স্বশিক্ষিত কৃষিবিজ্ঞানীর বৈপ্লবিক ধান উদ্ভাবন নূর মোহাম্মদ

- আপডেট সময় : ০৩:০১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 89
বিজ্ঞানীরা আমাকে এতটা মূল্যায়ন করবে ভাবিনি, বললেন নূর মোহাম্মদ!!
শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো সনদ নেই, তবে আছে নতুন নতুন ধান উদ্ভাবনের কৃতিত্ব। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরাও আমলে নিয়েছে তাঁর কাজ। কৃষক-বিজ্ঞানী সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়ে এ মাসেই ঘুরে এলেন মালয়েশিয়া।
মালেয়েশিয়ায় কৃষক-বিজ্ঞানী সম্মেলনে গেলেন স্বশিক্ষিত কৃষিবিজ্ঞানী নূর মোহাম্মদ শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো সনদ নেই, তবে তাঁর আছে ধান নিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনের কৃতিত্ব। সংকরায়ণের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করছেন তিনি। স্বশিক্ষিত এই বিজ্ঞানীর কাজ আমলে নিয়েছে খোদ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরাও।
নূর মোহাম্মদ তাঁর যে পাঁচটি জাত স্বীকৃতি পাওয়ার মতো বলে মনে করেন, সেগুলো হচ্ছে এনএমকেপি-১ থেকে এনএমকেপি-৫ পর্যন্ত। তিনি দেশের প্রচলিত ধানের জাতকে উজ্জীবিত করে তার জীবনকাল কমিয়ে এনেছেন। কোনোটির ফলন বাড়িয়েছেন। খরাসহিষ্ণু জাতের উদ্ভাবন করেছেন। এ ছাড়া আমন মৌসুমের জন্যও তিনি খরাসহিষ্ণু ও স্বল্প জীবনকালের আরও দুই জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন। এর একটির নাম দিয়েছেন এনএমকেপি-৫ ও অপরটির নাম দিয়েছেন এনএমকেপি-১০১।
তাঁর দাবি, দেশে প্রচলিত বোরো ধান বপন থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত ১৪০ দিন লাগে। তাঁর উদ্ভাবিত এই ধান বোরো মৌসুমে বপন থেকে ১৩০ দিনের মধ্যে কাটা যাবে। তিনি খরাসহিষ্ণু এই ধানের সারির নাম দিয়েছিলেন এনএমকেপি-৫। এনএমকেপির অর্থ হচ্ছে ‘নূর মোহাম্মদ কৃষি পরিষেবা’। প্রথম দিকে তিনি এনএমটি অর্থাৎ নূর মোহাম্মদ তানোর নামে ধানের নামকরণ করতেন।