ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

সেভেন সিস্টার্স হারাচ্ছেন মোদী?

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৭:২১:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 58
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলিকে বাংলাদেশের পরবর্তী দরজা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং এই সময় মনিপুরে তিন দিন ধরে কোন মুখ্যমন্ত্রী নেই। ভারতের ক্ষমতাশীল দল বিজেপি এখনও নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে সাহসী হচ্ছে না, ফলে সেখানে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের পর থেকে বিজেপি নতুন মুখ্যমন্ত্রী খুঁজে পাচ্ছে না। বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের তিন দিন পরও বিজেপির নেতৃত্ব মনিপুরে নতুন নেতার নাম ঘোষণা করতে পারেনি।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, “মনিপুর কে চালাবে?” বর্তমানে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫৬ অনুসারে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের পর থেকে বিজেপির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইনচার্জ সম্বিদ পাত্র ইমফলে অবস্থান করছেন।

মনিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক না থাকায় নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের উপযুক্ত নেতা পাওয়া যাচ্ছে না। বীরেন সিং জানিয়েছেন, যতক্ষণ না সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিধানসভার কার্যক্রম মুলতবি রাখা উচিত। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে রাজ্য সরকারের সব ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে চলে যাবে এবং রাজ্যের আইনসভার কার্যও সংসদে চলে যাবে। তবে, উচ্চ আদালতের কার্যক্রম অপরিবর্তিত থাকবে।

এদিকে, রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লা জানিয়েছেন, তিনি কয়েক দিনের মধ্যে কেন্দ্রকে মনিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেবেন। তার উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

কিছু লোক মনে করছেন, দীর্ঘদিন রাষ্ট্রপতি শাসন থাকলে বিজেপির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কুকী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দও মনে করেন, মেইতেই অধ্যুষিত ইনফলে নতুন একজন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী আসলে পুরনো সমস্যা নতুন ভাবে উত্থাপন করবে। কুকী জো কাউন্সিলের চেয়ারপারসন বলেছেন, “বিজেপি যদি মুখ্যমন্ত্রী হয়, তবে নতুন বোতলে পুরনো পানীয়।” তাদের মতে, রাষ্ট্রপতি শাসন থাকলে পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হতে পারে, কারণ বিজেপি পুনরায় ক্ষমতায় আসলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব পুনরায় শুরু হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সেভেন সিস্টার্স হারাচ্ছেন মোদী?

আপডেট সময় : ০৭:২১:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলিকে বাংলাদেশের পরবর্তী দরজা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং এই সময় মনিপুরে তিন দিন ধরে কোন মুখ্যমন্ত্রী নেই। ভারতের ক্ষমতাশীল দল বিজেপি এখনও নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে সাহসী হচ্ছে না, ফলে সেখানে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের পর থেকে বিজেপি নতুন মুখ্যমন্ত্রী খুঁজে পাচ্ছে না। বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের তিন দিন পরও বিজেপির নেতৃত্ব মনিপুরে নতুন নেতার নাম ঘোষণা করতে পারেনি।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, “মনিপুর কে চালাবে?” বর্তমানে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫৬ অনুসারে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের পর থেকে বিজেপির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইনচার্জ সম্বিদ পাত্র ইমফলে অবস্থান করছেন।

মনিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক না থাকায় নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের উপযুক্ত নেতা পাওয়া যাচ্ছে না। বীরেন সিং জানিয়েছেন, যতক্ষণ না সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিধানসভার কার্যক্রম মুলতবি রাখা উচিত। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে রাজ্য সরকারের সব ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে চলে যাবে এবং রাজ্যের আইনসভার কার্যও সংসদে চলে যাবে। তবে, উচ্চ আদালতের কার্যক্রম অপরিবর্তিত থাকবে।

এদিকে, রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লা জানিয়েছেন, তিনি কয়েক দিনের মধ্যে কেন্দ্রকে মনিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেবেন। তার উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

কিছু লোক মনে করছেন, দীর্ঘদিন রাষ্ট্রপতি শাসন থাকলে বিজেপির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কুকী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দও মনে করেন, মেইতেই অধ্যুষিত ইনফলে নতুন একজন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী আসলে পুরনো সমস্যা নতুন ভাবে উত্থাপন করবে। কুকী জো কাউন্সিলের চেয়ারপারসন বলেছেন, “বিজেপি যদি মুখ্যমন্ত্রী হয়, তবে নতুন বোতলে পুরনো পানীয়।” তাদের মতে, রাষ্ট্রপতি শাসন থাকলে পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হতে পারে, কারণ বিজেপি পুনরায় ক্ষমতায় আসলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব পুনরায় শুরু হতে পারে।