ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

“সহকর্মীদের বিরোধে শিল্পকলা একাডেমি ছাড়লেন জ্যোতিকা জ্যোতি

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 135
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সহকর্মীদের তোপের মুখে শিল্পকলা একাডেমি ছেড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এদিন বেলা ১২ টার দিকে অফিসে প্রবেশ করেন জ্যোতি। সেখানে নতুন মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে যান এই অভিনেত্রী। এরপর রুম থেকে বের হতেই সহকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন। একপর্যায়ে শিল্পকলা একাডেমি ত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।

ঘটনার পরপরই ফেসবুক লাইভে আসেন জ্যোতি। যেখানে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় তাকে। লাইভে একপর্যায়ে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এই অপমান কি আমার প্রাপ্য ছিল? কোনো দলের সমর্থক ছিলাম বলে কি দেশটা আমার নয়? আমি তাহলে কোথায় যাব?

জনগণের কাছে সারা জীবন দেশটা কারাগার: আফজাল হোসেনজনগণের কাছে সারা জীবন দেশটা কারাগার: আফজাল হোসেন
শুরুতেই জ্যোতি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন, আমি ঠিক আছি কিনা, তা জানতে চাইছেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি ঠিক আছি। তবে মানসিকভাবে আমি একদমই ঠিক নেই। জানিনা কতদিন লাগবে এসব কাটিয়ে উঠতে।’

এরপর আজ শিল্পকলা একাডেমিতে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন জ্যোতিকা জ্যোতি। তিনি বলেন, ‘দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে শিল্পকলা একাডেমিতে পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলাম। এখনো আমার মেয়াদ শেষ হয়নি এবং নিয়োগ বাতিলেরও কোনো প্রক্রিয়া এখনো হয়নি। সুতরাং আমার চাকরিটা আছে। গত দুই মাস ধরে দেশে যা চলছে, তারপর থেকে শিল্পকলা একাডেমির অফিসের কাজ মোটামুটি বন্ধই বলা যায়। সপ্তাহখানেক হয়েছে নতুন ডিজি এসেছেন, তাই আমার মনে হয়েছে আমার অফিসে যাওয়া উচিত। যদিও সচিব স্যারের, পরামর্শ ছিল- আমি যাতে এখন শিল্পকলায় না যাই। কিন্তু আমার চাকরি এখনো আছে। আমারও ভালো লাগছিল না, তাই গিয়েছিলাম।’

শুটিং, চাকরি, ফ্যামিলি নিয়ে প্যারা আমার জীবনে: শবনম ফারিয়াশুটিং, চাকরি, ফ্যামিলি নিয়ে প্যারা আমার জীবনে: শবনম ফারিয়া
শিল্পকলা একাডেমিতে অবস্থানকালে সাংবাদিকদের অনেক ফোন কল পেয়েছেন। তা স্মরণ করে জ্যোতি বলেন, ‘শিল্পকলায় যাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে অনেক সাংবাদিক ফোন করে জানতে চাচ্ছিলেন, আমার অবস্থা সম্পর্কে। কারণ তারা জানতে পেরেছেন, আমাকে নাকি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমি তখনো বিষয়টি জানি না। আমার আরেক সহকর্মী ছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, চলো বেরিয়ে যাই। আমি তাকে বলি, আমার চাকরি তো শেষ হয় নাই, তাহলে আমি কেন যাব? প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিয়োগ বাতিল হলে অবশ্যই আমি আর আসব না।’

শিল্পকলা একাডেমির ডিজির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা জানিয়ে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘আমি যখন শিল্পকলায় যাই তখন ডিজি স্যার একটা মিটিংয়ে ছিলেন। এরপর উনি যখন বের হন, তখন আমি ওনার সঙ্গে দেখা করার জন্য বের হই। বেরিয়ে দেখি শিল্পকলায় অনেক লোকজন। অনেকে চেচামেচি করছে। আমি ডিজি স্যারের সঙ্গে দেখা করলাম। স্যার বললেন, দেখেন এই অবস্থা। এর মধ্যে অফিসে কেন এসেছেন? আপনারা বরং চলে যান, পরিস্থিতি সামলাতে দেন। পরে এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হয় সে মোতাবেক কাজ করবেন।’

সহকর্মীদের আচরণে বিস্মিত জ্যোতিকা জ্যোতি। তা জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘ডিজি স্যারের সঙ্গে কথা বলে লবিতে ফিরে উপস্থিত অন্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলাম। কিন্তু উনারা কোনো কথা বলবেন না। শুনতে পেলাম, আরো লোকজন খবর দেওয়া হয়েছে। আমাদের আটকে রাখবে বা কিছু করবে। আমার খুব অবিশ্বাস্য লাগছিল, সবার মুখ অপরিচিত লাগছিল। কারণ এরাই আমার সহকর্মী ছিলেন!’

