ঢাকা ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা!

হাসনাত-সারজিসের বাসায় কোটি টাকা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 83
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর বাসা থেকে বিপুল টাকা পাওয়া গেছে দাবি করে ইন্টারনেটে যে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তা ভুয়া বলে বলে নিশ্চিত করেছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান (ফ্যাক্ট চেক) রিউমার স্ক্যানার।

রিউমার স্ক্যানারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর বাড়িতে ২০০ ও ১০০ কোটি টাকা পাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. তারিকুল ইসলামের বক্তব্যের একটি খণ্ডিত অংশ প্রচার করে আলোচিত ভুয়া দাবিটি উত্থাপন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে এ দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমার স্ক্যানার টিম। এতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। চতুর্দিক থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

সারজিস সারজিস আলমের বাসায় ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে, হাসনাতের বাসায় ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। যে অবিশ্বাসের রাজনীতি শুরু করা হয়েছে সেই রাজনীতির দিকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এই ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা করতে দেখা যায়।

বিষয়টি যাচাইয়ে পরবর্তী অনুসন্ধানে Md Tarikul Islam নামের একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গত ১৯ অক্টোবর ‘অবিলম্বে হামলাকারী খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ওই ভিডিওটির ৯ মিনিট থেকে ৯ মিনিট ৪২ সেকেন্ড অংশের সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল পাওয়া যায়।

জানা যায়, বক্তব্য প্রদানকারী এই ব্যক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. তারিকুল ইসলাম। ভিডিওটির ৯ মিনিট থেকে তাকে বলতে শোনা যায়, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এ লড়াই শেষ হওয়া পর্যন্ত আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। চতুর্দিকে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছে। সারজিসের বাসায় ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে, হাসনাতের বাসায় ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

অবিশ্বাসের রাজনীতি শুরু করা হয়েছে। সে রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে। আপনাদেরকে বুঝতে হবে, এই অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের শক্ত নৈতিক মানদণ্ড না থাকলে তারা কখনোই এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিতে পারতো না।

মূলত- তিনি সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর বাড়িতে ২০০ ও ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেননি বরং তিনি তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে বলেছেন, এই অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের শক্ত নৈতিক মানদণ্ড না থাকলে তারা কখনোই এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিতে পারতো না।

পাশাপাশি, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সারজিস আলম কিংবা হাসনাত আবদুল্লাহর বাসা থেকে কোনো অর্থ উদ্ধারের তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হাসনাত-সারজিসের বাসায় কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

 

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর বাসা থেকে বিপুল টাকা পাওয়া গেছে দাবি করে ইন্টারনেটে যে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তা ভুয়া বলে বলে নিশ্চিত করেছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান (ফ্যাক্ট চেক) রিউমার স্ক্যানার।

রিউমার স্ক্যানারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর বাড়িতে ২০০ ও ১০০ কোটি টাকা পাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. তারিকুল ইসলামের বক্তব্যের একটি খণ্ডিত অংশ প্রচার করে আলোচিত ভুয়া দাবিটি উত্থাপন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে এ দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমার স্ক্যানার টিম। এতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। চতুর্দিক থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

সারজিস সারজিস আলমের বাসায় ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে, হাসনাতের বাসায় ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। যে অবিশ্বাসের রাজনীতি শুরু করা হয়েছে সেই রাজনীতির দিকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এই ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা করতে দেখা যায়।

বিষয়টি যাচাইয়ে পরবর্তী অনুসন্ধানে Md Tarikul Islam নামের একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গত ১৯ অক্টোবর ‘অবিলম্বে হামলাকারী খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ওই ভিডিওটির ৯ মিনিট থেকে ৯ মিনিট ৪২ সেকেন্ড অংশের সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল পাওয়া যায়।

জানা যায়, বক্তব্য প্রদানকারী এই ব্যক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. তারিকুল ইসলাম। ভিডিওটির ৯ মিনিট থেকে তাকে বলতে শোনা যায়, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এ লড়াই শেষ হওয়া পর্যন্ত আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। চতুর্দিকে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছে। সারজিসের বাসায় ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে, হাসনাতের বাসায় ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

অবিশ্বাসের রাজনীতি শুরু করা হয়েছে। সে রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে। আপনাদেরকে বুঝতে হবে, এই অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের শক্ত নৈতিক মানদণ্ড না থাকলে তারা কখনোই এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিতে পারতো না।

মূলত- তিনি সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর বাড়িতে ২০০ ও ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেননি বরং তিনি তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে বলেছেন, এই অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের শক্ত নৈতিক মানদণ্ড না থাকলে তারা কখনোই এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিতে পারতো না।

পাশাপাশি, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সারজিস আলম কিংবা হাসনাত আবদুল্লাহর বাসা থেকে কোনো অর্থ উদ্ধারের তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।