১৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভ্যুলেশন’ ঘোষণার আল্টিমেটাম
- আপডেট সময় : ০৫:৩৮:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / 29
আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভ্যুলেশন’ ঘোষণা দেওয়ার জন্য সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকালে ফরিদপুরে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানকে সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্বীকৃতি দিতে হবে। যারা ২৪’র আন্দোলনে জীবন দিয়েছে এবং আহত হয়েছে তাদের স্বীকৃতি এই ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম স্বর্ণাক্ষরে ওই ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে।
নির্বাচনের আগে বিচারের দাবি জানিয়ে সারজিস আলম আরও বলেন, বাংলাদেশে অবশ্যই যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন হবে। কিন্তু তার আগে বিচার ও সংস্কার করতে হবে। আমাদের সামনে শহীদ পরিবার রয়েছে, তারা বিচারের জন্য আর্তনাদ করছে, সেই বিচার করতে হবে। খুনি হাসিনা যে সিস্টেমগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে, সেই সিস্টেমগুলো সংস্কার করতে হবে।
সারজিস আরও বলেন, এই বাংলাদেশ আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা চোখে চোখ রেখে পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করব। পৃথিবীর যেকোনো ক্ষমতাধর বাংলাদেশকে ডমিনেট করে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করবে, আমরা সেই পররাষ্ট্রনীতি ছুড়ে ফেলে দেব।
সমাবেশে সমাপনী বক্তব্যে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত একটি বিচারও আমরা দেখি নাই। পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্ত্বরে হত্যাকাণ্ড, ১৮ ও ২৪ এর নির্বাচনে যেভাবে ভোট কারচুপি করা হয়েছে সেগুলোর এখনও কোনো বিচার হয় নাই। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এগুলোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
ভারতমুখী হওয়ার প্রবণতা থাকলে জনগণ তাদেরকে শেখ হাসিনার সঙ্গে সীমান্তের ওপারে উৎখাত করবে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, অতীতে ঢাকার মসনদে কে বসবে, সেটি নির্ধারিত হতো দিল্লি থেকে। আমরা দেখেছি, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো দিল্লিমুখী হতো। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে ঢাকার ক্ষমতায় কে বসবে সেটি আর দিল্লি থেকে নির্ধারিত হবে না। বরং সীমান্তের মধ্যে বাংলাদেশের জনগণ নির্ধারণ করবে যে বাংলাদেশের মসনদে কে বসবে। সুতরাং আপনারা দিল্লিমুখী না হয়ে, ক্ষমতামুখী না হয়ে জনতামুখী হোন। এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বাজার ব্যবস্থায় সিন্ডিকেটের উৎখাত চেয়ে বলেন, বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন সরকার বলেছে সিন্ডিকেট এক হাত বদলে আরেক হাতে গিয়েছে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম, রিফাত রশিদ, নাবিলা তালুকদার, আশরেফা খাতুন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ফারহান হাসান অর্ণব, সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কাজী রিয়াজসহ অনেকেই।