অফিসে জ্যোতিকা জ্যোতির ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিল। চলে আসার সময়ে সেসব জিনিস নিয়ে আসেন। কিন্তু উপস্থিত সহকর্মীদের সেসব জিনিসপত্র দেখিয়ে তারপর শিল্পকলা একাডেমি থেকে বের হন জ্যোতি।

এ বিষয়ে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘লবি থেকে আমি আবার আমার অফিস রুমে ফিরে যাই। আমার জিনিসপত্র (মায়ের ছবি, কসমেটিকস) গোছাই। ওই সময়ে আমার জেদ হয়, আমার চাকরি থাকার পরও আমি কেন অফিস ছাড়ব! এরই মধ্যে অনেকে আমার দরজার সামনে জড়ো হয়। তখন আমার সঙ্গে সচিব স্যার ছিলেন। এরপর বের হওয়ার সময়ে আমার জিনিসপত্র দেখিয়ে আমি বের হয়ে আসি।’

এমন সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন এই অভিনেত্রী। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এতবছর ধরে আমি অভিনয় করছি। কখনো দেশ ছেড়ে বাহিরে চলে যাওয়ার কথাও চিন্তা করিনি। তবুও এই অপমান কি আমার প্রাপ্য ছিল? কোনো দলের সমর্থক ছিলাম বলে কি দেশটা আমার নয়? আমি তাহলে কোথায় যাব? এই প্রশ্ন আপনাদের কাছে রেখে গেলাম।’

এদিকে জ্যোতিকা জ্যোতির ঘটনায় শিল্পকলা একাডেমির সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর আইরিন পারভীন বলেন, ‘তিনি (জ্যোতিকা জ্যোতি) অফিসে আসায় আমরা হতবাক হয়েছি। তিনি কীভাবে অফিসে আসেন, যিনি স্বৈরাচার সরকারের হয়ে কথা বলেছেন। যারা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে উৎসাহিত করেছেন, যারা রক্ত ঝরার জন্য দায়ী, তাদের আমরা সহকর্মী হিসেবে চাই না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

“সহকর্মীদের বিরোধে শিল্পকলা একাডেমি ছাড়লেন জ্যোতিকা জ্যোতি

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

সহকর্মীদের তোপের মুখে শিল্পকলা একাডেমি ছেড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এদিন বেলা ১২ টার দিকে অফিসে প্রবেশ করেন জ্যোতি। সেখানে নতুন মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে যান এই অভিনেত্রী। এরপর রুম থেকে বের হতেই সহকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন। একপর্যায়ে শিল্পকলা একাডেমি ত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।

ঘটনার পরপরই ফেসবুক লাইভে আসেন জ্যোতি। যেখানে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় তাকে। লাইভে একপর্যায়ে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এই অপমান কি আমার প্রাপ্য ছিল? কোনো দলের সমর্থক ছিলাম বলে কি দেশটা আমার নয়? আমি তাহলে কোথায় যাব?

জনগণের কাছে সারা জীবন দেশটা কারাগার: আফজাল হোসেনজনগণের কাছে সারা জীবন দেশটা কারাগার: আফজাল হোসেন
শুরুতেই জ্যোতি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন, আমি ঠিক আছি কিনা, তা জানতে চাইছেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি ঠিক আছি। তবে মানসিকভাবে আমি একদমই ঠিক নেই। জানিনা কতদিন লাগবে এসব কাটিয়ে উঠতে।’

এরপর আজ শিল্পকলা একাডেমিতে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন জ্যোতিকা জ্যোতি। তিনি বলেন, ‘দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে শিল্পকলা একাডেমিতে পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলাম। এখনো আমার মেয়াদ শেষ হয়নি এবং নিয়োগ বাতিলেরও কোনো প্রক্রিয়া এখনো হয়নি। সুতরাং আমার চাকরিটা আছে। গত দুই মাস ধরে দেশে যা চলছে, তারপর থেকে শিল্পকলা একাডেমির অফিসের কাজ মোটামুটি বন্ধই বলা যায়। সপ্তাহখানেক হয়েছে নতুন ডিজি এসেছেন, তাই আমার মনে হয়েছে আমার অফিসে যাওয়া উচিত। যদিও সচিব স্যারের, পরামর্শ ছিল- আমি যাতে এখন শিল্পকলায় না যাই। কিন্তু আমার চাকরি এখনো আছে। আমারও ভালো লাগছিল না, তাই গিয়েছিলাম।’

