঠক রাকিব।

 

সংবাদ সম্মেলনে তৌসির মাহমুদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আন্দোলন শুরু হওয়ার পর মিছিলের জন্য বিভিন্ন স্লোগান তৈরি হয়। এর অংশ হিসেবে গত ২ নভেম্বর ‘আর্মি হবে ঠিকাদার, সব শালারাই বাটপার’ স্লোগানটি যোগ করা হয়।

স্লোগানটি ছিল মূলত ফ্যাসিবাদ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। কারণ, গত ছয় বছরে তারা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি। প্রকল্পের মেয়াদ চারবার বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারেনি; বরং তারা পুকুরচুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এই স্লোগানে কোনোভাবেই উপদেষ্টা নাহিদ কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারের কাউকে ইঙ্গিত করা হয়নি।

সংগঠক রাকিব বলেন, ‘সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের প্রেতাত্মারা স্লোগানটি নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে, সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনারা আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবেন না। আমরা দেশের স্বার্থে স্বৈরাচার ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে এক ও অদ্বিতীয়।’

গত সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল শিক্ষার্থী। তাঁদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষাসচিবের কাছে পাঁচ দফা দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া। কিন্তু শিক্ষাসচিব তাঁদের সঙ্গে দেখা না করায় সচিবালয়ের মূল ফটকের সামনে রাস্তার এক পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

পরে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সচিবালয় থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল ভেতরে যায়। সেখানে শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষাসচিব ও উপদেষ্টা নাহিদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়।

বৈঠক শুরুর আগে তথ্য উপদেষ্টার সামনেই বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’। পরে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ স্লোগানের ব্যাখ্যা দিলেন শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৬:২৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসির মাহমুদ ও সংগঠক রাকিব
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসির মাহমুদ ও সংগঠক রাকিবছবি: প্রথম আলো
আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি স্লোগানকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গত সোমবার সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সামনে ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ বলে স্লোগান দেন। নাহিদ ইসলাম ও অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এ স্লোগান দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

এমন পরিস্থিতিতে স্লোগানটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা। এ নিয়ে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র তৌসির মাহমুদ ও সংগঠক রাকিব।

 

সংবাদ সম্মেলনে তৌসির মাহমুদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আন্দোলন শুরু হওয়ার পর মিছিলের জন্য বিভিন্ন স্লোগান তৈরি হয়। এর অংশ হিসেবে গত ২ নভেম্বর ‘আর্মি হবে ঠিকাদার, সব শালারাই বাটপার’ স্লোগানটি যোগ করা হয়।

স্লোগানটি ছিল মূলত ফ্যাসিবাদ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। কারণ, গত ছয় বছরে তারা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি। প্রকল্পের মেয়াদ চারবার বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারেনি; বরং তারা পুকুরচুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এই স্লোগানে কোনোভাবেই উপদেষ্টা নাহিদ কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারের কাউকে ইঙ্গিত করা হয়নি।

সংগঠক রাকিব বলেন, ‘সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের প্রেতাত্মারা স্লোগানটি নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে, সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনারা আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবেন না। আমরা দেশের স্বার্থে স্বৈরাচার ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে এক ও অদ্বিতীয়।’

গত সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল শিক্ষার্থী। তাঁদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষাসচিবের কাছে পাঁচ দফা দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া। কিন্তু শিক্ষাসচিব তাঁদের সঙ্গে দেখা না করায় সচিবালয়ের মূল ফটকের সামনে রাস্তার এক পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

পরে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সচিবালয় থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল ভেতরে যায়। সেখানে শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষাসচিব ও উপদেষ্টা নাহিদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়।

বৈঠক শুরুর আগে তথ্য উপদেষ্টার সামনেই বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’। পরে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।