ঢাকা ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

স্পেসএক্সের ইঞ্জিনিয়ার কাইরান কাজী: লাল-সবুজের বিস্ময়প্রতিভা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১০:২৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 89
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

❝ ১৪ বছর বয়সেই স্পেসএক্সের ইঞ্জিনিয়ার! কাইরান কাজী: লাল-সবুজের বিস্ময়প্রতিভা ❞

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজী, মাত্র ১৪ বছর বয়সে অর্জন করেছেন এমন কৃতিত্ব, যা সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা SpaceX-এ প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করা এই বিস্ময়বালক এখন বাংলাদেশের জন্য এক গর্বের নাম।

💢 কাইরানের ব্যতিক্রমী যাত্রা

কাইরানের যাত্রা শুরু হয় সিলিকন ভ্যালির সান্তা ক্লারা ইউনিভার্সিটিতে। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি সেখানে Computer Science & Engineering বিভাগে ভর্তি হন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ বছরের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। এখান থেকেই তার মেধার স্বাক্ষর মেলে।

কাইরানের মা-বাবা ছোট থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন, তাদের সন্তানের মধ্যে রয়েছে এক অনন্য প্রতিভা। মাত্র ২ বছর বয়সে সে স্পষ্ট বাক্যে কথা বলা শুরু করে এবং ৫ বছর বয়সে বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠে। তার শৈশব থেকেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশেষ দক্ষতা ছিল।

⭕️ শিক্ষার প্রতি তার অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি

তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় কাইরান অনুভব করেন, তার স্কুলের পড়াশোনা তার মেধাকে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ দিতে পারছে না। তখন তার মা-বাবা তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কমিউনিটি কলেজে ভর্তি করান। সেখান থেকেই তার উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু।

🎁 পেশাগত সাফল্য

স্পেসএক্সে যোগ দেওয়ার আগে কাইরান Machine Learning Intern হিসেবে Blackbird.AI-তে কাজ করেন। সেখানে তিনি ‘Anomaly Detection Statistical Learning Pipeline’ ডিজাইন করেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কন্টেন্ট ম্যানিপুলেশন শনাক্ত করতে সক্ষম। তার কাজের এই দিকটি প্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক বড় অবদান।

❗️সমালোচনা ও তার মনোভাব

অল্প বয়সে এত বড় সাফল্য অর্জনের ফলে যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছেন, তেমনি অনেক সমালোচনাও হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, কাইরান তার শৈশব হারাচ্ছেন। তবে কাইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এটি তার জন্য কখনোই সমস্যা নয়। তিনি মনে করেন, যদি তিনি শৈশব উপভোগ করতে চাইতেন, তাহলে সাধারণ স্কুলেই থাকতেন।

🌟কাইরান কাজী: বাংলাদেশের গর্ব

কাইরান কাজী শুধু একটি নাম নয়, এটি প্রমাণ যে বাংলাদেশি মেধা বিশ্বে জায়গা করে নিতে পারে। তার মতো প্রতিভাবান তরুণদের গল্প আমাদের শেখায় যে সঠিক দিকনির্দেশনা, মনোযোগ এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে যেকোনো স্বপ্নকেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

কাইরানের সাফল্যের গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুযোগ এবং সমর্থন তৈরি করাই তাদের বড় স্বপ্ন দেখার পথকে উন্মুক্ত করবে।

💁🏻‍♂️ আপনার মতামত কী?
কাইরানের সাফল্য কি আপনাকে নতুন কিছু শেখার প্রেরণা দেয়? কীভাবে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে সমর্থন করতে পারি? আপনার চিন্তা শেয়ার করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

স্পেসএক্সের ইঞ্জিনিয়ার কাইরান কাজী: লাল-সবুজের বিস্ময়প্রতিভা

আপডেট সময় : ১০:২৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

❝ ১৪ বছর বয়সেই স্পেসএক্সের ইঞ্জিনিয়ার! কাইরান কাজী: লাল-সবুজের বিস্ময়প্রতিভা ❞

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজী, মাত্র ১৪ বছর বয়সে অর্জন করেছেন এমন কৃতিত্ব, যা সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা SpaceX-এ প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করা এই বিস্ময়বালক এখন বাংলাদেশের জন্য এক গর্বের নাম।

💢 কাইরানের ব্যতিক্রমী যাত্রা

কাইরানের যাত্রা শুরু হয় সিলিকন ভ্যালির সান্তা ক্লারা ইউনিভার্সিটিতে। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি সেখানে Computer Science & Engineering বিভাগে ভর্তি হন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ বছরের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। এখান থেকেই তার মেধার স্বাক্ষর মেলে।

কাইরানের মা-বাবা ছোট থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন, তাদের সন্তানের মধ্যে রয়েছে এক অনন্য প্রতিভা। মাত্র ২ বছর বয়সে সে স্পষ্ট বাক্যে কথা বলা শুরু করে এবং ৫ বছর বয়সে বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠে। তার শৈশব থেকেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশেষ দক্ষতা ছিল।

⭕️ শিক্ষার প্রতি তার অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি

তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় কাইরান অনুভব করেন, তার স্কুলের পড়াশোনা তার মেধাকে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ দিতে পারছে না। তখন তার মা-বাবা তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কমিউনিটি কলেজে ভর্তি করান। সেখান থেকেই তার উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু।

🎁 পেশাগত সাফল্য

স্পেসএক্সে যোগ দেওয়ার আগে কাইরান Machine Learning Intern হিসেবে Blackbird.AI-তে কাজ করেন। সেখানে তিনি ‘Anomaly Detection Statistical Learning Pipeline’ ডিজাইন করেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কন্টেন্ট ম্যানিপুলেশন শনাক্ত করতে সক্ষম। তার কাজের এই দিকটি প্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক বড় অবদান।

❗️সমালোচনা ও তার মনোভাব

অল্প বয়সে এত বড় সাফল্য অর্জনের ফলে যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছেন, তেমনি অনেক সমালোচনাও হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, কাইরান তার শৈশব হারাচ্ছেন। তবে কাইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এটি তার জন্য কখনোই সমস্যা নয়। তিনি মনে করেন, যদি তিনি শৈশব উপভোগ করতে চাইতেন, তাহলে সাধারণ স্কুলেই থাকতেন।

🌟কাইরান কাজী: বাংলাদেশের গর্ব

কাইরান কাজী শুধু একটি নাম নয়, এটি প্রমাণ যে বাংলাদেশি মেধা বিশ্বে জায়গা করে নিতে পারে। তার মতো প্রতিভাবান তরুণদের গল্প আমাদের শেখায় যে সঠিক দিকনির্দেশনা, মনোযোগ এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে যেকোনো স্বপ্নকেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

কাইরানের সাফল্যের গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুযোগ এবং সমর্থন তৈরি করাই তাদের বড় স্বপ্ন দেখার পথকে উন্মুক্ত করবে।

💁🏻‍♂️ আপনার মতামত কী?
কাইরানের সাফল্য কি আপনাকে নতুন কিছু শেখার প্রেরণা দেয়? কীভাবে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে সমর্থন করতে পারি? আপনার চিন্তা শেয়ার করুন।