শুটিং, চাকরি, ফ্যামিলি নিয়ে প্যারা আমার জীবনে: শবনম ফারিয়াশুটিং, চাকরি, ফ্যামিলি নিয়ে প্যারা আমার জীবনে: শবনম ফারিয়া
শিল্পকলা একাডেমিতে অবস্থানকালে সাংবাদিকদের অনেক ফোন কল পেয়েছেন। তা স্মরণ করে জ্যোতি বলেন, ‘শিল্পকলায় যাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে অনেক সাংবাদিক ফোন করে জানতে চাচ্ছিলেন, আমার অবস্থা সম্পর্কে। কারণ তারা জানতে পেরেছেন, আমাকে নাকি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমি তখনো বিষয়টি জানি না। আমার আরেক সহকর্মী ছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, চলো বেরিয়ে যাই। আমি তাকে বলি, আমার চাকরি তো শেষ হয় নাই, তাহলে আমি কেন যাব? প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিয়োগ বাতিল হলে অবশ্যই আমি আর আসব না।’

শিল্পকলা একাডেমির ডিজির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা জানিয়ে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘আমি যখন শিল্পকলায় যাই তখন ডিজি স্যার একটা মিটিংয়ে ছিলেন। এরপর উনি যখন বের হন, তখন আমি ওনার সঙ্গে দেখা করার জন্য বের হই। বেরিয়ে দেখি শিল্পকলায় অনেক লোকজন। অনেকে চেচামেচি করছে। আমি ডিজি স্যারের সঙ্গে দেখা করলাম। স্যার বললেন, দেখেন এই অবস্থা। এর মধ্যে অফিসে কেন এসেছেন? আপনারা বরং চলে যান, পরিস্থিতি সামলাতে দেন। পরে এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হয় সে মোতাবেক কাজ করবেন।’

সহকর্মীদের আচরণে বিস্মিত জ্যোতিকা জ্যোতি। তা জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘ডিজি স্যারের সঙ্গে কথা বলে লবিতে ফিরে উপস্থিত অন্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলাম। কিন্তু উনারা কোনো কথা বলবেন না। শুনতে পেলাম, আরো লোকজন খবর দেওয়া হয়েছে। আমাদের আটকে রাখবে বা কিছু করবে। আমার খুব অবিশ্বাস্য লাগছিল, সবার মুখ অপরিচিত লাগছিল। কারণ এরাই আমার সহকর্মী ছিলেন!’

অফিসে জ্যোতিকা জ্যোতির ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিল। চলে আসার সময়ে সেসব জিনিস নিয়ে আসেন। কিন্তু উপস্থিত সহকর্মীদের সেসব জিনিসপত্র দেখিয়ে তারপর শিল্পকলা একাডেমি থেকে বের হন জ্যোতি।

এ বিষয়ে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘লবি থেকে আমি আবার আমার অফিস রুমে ফিরে যাই। আমার জিনিসপত্র (মায়ের ছবি, কসমেটিকস) গোছাই। ওই সময়ে আমার জেদ হয়, আমার চাকরি থাকার পরও আমি কেন অফিস ছাড়ব! এরই মধ্যে অনেকে আমার দরজার সামনে জড়ো হয়। তখন আমার সঙ্গে সচিব স্যার ছিলেন। এরপর বের হওয়ার সময়ে আমার জিনিসপত্র দেখিয়ে আমি বের হয়ে আসি।’

এমন সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন এই অভিনেত্রী। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এতবছর ধরে আমি অভিনয় করছি। কখনো দেশ ছেড়ে বাহিরে চলে যাওয়ার কথাও চিন্তা করিনি। তবুও এই অপমান কি আমার প্রাপ্য ছিল? কোনো দলের সমর্থক ছিলাম বলে কি দেশটা আমার নয়? আমি তাহলে কোথায় যাব? এই প্রশ্ন আপনাদের কাছে রেখে গেলাম।’

এদিকে জ্যোতিকা জ্যোতির ঘটনায় শিল্পকলা একাডেমির সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর আইরিন পারভীন বলেন, ‘তিনি (জ্যোতিকা জ্যোতি) অফিসে আসায় আমরা হতবাক হয়েছি। তিনি কীভাবে অফিসে আসেন, যিনি স্বৈরাচার সরকারের হয়ে কথা বলেছেন। যারা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে উৎসাহিত করেছেন, যারা রক্ত ঝরার জন্য দায়ী, তাদের আমরা সহকর্মী হিসেবে চাই না।’