ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা! শেখ হাসিনার দেশে ফেরার ঘোষণা আসছে? টিউলিপকে দেশে ফেরত চান ড. ইউনূস? যুক্তরাজ্যে টিউলিপের পর আলোচনায় সালমানপুত্র হাসিনা যেভাবে সৌদিকে দমিয়ে রাখতো

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বদলে গেছে শাহজালাল বিমানবন্দরের চিত্র

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 197
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পাল্টে গেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চিত্র। আগে যেখানে লাগেজ পেতে অপেক্ষা করতে হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখন সেখানে যাত্রী আসার আগেই কনভেয়ার বেল্টে পৌঁছে যাচ্ছে লাগেজ। ফ্রি টেলিফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে স্বজনদের সঙ্গে। এমন সেবা পেয়ে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা। সিভিল অ্যাভিয়েশনের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বলছেন, বিমানবন্দরে সেবা দেয়া সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে জোর দেয়ায় এমন সাফল্য মিলছে।

লাগেজ নিয়ে বের হবার পথেই টেলিফোন বুথ। ১০টি বুথে কথা বলা যাচ্ছে ফ্রিতেই। স্বজনদের সঙ্গে কোনো ঝক্কি ছাড়াই করা যাচ্ছে যোগাযোগ।

বর্তমানে দেশের প্রধান এই বিমানবন্দর দিয়ে উঠানামা করে ৪০টি এয়ারলাইন্সের সাড়ে ৩শ ফ্লাইট। বছরে ৮০ লাখ যাত্রী সেবা দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিমানবন্দর গেলোবার ব্যবহার করেছে ১ কোটি ১৫ লাখ যাত্রী। আয় হয়েছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যাত্রী চলাচল ও আয় দুটোতেই রেকর্ড গড়েছে বিমানবন্দরটি।

যদিও বিমানবন্দরটির সেবা নিয়ে যাত্রীদের ছিলো নানা হয়রানির অভিযোগ। সেসব হয়রানি রোধে আগেই চালু করা হয়েছিলো হটলাইন, মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইট।

বর্তমানে ৮৫ শতাংশ লাগেজ মিলছে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টার মধ্যেই। বাকি লাগেজগুলো মিলছে অল্প সময়ের মধ্যেই। আর ৯০ শতাংশ অভিযোগের সমাধান হচ্ছে হটলাইনেই। সেবার মান বাড়াতে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির সাথে অতিরিক্ত ৮শ বিমানবাহিনীর সদস্য কাজ করছে বিমানবন্দরে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ লাগেজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে দেয়া সময়ের মধ্যেই বেল্টে চলে আসছে। এ সময় টা বিমান অবতরণের পর থেকে ১৮ মিনিট। সেই সঙ্গে ৬০ মিনিটের মধ্যে শেষ লাগেজটি দেয়ার চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘হটলাইনে আমরা যে কলগুলো পেয়ে থাকি আমরা প্রতিনিয়ত সেখান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে থাকি। আমাদের এখানে প্রতিদিন শত শত কল আসে।’

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেবা দিতে কাজ করছে ২৪টি সংস্থা। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান বলছেন, সংস্থাগুলোর কাজের সমন্বয়ে জোর দেয়া হয়েছে। তাতেই এমন সাফল্য মিলছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্ট এবং প্রত্যেকটা লোকের সঙ্গে আমি যোগাযোগের চেষ্টা করি। তাদের সাথে বসে মোটিভেট করার চেষ্টা করেছি। সেটা হলো আমরা সভাই সার্ভিস প্রোভাইডার। আমাদের কাজ হচ্ছে এয়ারপোর্টে সবাইকে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসিমুখে সেবা দেয়া। এরপর থেকে সবাই এগিয়ে এসেছে। আমাদের এয়ারপোর্টে বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।’

বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ সময় নেয়াসহ হয়রানির অভিযোগও নতুন নয়। সেই হয়রানি রোধেও কাজ করেছে সিভিল অ্যাভিয়েশন। আগেই ইমিগ্রেশনে ৩ শিফটে সেবা দেয়া হতো। এবার যোগ হয়েছে আরও ১ শিফট। এতে ইমিগ্রেশনের সেবার মান আরও বাড়বে আশা চেয়ারম্যানের।

এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, আমরা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন নতুন জিনিস ইমপ্লিমেন্ট হয়েছে। তিন শিফটের বদলে ওনারা আমাদের চার শিফট দিয়েছেন। এখন আপনারা আরো পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

