ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড. ইউনূসকে সভাপতি করে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন আপা আপা বলা তানভীর নিজেই আ.লীগের হাতে নির্যাতিত, আছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভল্টের টাকায় অবৈধ বাণিজ্য বিডিআর বিদ্রোহের বিচার পুনরায় করা সম্ভব? সংলাপ, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে যে প্রক্রিয়ায় এগোতে চায় সরকার এবার সরকারের কাছে ৬৩ কোটি ডলার সুদ চাইল রাশিয়া এফবিসিসিআই সভাপতির পদত‍্যাগ, প্রশাসক নিয়োগ তারল্য বাড়াতে ‘বিশেষ ধার’ আগামী সপ্তাহে ৭ হাজার কোটিতে নির্মিত তিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ গার্মেন্টসে থামছে না অস্থিরতা চাকরি গেল আরো দুই লেফটেন্যান্ট জেনারেলের ওষুধের বাজারে উত্তাপ ব্যাংকিং খাত সংস্কারে ৬ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন সড়ক পরিবহনে আসছে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ গরুর দিয়ে পাট নিতে চায় পাকিস্তানি সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন, নেতৃত্বে যারা সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ, কমিশনের দায়িত্বে শাহদীন মালিক ছয় বিশিষ্ট নাগরিককের নেতৃত্বে সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার শিগগিরই মেট্রোরেলের বন্ধ থাকা স্টেশন চালু হচ্ছে বিদ্যুতের পাওনা চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন গৌতম আদানি

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বদলে গেছে শাহজালাল বিমানবন্দরের চিত্র

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫০৫৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পাল্টে গেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চিত্র। আগে যেখানে লাগেজ পেতে অপেক্ষা করতে হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখন সেখানে যাত্রী আসার আগেই কনভেয়ার বেল্টে পৌঁছে যাচ্ছে লাগেজ। ফ্রি টেলিফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে স্বজনদের সঙ্গে। এমন সেবা পেয়ে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা। সিভিল অ্যাভিয়েশনের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বলছেন, বিমানবন্দরে সেবা দেয়া সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে জোর দেয়ায় এমন সাফল্য মিলছে।

লাগেজ নিয়ে বের হবার পথেই টেলিফোন বুথ। ১০টি বুথে কথা বলা যাচ্ছে ফ্রিতেই। স্বজনদের সঙ্গে কোনো ঝক্কি ছাড়াই করা যাচ্ছে যোগাযোগ।

বর্তমানে দেশের প্রধান এই বিমানবন্দর দিয়ে উঠানামা করে ৪০টি এয়ারলাইন্সের সাড়ে ৩শ ফ্লাইট। বছরে ৮০ লাখ যাত্রী সেবা দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিমানবন্দর গেলোবার ব্যবহার করেছে ১ কোটি ১৫ লাখ যাত্রী। আয় হয়েছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যাত্রী চলাচল ও আয় দুটোতেই রেকর্ড গড়েছে বিমানবন্দরটি।

যদিও বিমানবন্দরটির সেবা নিয়ে যাত্রীদের ছিলো নানা হয়রানির অভিযোগ। সেসব হয়রানি রোধে আগেই চালু করা হয়েছিলো হটলাইন, মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইট।

বর্তমানে ৮৫ শতাংশ লাগেজ মিলছে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টার মধ্যেই। বাকি লাগেজগুলো মিলছে অল্প সময়ের মধ্যেই। আর ৯০ শতাংশ অভিযোগের সমাধান হচ্ছে হটলাইনেই। সেবার মান বাড়াতে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির সাথে অতিরিক্ত ৮শ বিমানবাহিনীর সদস্য কাজ করছে বিমানবন্দরে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ লাগেজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে দেয়া সময়ের মধ্যেই বেল্টে চলে আসছে। এ সময় টা বিমান অবতরণের পর থেকে ১৮ মিনিট। সেই সঙ্গে ৬০ মিনিটের মধ্যে শেষ লাগেজটি দেয়ার চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘হটলাইনে আমরা যে কলগুলো পেয়ে থাকি আমরা প্রতিনিয়ত সেখান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে থাকি। আমাদের এখানে প্রতিদিন শত শত কল আসে।’

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেবা দিতে কাজ করছে ২৪টি সংস্থা। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান বলছেন, সংস্থাগুলোর কাজের সমন্বয়ে জোর দেয়া হয়েছে। তাতেই এমন সাফল্য মিলছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্ট এবং প্রত্যেকটা লোকের সঙ্গে আমি যোগাযোগের চেষ্টা করি। তাদের সাথে বসে মোটিভেট করার চেষ্টা করেছি। সেটা হলো আমরা সভাই সার্ভিস প্রোভাইডার। আমাদের কাজ হচ্ছে এয়ারপোর্টে সবাইকে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসিমুখে সেবা দেয়া। এরপর থেকে সবাই এগিয়ে এসেছে। আমাদের এয়ারপোর্টে বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।’

বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ সময় নেয়াসহ হয়রানির অভিযোগও নতুন নয়। সেই হয়রানি রোধেও কাজ করেছে সিভিল অ্যাভিয়েশন। আগেই ইমিগ্রেশনে ৩ শিফটে সেবা দেয়া হতো। এবার যোগ হয়েছে আরও ১ শিফট। এতে ইমিগ্রেশনের সেবার মান আরও বাড়বে আশা চেয়ারম্যানের।

এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, আমরা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন নতুন জিনিস ইমপ্লিমেন্ট হয়েছে। তিন শিফটের বদলে ওনারা আমাদের চার শিফট দিয়েছেন। এখন আপনারা আরো পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

এছাড়াও বিমানবন্দরের ক্লিনিং ও যাত্রী স্ক্রিনিংয়ে জোর দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বদলে গেছে শাহজালাল বিমানবন্দরের চিত্র

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

পাল্টে গেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চিত্র। আগে যেখানে লাগেজ পেতে অপেক্ষা করতে হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখন সেখানে যাত্রী আসার আগেই কনভেয়ার বেল্টে পৌঁছে যাচ্ছে লাগেজ। ফ্রি টেলিফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে স্বজনদের সঙ্গে। এমন সেবা পেয়ে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা। সিভিল অ্যাভিয়েশনের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বলছেন, বিমানবন্দরে সেবা দেয়া সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে জোর দেয়ায় এমন সাফল্য মিলছে।

লাগেজ নিয়ে বের হবার পথেই টেলিফোন বুথ। ১০টি বুথে কথা বলা যাচ্ছে ফ্রিতেই। স্বজনদের সঙ্গে কোনো ঝক্কি ছাড়াই করা যাচ্ছে যোগাযোগ।

বর্তমানে দেশের প্রধান এই বিমানবন্দর দিয়ে উঠানামা করে ৪০টি এয়ারলাইন্সের সাড়ে ৩শ ফ্লাইট। বছরে ৮০ লাখ যাত্রী সেবা দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিমানবন্দর গেলোবার ব্যবহার করেছে ১ কোটি ১৫ লাখ যাত্রী। আয় হয়েছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যাত্রী চলাচল ও আয় দুটোতেই রেকর্ড গড়েছে বিমানবন্দরটি।

যদিও বিমানবন্দরটির সেবা নিয়ে যাত্রীদের ছিলো নানা হয়রানির অভিযোগ। সেসব হয়রানি রোধে আগেই চালু করা হয়েছিলো হটলাইন, মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইট।

বর্তমানে ৮৫ শতাংশ লাগেজ মিলছে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টার মধ্যেই। বাকি লাগেজগুলো মিলছে অল্প সময়ের মধ্যেই। আর ৯০ শতাংশ অভিযোগের সমাধান হচ্ছে হটলাইনেই। সেবার মান বাড়াতে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির সাথে অতিরিক্ত ৮শ বিমানবাহিনীর সদস্য কাজ করছে বিমানবন্দরে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ লাগেজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে দেয়া সময়ের মধ্যেই বেল্টে চলে আসছে। এ সময় টা বিমান অবতরণের পর থেকে ১৮ মিনিট। সেই সঙ্গে ৬০ মিনিটের মধ্যে শেষ লাগেজটি দেয়ার চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘হটলাইনে আমরা যে কলগুলো পেয়ে থাকি আমরা প্রতিনিয়ত সেখান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে থাকি। আমাদের এখানে প্রতিদিন শত শত কল আসে।’

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেবা দিতে কাজ করছে ২৪টি সংস্থা। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান বলছেন, সংস্থাগুলোর কাজের সমন্বয়ে জোর দেয়া হয়েছে। তাতেই এমন সাফল্য মিলছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্ট এবং প্রত্যেকটা লোকের সঙ্গে আমি যোগাযোগের চেষ্টা করি। তাদের সাথে বসে মোটিভেট করার চেষ্টা করেছি। সেটা হলো আমরা সভাই সার্ভিস প্রোভাইডার। আমাদের কাজ হচ্ছে এয়ারপোর্টে সবাইকে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসিমুখে সেবা দেয়া। এরপর থেকে সবাই এগিয়ে এসেছে। আমাদের এয়ারপোর্টে বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।’

বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ সময় নেয়াসহ হয়রানির অভিযোগও নতুন নয়। সেই হয়রানি রোধেও কাজ করেছে সিভিল অ্যাভিয়েশন। আগেই ইমিগ্রেশনে ৩ শিফটে সেবা দেয়া হতো। এবার যোগ হয়েছে আরও ১ শিফট। এতে ইমিগ্রেশনের সেবার মান আরও বাড়বে আশা চেয়ারম্যানের।

এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, আমরা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন নতুন জিনিস ইমপ্লিমেন্ট হয়েছে। তিন শিফটের বদলে ওনারা আমাদের চার শিফট দিয়েছেন। এখন আপনারা আরো পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

এছাড়াও বিমানবন্দরের ক্লিনিং ও যাত্রী স্ক্রিনিংয়ে জোর দেয়া হয়েছে।