ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা!

সাইবার বুলিং’কে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 46
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ, তার সঙ্গে বাড়ছে সাইবার বুলিংয়ের সংখ্যাও। তারকা থেকে অপ্রাপ্ত কিশোর-কিশোরী সবাই কমবেশি শিকার হয় সাইবার বুলিংয়ের। এবার বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ‘সাইবার বুলিং’কে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’ এর খসড়ায় তা স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রেস সচিব বলেন, ‘সাইবার স্পেসকে সবার জন্য নিরাপদ করতে চাই। সাইবার স্পেসে অনেক ধরনের ক্রাইম হয়, মা-বোনরা বুলিংয়ের শিকার হয়, শিশুরা বুলিংয়ের শিকার হয়। এই সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখা সরকারের দায়িত্ব। এর প্রেক্ষিতে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই অধ্যাদেশ জনসাধারণকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করবে। এটি কোনোভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ করবে না।’
বিগত সরকারের আমলে করা সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারা ও অপপ্রয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আগের সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টকে ব্যবহার করেছেন ভিন্নমত দমন করার জন্য, মুখ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য, কিংবা দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরির জন্য। এটি পরিবর্তন করে এখন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’ অনুমোদন করা হয়েছে।

এ আইন প্রসঙ্গে আইসিটি নীতি উপদেষ্টা ফাইজ তাইয়েব আহমেদ বলেন, ‘আইনটি সঙ্গায়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং ভবিষ্যতমুখী। একইসঙ্গে প্রযুক্তি ও কারিগরি দিক দিয়েও সমৃদ্ধ। এই আইনটি মানবিক ও ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে ভুক্তভোগীকে পর্যাপ্ত সুবিধা দেয়। হয়রানির প্রশ্নে আদালতকে অবহিত করণে বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে। একইসঙ্গে বিচারককেও পর্যাপ্ত স্পেস দিয়েছে। আইনের অধিকাংশ ধারাই জামিনযোগ্য করে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিপরীতে শাস্তিকে কমিয়ে অর্ধেকের কমে নামিয়ে আনা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ‘সাইবার বুলিং’ বলতে বোঝায় সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট বা সাইবার স্পেসে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান বা হয়রানি করা; মিথ্যা বা ক্ষতিকর তথ্য, অপমানজনক বার্তা, গালিগালাজ, গুজব বা মানহানিকর কনটেন্ট ছড়ানোর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির সুনাম বা মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাইবার বুলিং’কে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি

আপডেট সময় : ০৮:২৪:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

 

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ, তার সঙ্গে বাড়ছে সাইবার বুলিংয়ের সংখ্যাও। তারকা থেকে অপ্রাপ্ত কিশোর-কিশোরী সবাই কমবেশি শিকার হয় সাইবার বুলিংয়ের। এবার বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ‘সাইবার বুলিং’কে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’ এর খসড়ায় তা স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রেস সচিব বলেন, ‘সাইবার স্পেসকে সবার জন্য নিরাপদ করতে চাই। সাইবার স্পেসে অনেক ধরনের ক্রাইম হয়, মা-বোনরা বুলিংয়ের শিকার হয়, শিশুরা বুলিংয়ের শিকার হয়। এই সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখা সরকারের দায়িত্ব। এর প্রেক্ষিতে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই অধ্যাদেশ জনসাধারণকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করবে। এটি কোনোভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ করবে না।’
বিগত সরকারের আমলে করা সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারা ও অপপ্রয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আগের সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টকে ব্যবহার করেছেন ভিন্নমত দমন করার জন্য, মুখ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য, কিংবা দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরির জন্য। এটি পরিবর্তন করে এখন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’ অনুমোদন করা হয়েছে।

এ আইন প্রসঙ্গে আইসিটি নীতি উপদেষ্টা ফাইজ তাইয়েব আহমেদ বলেন, ‘আইনটি সঙ্গায়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং ভবিষ্যতমুখী। একইসঙ্গে প্রযুক্তি ও কারিগরি দিক দিয়েও সমৃদ্ধ। এই আইনটি মানবিক ও ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে ভুক্তভোগীকে পর্যাপ্ত সুবিধা দেয়। হয়রানির প্রশ্নে আদালতকে অবহিত করণে বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে। একইসঙ্গে বিচারককেও পর্যাপ্ত স্পেস দিয়েছে। আইনের অধিকাংশ ধারাই জামিনযোগ্য করে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিপরীতে শাস্তিকে কমিয়ে অর্ধেকের কমে নামিয়ে আনা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ‘সাইবার বুলিং’ বলতে বোঝায় সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট বা সাইবার স্পেসে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান বা হয়রানি করা; মিথ্যা বা ক্ষতিকর তথ্য, অপমানজনক বার্তা, গালিগালাজ, গুজব বা মানহানিকর কনটেন্ট ছড়ানোর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির সুনাম বা মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করা।