এছাড়াও বিমানবন্দরের ক্লিনিং ও যাত্রী স্ক্রিনিংয়ে জোর দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বদলে গেছে শাহজালাল বিমানবন্দরের চিত্র

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

পাল্টে গেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চিত্র। আগে যেখানে লাগেজ পেতে অপেক্ষা করতে হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখন সেখানে যাত্রী আসার আগেই কনভেয়ার বেল্টে পৌঁছে যাচ্ছে লাগেজ। ফ্রি টেলিফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে স্বজনদের সঙ্গে। এমন সেবা পেয়ে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা। সিভিল অ্যাভিয়েশনের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বলছেন, বিমানবন্দরে সেবা দেয়া সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে জোর দেয়ায় এমন সাফল্য মিলছে।

লাগেজ নিয়ে বের হবার পথেই টেলিফোন বুথ। ১০টি বুথে কথা বলা যাচ্ছে ফ্রিতেই। স্বজনদের সঙ্গে কোনো ঝক্কি ছাড়াই করা যাচ্ছে যোগাযোগ।

বর্তমানে দেশের প্রধান এই বিমানবন্দর দিয়ে উঠানামা করে ৪০টি এয়ারলাইন্সের সাড়ে ৩শ ফ্লাইট। বছরে ৮০ লাখ যাত্রী সেবা দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিমানবন্দর গেলোবার ব্যবহার করেছে ১ কোটি ১৫ লাখ যাত্রী। আয় হয়েছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যাত্রী চলাচল ও আয় দুটোতেই রেকর্ড গড়েছে বিমানবন্দরটি।

যদিও বিমানবন্দরটির সেবা নিয়ে যাত্রীদের ছিলো নানা হয়রানির অভিযোগ। সেসব হয়রানি রোধে আগেই চালু করা হয়েছিলো হটলাইন, মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইট।

বর্তমানে ৮৫ শতাংশ লাগেজ মিলছে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টার মধ্যেই। বাকি লাগেজগুলো মিলছে অল্প সময়ের মধ্যেই। আর ৯০ শতাংশ অভিযোগের সমাধান হচ্ছে হটলাইনেই। সেবার মান বাড়াতে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির সাথে অতিরিক্ত ৮শ বিমানবাহিনীর সদস্য কাজ করছে বিমানবন্দরে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ লাগেজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে দেয়া সময়ের মধ্যেই বেল্টে চলে আসছে। এ সময় টা বিমান অবতরণের পর থেকে ১৮ মিনিট। সেই সঙ্গে ৬০ মিনিটের মধ্যে শেষ লাগেজটি দেয়ার চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘হটলাইনে আমরা যে কলগুলো পেয়ে থাকি আমরা প্রতিনিয়ত সেখান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে থাকি। আমাদের এখানে প্রতিদিন শত শত কল আসে।’

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেবা দিতে কাজ করছে ২৪টি সংস্থা। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান বলছেন, সংস্থাগুলোর কাজের সমন্বয়ে জোর দেয়া হয়েছে। তাতেই এমন সাফল্য মিলছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্ট এবং প্রত্যেকটা লোকের সঙ্গে আমি যোগাযোগের চেষ্টা করি। তাদের সাথে বসে মোটিভেট করার চেষ্টা করেছি। সেটা হলো আমরা সভাই সার্ভিস প্রোভাইডার। আমাদের কাজ হচ্ছে এয়ারপোর্টে সবাইকে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসিমুখে সেবা দেয়া। এরপর থেকে সবাই এগিয়ে এসেছে। আমাদের এয়ারপোর্টে বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।’

বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ সময় নেয়াসহ হয়রানির অভিযোগও নতুন নয়। সেই হয়রানি রোধেও কাজ করেছে সিভিল অ্যাভিয়েশন। আগেই ইমিগ্রেশনে ৩ শিফটে সেবা দেয়া হতো। এবার যোগ হয়েছে আরও ১ শিফট। এতে ইমিগ্রেশনের সেবার মান আরও বাড়বে আশা চেয়ারম্যানের।

এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, আমরা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন নতুন জিনিস ইমপ্লিমেন্ট হয়েছে। তিন শিফটের বদলে ওনারা আমাদের চার শিফট দিয়েছেন। এখন আপনারা আরো পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

এছাড়াও বিমানবন্দরের ক্লিনিং ও যাত্রী স্ক্রিনিংয়ে জোর দেয়া হয়েছে।