ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা! শেখ হাসিনার দেশে ফেরার ঘোষণা আসছে? টিউলিপকে দেশে ফেরত চান ড. ইউনূস? যুক্তরাজ্যে টিউলিপের পর আলোচনায় সালমানপুত্র হাসিনা যেভাবে সৌদিকে দমিয়ে রাখতো

সিলেটের শাহ পরাণ মাজারে দুর্বৃত্তদের হামলা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০২:২৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 115
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সিলেটের খাদিম এলাকায় শাহপরাণ (র.) মাজারে আলেম-জনতার সঙ্গে দুর্বৃত্তদের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টা থেকে ভোর পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দুপক্ষে সংঘর্ষ চলে। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, গত ৩ দিন থেকে শাহপরাণ (র.) মাজারে বার্ষিক ওরস চলছিলো। এই ওরসকে কেন্দ্র করে প্রায় বছর মাজারের আশপাশ এলাকায় মাদকের আসর বসে। চলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। এ প্রেক্ষিতে কয়েকদিন আগে সিলেটের আলেম সমাজ-শাহপরাণ মাজার ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে ওরসের নামে কোন অসামাজিক কার্যকলাপ যাতে না হয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে কমিটির নেতৃবৃন্দ মাজারে কোনো অনৈতিক কার্যকলাপ হবেনা বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।

এদিকে ওরস চলাকালীন সময় কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা না করতে পারে সে জন্য আলেম-সমাজের প্রতিনিধি দল মাজার এলাকায় সতর্ক পাহারা দেন। সোমবার দিবাগত রাতেও তারা মাজারের মসজিদের সিঁড়িতে পাহাড়ায় থাকেন।

এসময় থায় লাল কাপড় বাধা কিছু লোক তাদের উপর হামলা শুরু করে। তখন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা এসময় মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা বাইরে অবস্থান নিয়ে তাদেও ঘেরাও করে রাখে। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী হরিপুর এলাকার শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে মসজিদে আশ্রয় নেওয়া ছাত্র-শিক্ষককে উদ্ধার করেন। তারা ওরসে আসা লোকজনের তাবুগুলো ভেঙে দেন। এসময় দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয় এবং দুপক্ষর ৪০ জন আহত হন। পরে ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

আলেম-সমাজের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও উত্তেজনা শুরু হওয়ামাত্র তারা সেখান থেকে চলে যায়। পরে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে উঠে। এ বিষয়ে মাজার কমিটির কারো বা পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সিলেটের শাহ পরাণ মাজারে দুর্বৃত্তদের হামলা

আপডেট সময় : ০২:২৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

সিলেটের খাদিম এলাকায় শাহপরাণ (র.) মাজারে আলেম-জনতার সঙ্গে দুর্বৃত্তদের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টা থেকে ভোর পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দুপক্ষে সংঘর্ষ চলে। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, গত ৩ দিন থেকে শাহপরাণ (র.) মাজারে বার্ষিক ওরস চলছিলো। এই ওরসকে কেন্দ্র করে প্রায় বছর মাজারের আশপাশ এলাকায় মাদকের আসর বসে। চলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। এ প্রেক্ষিতে কয়েকদিন আগে সিলেটের আলেম সমাজ-শাহপরাণ মাজার ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে ওরসের নামে কোন অসামাজিক কার্যকলাপ যাতে না হয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে কমিটির নেতৃবৃন্দ মাজারে কোনো অনৈতিক কার্যকলাপ হবেনা বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।

এদিকে ওরস চলাকালীন সময় কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা না করতে পারে সে জন্য আলেম-সমাজের প্রতিনিধি দল মাজার এলাকায় সতর্ক পাহারা দেন। সোমবার দিবাগত রাতেও তারা মাজারের মসজিদের সিঁড়িতে পাহাড়ায় থাকেন।

এসময় থায় লাল কাপড় বাধা কিছু লোক তাদের উপর হামলা শুরু করে। তখন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা এসময় মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা বাইরে অবস্থান নিয়ে তাদেও ঘেরাও করে রাখে। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী হরিপুর এলাকার শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে মসজিদে আশ্রয় নেওয়া ছাত্র-শিক্ষককে উদ্ধার করেন। তারা ওরসে আসা লোকজনের তাবুগুলো ভেঙে দেন। এসময় দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয় এবং দুপক্ষর ৪০ জন আহত হন। পরে ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

আলেম-সমাজের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও উত্তেজনা শুরু হওয়ামাত্র তারা সেখান থেকে চলে যায়। পরে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে উঠে। এ বিষয়ে মাজার কমিটির কারো বা পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।